, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে-বসবে-গ্রেপ্তার করবে: শাহজাহান চৌধুরী

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৭ বার পড়া হয়েছে

জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী বলেন, আজকের এই সুযোগ জামায়াতের জন্য ভবিষ্যতে আর আসবে না। দেশের দুর্নীতির টাকা বাদ দিলে, পার্শ্ববর্তী দেশ হিন্দুস্তান থেকে প্রচুর অর্থ দেশে প্রবেশ করবে। সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রও আসবে। যদি আমাদের আমিরে জামায়াত থাকতেন, তাহলে আমি বলতাম, নির্বাচন শুধুমাত্র জনগণের উপর ভিত্তি করে নয়। আমি জাতীয়তা বলব না, বরং প্রত্যেকের নির্বাচনী এলাকায়, যারা প্রশাসনে থাকেন, তাদেরকে অবশ্যই আমাদের অধীনে আনতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে, আমাদের কথায় গ্রেপ্তার হবে, আমাদের কথায় মামলা করবে। শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে জামায়াতের চট্টগ্রাম নির্বাচনী দায়িত্বশীলদের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বক্তৃতার এক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় এক নেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, প্রত্যেকের নির্বাচনী এলাকায় প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের বলতে হবে, দাঁড়িপাল্লার কথা। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষকদেরও বলতে হবে, দাঁড়িপাল্লার কথা। পুলিশকে আপনার পেছনে পেছনে হাঁটতে হবে। ওসি সাহেব আপনার কি পরিকল্পনা সকাল বেলায় জানবেন, এবং আপনাকে প্রোটোকল প্রদান করবেন। টিএনও (ইউএনও) সাহেবের মাধ্যমে যে উন্নয়ন এসেছে, তার সব হিসাবও খুঁজে বের করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমি আমার দক্ষিণ জেলায় অনেকের সঙ্গে সহযোগিতা করেছি। তখন ক্যান্ডিডেট হিসেবে আমার নামও ঘোষণা করা হয়নি। উপদেষ্টাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, লোহাগাড়ায় ১০০ কোটি, সাতকানিয়ায় ১০০ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। জনগণের চাহিদা, অভিযোগ ও প্রয়োজন বুঝতে হবে। আমার এলাকায় ডেকোরেশনের কর্মীদের নিয়ে সম্মেলন হয়েছে। অনেক এলাকায় হয়নি। আমরা তো তাদের ভোটার মনে করি না। সবাইকে নিয়ে সম্মেলন করতে হবে। চট্টগ্রামের এই শীর্ষ জামায়াত নেতা বলেন, আমাকে ক্ষমা করবেন, নির্বাচন সংগঠন নয়। তবে সংগঠন অবশ্যই প্রয়োজন। সংগঠন আমাদের মূল ভিত্তি। সংগঠনই আমাদের একমাত্র শক্তি। কিন্তু জনগণকে যদি স্থান না দেন, তাহলে নির্বাচনে জয় পাওয়া কঠিন। যেমন বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের লোক নিয়ে দেশ শাসন করতে চেয়েছে। ফলে জনগণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এজন্য জনতার আন্দোলনের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতারা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। সমাবেশে শাহজাহান চৌধুরীর এই বক্তব্য প্রকাশের পর রাজনীতির অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে-বসবে-গ্রেপ্তার করবে: শাহজাহান চৌধুরী

আপডেট সময় ১১:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী বলেন, আজকের এই সুযোগ জামায়াতের জন্য ভবিষ্যতে আর আসবে না। দেশের দুর্নীতির টাকা বাদ দিলে, পার্শ্ববর্তী দেশ হিন্দুস্তান থেকে প্রচুর অর্থ দেশে প্রবেশ করবে। সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্রও আসবে। যদি আমাদের আমিরে জামায়াত থাকতেন, তাহলে আমি বলতাম, নির্বাচন শুধুমাত্র জনগণের উপর ভিত্তি করে নয়। আমি জাতীয়তা বলব না, বরং প্রত্যেকের নির্বাচনী এলাকায়, যারা প্রশাসনে থাকেন, তাদেরকে অবশ্যই আমাদের অধীনে আনতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে, আমাদের কথায় গ্রেপ্তার হবে, আমাদের কথায় মামলা করবে। শনিবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের জিইসি কনভেনশন সেন্টারে জামায়াতের চট্টগ্রাম নির্বাচনী দায়িত্বশীলদের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বক্তৃতার এক পর্যায়ে কেন্দ্রীয় এক নেতার দৃষ্টি আকর্ষণ করে শাহজাহান চৌধুরী বলেন, প্রত্যেকের নির্বাচনী এলাকায় প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের বলতে হবে, দাঁড়িপাল্লার কথা। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সব শিক্ষকদেরও বলতে হবে, দাঁড়িপাল্লার কথা। পুলিশকে আপনার পেছনে পেছনে হাঁটতে হবে। ওসি সাহেব আপনার কি পরিকল্পনা সকাল বেলায় জানবেন, এবং আপনাকে প্রোটোকল প্রদান করবেন। টিএনও (ইউএনও) সাহেবের মাধ্যমে যে উন্নয়ন এসেছে, তার সব হিসাবও খুঁজে বের করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমি আমার দক্ষিণ জেলায় অনেকের সঙ্গে সহযোগিতা করেছি। তখন ক্যান্ডিডেট হিসেবে আমার নামও ঘোষণা করা হয়নি। উপদেষ্টাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, লোহাগাড়ায় ১০০ কোটি, সাতকানিয়ায় ১০০ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। জনগণের চাহিদা, অভিযোগ ও প্রয়োজন বুঝতে হবে। আমার এলাকায় ডেকোরেশনের কর্মীদের নিয়ে সম্মেলন হয়েছে। অনেক এলাকায় হয়নি। আমরা তো তাদের ভোটার মনে করি না। সবাইকে নিয়ে সম্মেলন করতে হবে। চট্টগ্রামের এই শীর্ষ জামায়াত নেতা বলেন, আমাকে ক্ষমা করবেন, নির্বাচন সংগঠন নয়। তবে সংগঠন অবশ্যই প্রয়োজন। সংগঠন আমাদের মূল ভিত্তি। সংগঠনই আমাদের একমাত্র শক্তি। কিন্তু জনগণকে যদি স্থান না দেন, তাহলে নির্বাচনে জয় পাওয়া কঠিন। যেমন বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের লোক নিয়ে দেশ শাসন করতে চেয়েছে। ফলে জনগণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এজন্য জনতার আন্দোলনের মধ্যে আওয়ামী লীগের নেতারা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। সমাবেশে শাহজাহান চৌধুরীর এই বক্তব্য প্রকাশের পর রাজনীতির অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।


প্রিন্ট