, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

যে তিন কারণে ভূমিকম্প হয়

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৯ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীতে মারাত্মক ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে কেন ঘটে এই ভূমিকম্প? ভূমিকম্প হলো ভূমির কম্পন। ভূ-অভ্যন্তরে যখন কোনো একটি শিলা অন্য শিলার উপর উঠে আসে, তখন ভূমি কেঁপে ওঠে। পৃথিবীর স্তরের কিছু অংশের হঠাৎ এই পরিবর্তন বা আন্দোলনই হলো ভূমিকম্প। কেন হয় এই ভূমিকম্প? ভূ-অভ্যন্তরে থাকা গ্যাসের চাপ যখন ভূমির ফাটল বা আগ্নেয়গিরির মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে, তখন সেই গ্যাসের স্থান ফাঁকা হয়ে যায়। এর ফলে পৃথিবীর ওপরের স্তরটির চাপ ওই ফাঁকা স্থানে এসে ভারসাম্য বজায় রাখে। এর ফলেই অনুভূত হয় প্রবল কম্পন, যা সাধারণত ভূমিকম্প নামে পরিচিত। সাধারণত তিনটি মূল কারণ থেকে এই ভূকম্পন ঘটে— ভূমির হঠাৎ পরিবর্তনের কারণে, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে, এবং শিলাচ্যুতি বা পর্বতধসের মাধ্যমে। এই ধরনের ভূমিকম্প সাধারণত কিছু সেকেন্ডের মধ্যে শেষ হয়ে যায়, কিন্তু এই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটতে পারে। ভূমিকম্পের মাত্রা অনুযায়ী প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি বেশ বড় আকারে হতে পারে। এই মাত্রা নির্ণয়ে ব্যবহৃত যন্ত্রের নাম রিখটার স্কেল। এই স্কেলে মাত্রা ১ থেকে ১০ পর্যন্ত। এই স্কেলে ৫ এর বেশি হলে মানে ভয়াবহ দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। এক ডিগ্রি বৃদ্ধি পেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ১০ থেকে ৩২ গুণ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা— ৫ থেকে ৫.৯৯ মাঝারি, ৬ থেকে ৬.৯৯ তীব্র, ৭ থেকে ৭.৯৯ ভয়ঙ্কর এবং ৮ এর ওপরে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

যে তিন কারণে ভূমিকম্প হয়

আপডেট সময় ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

রাজধানীতে মারাত্মক ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে কেন ঘটে এই ভূমিকম্প? ভূমিকম্প হলো ভূমির কম্পন। ভূ-অভ্যন্তরে যখন কোনো একটি শিলা অন্য শিলার উপর উঠে আসে, তখন ভূমি কেঁপে ওঠে। পৃথিবীর স্তরের কিছু অংশের হঠাৎ এই পরিবর্তন বা আন্দোলনই হলো ভূমিকম্প। কেন হয় এই ভূমিকম্প? ভূ-অভ্যন্তরে থাকা গ্যাসের চাপ যখন ভূমির ফাটল বা আগ্নেয়গিরির মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে, তখন সেই গ্যাসের স্থান ফাঁকা হয়ে যায়। এর ফলে পৃথিবীর ওপরের স্তরটির চাপ ওই ফাঁকা স্থানে এসে ভারসাম্য বজায় রাখে। এর ফলেই অনুভূত হয় প্রবল কম্পন, যা সাধারণত ভূমিকম্প নামে পরিচিত। সাধারণত তিনটি মূল কারণ থেকে এই ভূকম্পন ঘটে— ভূমির হঠাৎ পরিবর্তনের কারণে, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতের ফলে, এবং শিলাচ্যুতি বা পর্বতধসের মাধ্যমে। এই ধরনের ভূমিকম্প সাধারণত কিছু সেকেন্ডের মধ্যে শেষ হয়ে যায়, কিন্তু এই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটতে পারে। ভূমিকম্পের মাত্রা অনুযায়ী প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি বেশ বড় আকারে হতে পারে। এই মাত্রা নির্ণয়ে ব্যবহৃত যন্ত্রের নাম রিখটার স্কেল। এই স্কেলে মাত্রা ১ থেকে ১০ পর্যন্ত। এই স্কেলে ৫ এর বেশি হলে মানে ভয়াবহ দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে। এক ডিগ্রি বৃদ্ধি পেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ১০ থেকে ৩২ গুণ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা— ৫ থেকে ৫.৯৯ মাঝারি, ৬ থেকে ৬.৯৯ তীব্র, ৭ থেকে ৭.৯৯ ভয়ঙ্কর এবং ৮ এর ওপরে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর।


প্রিন্ট