খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে সুখবর দিলেন তথ্য উপদেষ্টা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৯৩
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু
হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গেলেন তামিম ইকবাল
নোয়াখালীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া
মসজিদে বিয়ে ও সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন শবনম ফারিয়া
দেশে বাড়লো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম
ইসরায়েলি হামলার গাজায় নিহত ৭০ হাজারের বেশি
খাদ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস
যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন হারানোর শঙ্কায় জেলেনস্কি
- আপডেট সময় ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৩ বার পড়া হয়েছে
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ সমাপ্তির জন্য হোয়াইট হাউসের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা যদি মেনে নেওয়া না হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন থেকে ইউক্রেন বিচ্ছিন্ন হতে পারে। শুক্রবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, “আমরা হয়তো খুব কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব—সম্মান হারানো বা প্রধান মিত্রকে হারানোর ঝুঁকি।” তিনি এটিকে ইউক্রেনের “ইতিহাসের অন্যতম কঠিন মুহূর্ত” বলে অভিহিত করেন। ফাঁস হওয়া মার্কিন প্রস্তাবনায় এমন কিছু শর্ত রয়েছে যা আগে থেকেই কিয়েভ প্রত্যাখ্যান করে আসছে—পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকা ছেড়ে দেওয়া, সেনাবাহিনী বড় পরিসরে কমিয়ে আনা এবং ন্যাটোয় যোগদানের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসা। এই শর্তগুলো রাশিয়ার পক্ষে ঝুঁকি সৃষ্টি করছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে রাশিয়া জানিয়েছে, এই পরিকল্পনাকে তারা আলোচনা করার “ভিত্তি” হিসেবে দেখতে পারে। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, তারা এই পরিকল্পনাটি পেয়েছেন এবং মস্কো “নমনীয়তা দেখাতে প্রস্তুত,” তবে প্রয়োজনে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্যও প্রস্তুত। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “জেলেনস্কির এই পরিকল্পনাটি পছন্দ করা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই,” না হলে যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে। ইউক্রেনের অস্ত্র ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল। দূরপাল্লার অস্ত্র, আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং গোয়েন্দা তথ্য—সবই আসে ওয়াশিংটন থেকে। জেলেনস্কি তাঁর ভাষণে আরও জানান, ইউক্রেনকে দুর্বল বা বিভক্ত করতে এখন আরও চাপ বাড়বে। এ জন্য তিনি দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন বিকল্প প্রস্তাবও আনবে এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা চলমান রাখবে। তিনি জানান, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ তাঁদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। জি-২০ সম্মেলনের আগে এই প্রস্তাব নিয়ে মিত্র দেশগুলোর নেতারাও আলোচনা করবেন বলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন। জেলেনস্কি আরও জানান, তিনি প্রায় এক ঘণ্টা মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এবং সেনাবাহিনীর সেক্রেটারি ড্যান ড্রিসকলের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, শান্তি আনার জন্য ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকে ইউক্রেন সম্মান করে। অন্যদিকে ওয়াশিংটনে ট্রাম্প দাবি করেন, দ্রুত চুক্তি না হলে খুব কম সময়ের মধ্যেই ইউক্রেন আরও বেশিরভাগ ভূমি হারাবে। তিনি বলেন, থ্যাঙ্কসগিভিং (২৭ নভেম্বর) এর মধ্যে ইউক্রেনের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত, প্রয়োজনে সময়ও বাড়ানো সম্ভব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে, পরিকল্পনা তৈরির সময় ইউক্রেনকে বাদ দেওয়া হয়নি। তারা জানান, ইউক্রেনের নিরাপত্তা প্রধান রুস্তেম উমেরভ আলোচনা শেষে প্রস্তাবের বেশিরভাগ অংশে সম্মত হন এবং সেটি পরে জেলেনস্কিকে উপস্থাপন করেন। ফাঁস হওয়া খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, ইউক্রেনের ডোনেৎস্কের পূর্বাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার, লুহানস্ক ও ক্রিমিয়ায় রুশ নিয়ন্ত্রণ স্বীকৃতি, এবং দক্ষিণের খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়ায় যুদ্ধের সীমারেখা অনুযায়ী সীমা নির্ধারণের কথা। পরিকল্পনায় আরও রয়েছে—ইউক্রেনের সেনা সংখ্যা ৬ লাখে সীমিত রাখা এবং ন্যাটো’র আরও সম্প্রসারণ না করা। এছাড়াও রুশ ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও পুনরায় জি-৭-এ (জি-৮) ফেরানোর ইঙ্গিত রয়েছে। অধিকৃত ও মুক্ত দুই অঞ্চলেই জনগণ এই পরিকল্পনার কঠোর বিরোধিতা করছে। কিয়েভে এক সেনার স্ত্রীর ভাষ্য, “এটি শান্তির পরিকল্পনা নয়, যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা।” এক অধিবাসী বলেন, “আমি আশা করি এটি স্বাক্ষর হবে না।” রাশিয়া বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে এবং সীমান্তে ধীরগতির অগ্রগতি চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্র: বিবিসি
প্রিন্ট














