খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে সুখবর দিলেন তথ্য উপদেষ্টা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৯৩
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু
হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গেলেন তামিম ইকবাল
নোয়াখালীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া
মসজিদে বিয়ে ও সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন শবনম ফারিয়া
দেশে বাড়লো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম
ইসরায়েলি হামলার গাজায় নিহত ৭০ হাজারের বেশি
খাদ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস
মুন্সীগঞ্জে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
- আপডেট সময় ০৮:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৫ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জের পিটিআই পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক তৃতীয় শ্রেণির নয় বছরের এক ছাত্রীর সঙ্গে বিদ্যালয়ের বাথরুমে অশ্লীল আচরণের চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা বিদ্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে মারধর করে আহত করে। পুলিশ জানায়, রোববার (২০ নভেম্বর) বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে ৪টার মধ্যে পিটিআই পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রোমান মিয়া (৩৫) ওই ছাত্রীর সঙ্গে বিদ্যালয়ের বাথরুমে অনৈতিক আচরণের চেষ্টা করেন। শিশুটি বাড়িতে গিয়ে ঘটনার কথা জানালে তার পরিবার একই দিন বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে বিদ্যালয়ের অফিসে অভিযোগ দেয়। স্কুল বন্ধ থাকায় পিটিআই সুপারিন্টেডেন্ট মো. আমিনুল ইসলাম ২৩ নভেম্বর সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে জরুরি সভা ডাকে। তবে ঘটনা দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ভিকটিমের পরিবার ও স্থানীয়রা সকাল ১০টার দিকে বিদ্যালয় ঘেরাও করে এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে মারধর করে। পরে মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে রোমান মিয়াকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয় এবং থানায় নিয়ে আসে। উত্তেজিত জনতা এরপরও বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থান করে পিটিআই সুপারিন্টেডেন্টের দায়িত্বহীনতার অভিযোগ তোলে এবং তার অপসারণের দাবি জানায়। তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দেয়। পুলিশ, যৌথবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ভিকটিমের বাবা আব্দুল কুদ্দুসের অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯(৪)(খ) ধারায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়। আদালতের মাধ্যমে অভিযুক্ত শিক্ষকের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সাইফুল আলম বলেছেন, আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছি এবং আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে।
প্রিন্ট















