, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

ধানক্ষেতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর মরদেহ, স্বামী আটক

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৩ বার পড়া হয়েছে

চাঁদপুরের হাইমচরে ধানক্ষেত থেকে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় তার স্বামী জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার ৪ নম্বর নীলকমল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রাধিকান্দির একটি ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর দেহ দেখা যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, জহিরুল ইসলাম নিজেই তার গর্ভবতী স্ত্রীর হত্যা করেছেন। গ্রেফতারির পর এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে স্বামী জহিরুল স্বীকার করে জানান, তার ধারণা ছিল যে তার স্ত্রীর গর্ভের সন্তান তার নয়। কাকলি বেগম বিভিন্ন অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিলেন এবং অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, জহিরুলকে গ্রেফতার করার পরে সে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তাকে নীলকমল নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে জহিরুল বলেন, “এই বউ আমাকে আগেই কয়েকবার মারার চেষ্টা করছিল। তাই আমি নিজেই ওকে হত্যা করছি। প্রায়ই আমাকে হুমকি-ধমকি দিত। এমনকি মারধরও করত। আমি নিজ হাতে ওকে হত্যা করেছি। আমার কোনো সহযোগী ছিল না।” নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মনির সিকদার বলেন, আমি দুপুর ২টার দিকে জানতে পারি, এলাকার লোকজন দেখেছেন নদীর পাড়ে তার কাপড়-চোপড়। এরপর আমি ও আরও অনেকেই খোঁজখবর শুরু করি। এক পর্যায়ে খালের পাড়ে ধানক্ষেতের মধ্যে লাশ দেখতে পাই। পাশে ছিল তার স্বামী জহিরুল। তাকে জিজ্ঞেস করলে সে নিজেই স্বীকার করে যে সে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ওই নারীর স্বামী হত্যাকাণ্ডে জড়িত। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

ধানক্ষেতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর মরদেহ, স্বামী আটক

আপডেট সময় ০৭:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

চাঁদপুরের হাইমচরে ধানক্ষেত থেকে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় তার স্বামী জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। রোববার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার ৪ নম্বর নীলকমল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রাধিকান্দির একটি ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর দেহ দেখা যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, জহিরুল ইসলাম নিজেই তার গর্ভবতী স্ত্রীর হত্যা করেছেন। গ্রেফতারির পর এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে স্বামী জহিরুল স্বীকার করে জানান, তার ধারণা ছিল যে তার স্ত্রীর গর্ভের সন্তান তার নয়। কাকলি বেগম বিভিন্ন অনৈতিক কাজে লিপ্ত ছিলেন এবং অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, জহিরুলকে গ্রেফতার করার পরে সে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তাকে নীলকমল নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে জহিরুল বলেন, “এই বউ আমাকে আগেই কয়েকবার মারার চেষ্টা করছিল। তাই আমি নিজেই ওকে হত্যা করছি। প্রায়ই আমাকে হুমকি-ধমকি দিত। এমনকি মারধরও করত। আমি নিজ হাতে ওকে হত্যা করেছি। আমার কোনো সহযোগী ছিল না।” নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মনির সিকদার বলেন, আমি দুপুর ২টার দিকে জানতে পারি, এলাকার লোকজন দেখেছেন নদীর পাড়ে তার কাপড়-চোপড়। এরপর আমি ও আরও অনেকেই খোঁজখবর শুরু করি। এক পর্যায়ে খালের পাড়ে ধানক্ষেতের মধ্যে লাশ দেখতে পাই। পাশে ছিল তার স্বামী জহিরুল। তাকে জিজ্ঞেস করলে সে নিজেই স্বীকার করে যে সে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ওই নারীর স্বামী হত্যাকাণ্ডে জড়িত। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট