, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

সশস্ত্র বাহিনী জাতির আস্থার প্রতীক: তারেক রহমান

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২০ বার পড়া হয়েছে

সশস্ত্র বাহিনীর শক্তিশালী ভূমিকা এই বাহিনীকে জাতির আস্থা ও সম্মানের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, ভবিষ্যতেও এই অবদান অব্যাহত থাকবে বলে বিশ্বাস প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সশস্ত্র বাহিনী দিবসের উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) তার নিজস্ব ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন। তারেক রহমান বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবসের বিশেষ মুহূর্তে আমি বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সকল সদস্য ও তাদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাচ্ছি। এই বাহিনীর সকল সদস্য ও তাদের পরিবারের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করি। এই দিনে আমি সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক সাফল্য, উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করছি এবং মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী গঠিত হয়। এই কারণেই প্রতিটি বছর ২১ নভেম্বর দিনটি সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে, যা মুক্তিযুদ্ধের অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক। সাহস, শৌর্য, দৃঢ় সংকল্প ও শৃঙ্খলা দিয়ে গড়ে উঠা এই জাতির গর্বের প্রতিষ্ঠান সশস্ত্র বাহিনী। ৭১ এর রণাঙ্গনে এই বাহিনীর অসীম সাহসের ভূমিকা ইতিহাসের এক উজ্জ্বল অধ্যায়। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় এই বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যরা নিরবচ্ছিন্নভাবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা বিশ্বশান্তি রক্ষায় আরও শক্তিশালী ও প্রসংশনীয় করে তুলেছে। তিনি আরও বলেন, আমি আশাবাদী ভবিষ্যতেও এই ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সংকটের সময় এই বাহিনীর দৃঢ় দায়িত্ববোধ জাতির আস্থা ও সম্মানের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বিএনপির এই নেতা বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সাবেক সেনাপ্রধান শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর, গতিশীল ও দক্ষ বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সুশিক্ষিত ও পেশাদার বাহিনীতে পরিণত করেছিলেন। জিয়াউর রহমানের সময়ে থেকেই সেনাবাহিনী দ্রুত, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও আধুনিক রূপ লাভ করে, যা বিশ্বের অন্যান্য আধুনিক সেনাবাহিনীসমূহের সমকক্ষ। একইভাবে, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিক ও সক্ষম করে তুলেছিলেন, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের গৌরব বৃদ্ধি করেছে। ভবিষ্যতেও এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তিনি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন, মুক্তিযুদ্ধে নিজের জীবন উৎসর্গকারী বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন, বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নুর মোহাম্মদ শেখ ও বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফকে। তিনি শেষ করেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করছি।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

সশস্ত্র বাহিনী জাতির আস্থার প্রতীক: তারেক রহমান

আপডেট সময় ০৮:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

সশস্ত্র বাহিনীর শক্তিশালী ভূমিকা এই বাহিনীকে জাতির আস্থা ও সম্মানের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে, ভবিষ্যতেও এই অবদান অব্যাহত থাকবে বলে বিশ্বাস প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সশস্ত্র বাহিনী দিবসের উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) তার নিজস্ব ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন। তারেক রহমান বলেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবসের বিশেষ মুহূর্তে আমি বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সকল সদস্য ও তাদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাচ্ছি। এই বাহিনীর সকল সদস্য ও তাদের পরিবারের সুখ, শান্তি ও কল্যাণ কামনা করি। এই দিনে আমি সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক সাফল্য, উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করছি এবং মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তিনি উল্লেখ করেন, ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী গঠিত হয়। এই কারণেই প্রতিটি বছর ২১ নভেম্বর দিনটি সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে, যা মুক্তিযুদ্ধের অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক। সাহস, শৌর্য, দৃঢ় সংকল্প ও শৃঙ্খলা দিয়ে গড়ে উঠা এই জাতির গর্বের প্রতিষ্ঠান সশস্ত্র বাহিনী। ৭১ এর রণাঙ্গনে এই বাহিনীর অসীম সাহসের ভূমিকা ইতিহাসের এক উজ্জ্বল অধ্যায়। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় এই বাহিনীর দেশপ্রেমিক সদস্যরা নিরবচ্ছিন্নভাবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা বিশ্বশান্তি রক্ষায় আরও শক্তিশালী ও প্রসংশনীয় করে তুলেছে। তিনি আরও বলেন, আমি আশাবাদী ভবিষ্যতেও এই ভূমিকা অব্যাহত থাকবে। দেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও সংকটের সময় এই বাহিনীর দৃঢ় দায়িত্ববোধ জাতির আস্থা ও সম্মানের প্রতীক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। বিএনপির এই নেতা বলেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সাবেক সেনাপ্রধান শহীদ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর, গতিশীল ও দক্ষ বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সুশিক্ষিত ও পেশাদার বাহিনীতে পরিণত করেছিলেন। জিয়াউর রহমানের সময়ে থেকেই সেনাবাহিনী দ্রুত, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও আধুনিক রূপ লাভ করে, যা বিশ্বের অন্যান্য আধুনিক সেনাবাহিনীসমূহের সমকক্ষ। একইভাবে, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিক ও সক্ষম করে তুলেছিলেন, যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের গৌরব বৃদ্ধি করেছে। ভবিষ্যতেও এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। তিনি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন, মুক্তিযুদ্ধে নিজের জীবন উৎসর্গকারী বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল, বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন, বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নুর মোহাম্মদ শেখ ও বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফকে। তিনি শেষ করেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করছি।


প্রিন্ট