, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

বাউল আবুল সরকারের মুক্তি দাবি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্বারকলিপি

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৯ বার পড়া হয়েছে

বয়াতি ও পালাকার আবুল সরকারের মুক্তি এবং মানিকগঞ্জে তার ভক্তদের ওপর হামলার ন্যায্য বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে সাধু-গুরু ভক্ত ও ওলি-আওলিয়া আশেকান পরিষদ। সোমবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনের পরে পরিষদ একটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি পেশ করে। এতে বলা হয়, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে একটি পালাগানের পরিবেশনার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে বয়াতি ও পালাকাল মহারাজ আবুল সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে তার ভক্তরা মানববন্ধন করলে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন। আমরা এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে মহারাজ আবুল সরকারের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, পালাগান আমাদের বাংলার শতাব্দীর ঐতিহ্য, যেখানে তর্ক, বিতর্ক, যুক্তি-প্রমাণ এবং প্রতীকি অভিনয়ের মাধ্যমে ধর্মীয়, নৈতিক ও মানবিক শিক্ষা বিস্তার ঘটে। পালার কাঠামোয় পালাকারদের বিপরীত চরিত্রে অভিনয় একটি জনপ্রিয় নান্দনিক রীতি, যা প্রাচীনকাল থেকেই সাধারণ মানুষের শিক্ষা ও উপভোগের জন্য পরিচিত। তবে কিছু অযোগ্য ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মহল আবুল সরকারের পালার একটি অংশকে বিচ্ছিন্নভাবে তুলে এনে তাকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে, যা বাস্তবতার সঙ্গে মিল নয়। তিনি সুফি ধারার একজন শিল্পী; এই ধারায় নাস্তিকতার স্থান নেই, বরং আল্লাহ ও রাসূলের প্রশংসা ও প্রেমের গাথাই তাদের মূল বিষয়। ফলে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, আমরা আশঙ্কা করছি যে একটি গোষ্ঠী এই ঘটনার অপব্যবহার করে সমাজে অস্থিরতা ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চায়। এই পরিস্থিতিতে আমাদের দাবি— বয়াতি ও পালাকাল মহারাজ আবুল সরকারের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি; মানিকগঞ্জে তার ভক্তদের ওপর হামলার দায়ীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা; সমাজে অস্থিরতা ঠেকাতে সরকারের কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ; দেশের বিভিন্ন মাজার ভাঙচুর ও ভক্তদের ওপর প্রায় একশোয়ের বেশি হামলার ঘটনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি; ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে সরকারের দায়িত্বশীল ও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করার অনুরোধ জানাই। মানববন্ধনে বক্তৃতা দেন গবেষক ও চিন্তক ফরহাদ মজহার, বাউল মোহাম্মদ রোমেল, আবুল কাশেম, আলেয়া বেগম প্রমুখ।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

বাউল আবুল সরকারের মুক্তি দাবি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্বারকলিপি

আপডেট সময় ০১:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

বয়াতি ও পালাকার আবুল সরকারের মুক্তি এবং মানিকগঞ্জে তার ভক্তদের ওপর হামলার ন্যায্য বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে সাধু-গুরু ভক্ত ও ওলি-আওলিয়া আশেকান পরিষদ। সোমবার (২৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনের পরে পরিষদ একটি প্রতিনিধি দল স্মারকলিপি পেশ করে। এতে বলা হয়, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে একটি পালাগানের পরিবেশনার সময় ইচ্ছাকৃতভাবে বয়াতি ও পালাকাল মহারাজ আবুল সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে তার ভক্তরা মানববন্ধন করলে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন। আমরা এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে মহারাজ আবুল সরকারের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, পালাগান আমাদের বাংলার শতাব্দীর ঐতিহ্য, যেখানে তর্ক, বিতর্ক, যুক্তি-প্রমাণ এবং প্রতীকি অভিনয়ের মাধ্যমে ধর্মীয়, নৈতিক ও মানবিক শিক্ষা বিস্তার ঘটে। পালার কাঠামোয় পালাকারদের বিপরীত চরিত্রে অভিনয় একটি জনপ্রিয় নান্দনিক রীতি, যা প্রাচীনকাল থেকেই সাধারণ মানুষের শিক্ষা ও উপভোগের জন্য পরিচিত। তবে কিছু অযোগ্য ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মহল আবুল সরকারের পালার একটি অংশকে বিচ্ছিন্নভাবে তুলে এনে তাকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে, যা বাস্তবতার সঙ্গে মিল নয়। তিনি সুফি ধারার একজন শিল্পী; এই ধারায় নাস্তিকতার স্থান নেই, বরং আল্লাহ ও রাসূলের প্রশংসা ও প্রেমের গাথাই তাদের মূল বিষয়। ফলে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, আমরা আশঙ্কা করছি যে একটি গোষ্ঠী এই ঘটনার অপব্যবহার করে সমাজে অস্থিরতা ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে চায়। এই পরিস্থিতিতে আমাদের দাবি— বয়াতি ও পালাকাল মহারাজ আবুল সরকারের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি; মানিকগঞ্জে তার ভক্তদের ওপর হামলার দায়ীদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা; সমাজে অস্থিরতা ঠেকাতে সরকারের কার্যকর ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ; দেশের বিভিন্ন মাজার ভাঙচুর ও ভক্তদের ওপর প্রায় একশোয়ের বেশি হামলার ঘটনা নিয়ে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি; ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে সরকারের দায়িত্বশীল ও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করার অনুরোধ জানাই। মানববন্ধনে বক্তৃতা দেন গবেষক ও চিন্তক ফরহাদ মজহার, বাউল মোহাম্মদ রোমেল, আবুল কাশেম, আলেয়া বেগম প্রমুখ।


প্রিন্ট