, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং: সিইসি

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৬ বার পড়া হয়েছে

একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সম্পন্ন করার পরিকল্পনা অত্যন্ত কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। এত বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন আগে কখনো হয়নি নির্বাচন কমিশনের। শনিবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। সিইসি বলেন, একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চিঠি দিয়েছে। খুব শিগগিরই আইন প্রণয়ন হবে, যা শেষ হলে নির্বাচন কমিশন গণভোটের জন্য প্রস্তুতি শুরু করবে। তিনি উল্লেখ করেন, আগে কোনো নির্বাচন কমিশন এই ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়নি, কারণ সব কিছু আইনের মধ্যে থেকে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের অন্য কোনও বিকল্প নেই।

নির্বাচনের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা বিশাল বলে উল্লেখ করেন এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, গত দুই থেকে তিন দিনে বুঝতে পেরেছি, এই প্রত্যাশা আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। যাই হোক না কেন, মূল উদ্দেশ্য হলো জাতিকে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দেওয়া। এই লক্ষ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আমাদের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। সিইসি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো নিরপেক্ষ ও ন্যায্য নির্বাচন। এটাই আমাদের অঙ্গীকার। এ ব্যাপারে আমাদের আত্মবিশ্বাস প্রবল। তিনি আরও বলেন, আমাদের রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুবই সহজ নয়। তবে, বিশ্বাস করি যে, স্বচ্ছ নির্বাচনের পর সব পরিস্থিতি শান্ত হবে। আমাদের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা দায়িত্বশীল ও বুদ্ধিমান।

এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ২১ লক্ষ ভোটার মারা গেছেন, তারপরও তাদের নাম তালিকায় রয়েছে, যা ইসি নিশ্চিত করেছে। বিগত তিন নির্বাচনে মৃত ভোটারদের ভোট অন্য কেউ দিয়েছে বলে জানা গেছে। বিদেশে বসবাসরত অনেক বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে, তাই পাসপোর্ট যাচাই না করে পোস্টাল ভোটের সুবিধা দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি জানান, মিয়ানমারের নাগরিক নীলফামারিতে ভোটার হয়েছেন, এ পর্যন্ত কমিশন ২০-২৫ জনের মতো ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে। সিইসি বলেন, আইন না হওয়া পর্যন্ত গণভোটের ব্যালট কেমন হবে, তা বলা অসম্ভব। চারটি প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট হবে। আইন প্রণয়ন হলে পরবর্তী সময়ে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নেবে এবং সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি আরও যোগ করেন, নির্বাচনের আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে। কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং: সিইসি

আপডেট সময় ০৬:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট সম্পন্ন করার পরিকল্পনা অত্যন্ত কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। এত বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন আগে কখনো হয়নি নির্বাচন কমিশনের। শনিবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেকশনসের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। সিইসি বলেন, একই দিনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চিঠি দিয়েছে। খুব শিগগিরই আইন প্রণয়ন হবে, যা শেষ হলে নির্বাচন কমিশন গণভোটের জন্য প্রস্তুতি শুরু করবে। তিনি উল্লেখ করেন, আগে কোনো নির্বাচন কমিশন এই ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়নি, কারণ সব কিছু আইনের মধ্যে থেকে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের অন্য কোনও বিকল্প নেই।

নির্বাচনের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা বিশাল বলে উল্লেখ করেন এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, গত দুই থেকে তিন দিনে বুঝতে পেরেছি, এই প্রত্যাশা আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। যাই হোক না কেন, মূল উদ্দেশ্য হলো জাতিকে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দেওয়া। এই লক্ষ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আমাদের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। সিইসি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হলো নিরপেক্ষ ও ন্যায্য নির্বাচন। এটাই আমাদের অঙ্গীকার। এ ব্যাপারে আমাদের আত্মবিশ্বাস প্রবল। তিনি আরও বলেন, আমাদের রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুবই সহজ নয়। তবে, বিশ্বাস করি যে, স্বচ্ছ নির্বাচনের পর সব পরিস্থিতি শান্ত হবে। আমাদের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা দায়িত্বশীল ও বুদ্ধিমান।

এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ২১ লক্ষ ভোটার মারা গেছেন, তারপরও তাদের নাম তালিকায় রয়েছে, যা ইসি নিশ্চিত করেছে। বিগত তিন নির্বাচনে মৃত ভোটারদের ভোট অন্য কেউ দিয়েছে বলে জানা গেছে। বিদেশে বসবাসরত অনেক বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে, তাই পাসপোর্ট যাচাই না করে পোস্টাল ভোটের সুবিধা দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি জানান, মিয়ানমারের নাগরিক নীলফামারিতে ভোটার হয়েছেন, এ পর্যন্ত কমিশন ২০-২৫ জনের মতো ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে। সিইসি বলেন, আইন না হওয়া পর্যন্ত গণভোটের ব্যালট কেমন হবে, তা বলা অসম্ভব। চারটি প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট হবে। আইন প্রণয়ন হলে পরবর্তী সময়ে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নেবে এবং সিদ্ধান্ত নেবে।

তিনি আরও যোগ করেন, নির্বাচনের আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে। কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।


প্রিন্ট