, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

ভূমিকম্পে নরসিংদীর যত ক্ষয়ক্ষতি

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৮ বার পড়া হয়েছে

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০:৩৮ মিনিটে নরসিংদীর সদর ও পলাশ উপজেলার মধ্যবর্তী এলাকায় ভূকম্পন অনুভূত হয়। এতে আতঙ্কিত মানুষ দৌঁড়ে উঁচু ভবন থেকে নামার সময় আহত হন। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ভূকম্পনে চারজনের মৃত্যু এবং একশোর বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছে:
১. সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলিতে নির্মাণাধীন ভবনের মালামালের নিচে চাপা পড়ে শিশু হাফেজ ওমর (৮) মারা যান। তার বাবা দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন।
২. পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের মালিতা পশ্চিমপাড়া গ্রামের ৭৫ বছর বয়সী কাজেম আলী ভূইয়া মাটির ঘরের নিচে চাপা পড়ে মারা যান।
৩. পলাশ উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের ৬০ বছর বয়সী নাসিরউদ্দিন আতঙ্কিত হয়ে দৌড়ে আসার সময় নিচে লাফ দিয়ে মারা যান।
৪. শিবপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের গাজকিতলা গ্রামের ফোরকান (প্রায় ৪০) ভূমিকম্পের কম্পনে গাছ থেকে পড়ে মারা যান। ক্ষয়ক্ষতি:
• ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাবস্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে; ফায়ার সার্ভিস দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রডাকশন ট্রান্সফরমারও কম্পনের কারণে ভেঙে পড়ে।
• ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার কারখানার ইউরিয়া উৎপাদন সাময়িক বন্ধ থাকে।
• জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সার্কিট হাউসসহ শতাধিক ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন জানিয়েছেন, ভূমিকম্প সংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতি ও জরুরি তথ্যের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং সার্বিক পরিস্থিতি নজরদারি করা হচ্ছে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

ভূমিকম্পে নরসিংদীর যত ক্ষয়ক্ষতি

আপডেট সময় ০৭:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০:৩৮ মিনিটে নরসিংদীর সদর ও পলাশ উপজেলার মধ্যবর্তী এলাকায় ভূকম্পন অনুভূত হয়। এতে আতঙ্কিত মানুষ দৌঁড়ে উঁচু ভবন থেকে নামার সময় আহত হন। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ভূকম্পনে চারজনের মৃত্যু এবং একশোর বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছে:
১. সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলিতে নির্মাণাধীন ভবনের মালামালের নিচে চাপা পড়ে শিশু হাফেজ ওমর (৮) মারা যান। তার বাবা দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন।
২. পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের মালিতা পশ্চিমপাড়া গ্রামের ৭৫ বছর বয়সী কাজেম আলী ভূইয়া মাটির ঘরের নিচে চাপা পড়ে মারা যান।
৩. পলাশ উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের ৬০ বছর বয়সী নাসিরউদ্দিন আতঙ্কিত হয়ে দৌড়ে আসার সময় নিচে লাফ দিয়ে মারা যান।
৪. শিবপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের গাজকিতলা গ্রামের ফোরকান (প্রায় ৪০) ভূমিকম্পের কম্পনে গাছ থেকে পড়ে মারা যান। ক্ষয়ক্ষতি:
• ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাবস্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে; ফায়ার সার্ভিস দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রডাকশন ট্রান্সফরমারও কম্পনের কারণে ভেঙে পড়ে।
• ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার কারখানার ইউরিয়া উৎপাদন সাময়িক বন্ধ থাকে।
• জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও সার্কিট হাউসসহ শতাধিক ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন জানিয়েছেন, ভূমিকম্প সংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতি ও জরুরি তথ্যের জন্য কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে এবং সার্বিক পরিস্থিতি নজরদারি করা হচ্ছে।


প্রিন্ট