খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে সুখবর দিলেন তথ্য উপদেষ্টা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৯৩
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু
হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গেলেন তামিম ইকবাল
নোয়াখালীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া
মসজিদে বিয়ে ও সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন শবনম ফারিয়া
দেশে বাড়লো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম
ইসরায়েলি হামলার গাজায় নিহত ৭০ হাজারের বেশি
খাদ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস
চাপ প্রয়োগ করলে নাম প্রকাশ করে দেব : দুদক চেয়ারম্যান
- আপডেট সময় ১২:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
- / ৮ বার পড়া হয়েছে
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন উল্লেখ করেন, দুর্নীতির তদন্ত বা অনুসন্ধানে বাধা সৃষ্টি করলে ভবিষ্যতে যে কেউ যদি চাপ প্রয়োগ করে, আমরা তাদের নাম প্রকাশ করে দেব। দুদকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বিকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দুদক চেয়ারম্যান এ সব কথা বলেন। সভায় দুদকের কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবর আজিজী এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাফিজ আহসান ফরিদ ও সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম উপস্থিত ছিলেন। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তির উপরে চাপ বেশি পড়ে। দুর্নীতিমুক্ত থাকলে, সোজা হয়ে থাকলে চাপ কম আসে। যারা চাপ দেবে তারা ভাববে, দেবে কি না। ভবিষ্যতে যারা অন্যায়ভাবে দুদকে চাপ প্রয়োগ করবে, তাদের নাম প্রকাশ করে দেব। দুদক এখনো কি নখ-দন্তহীন বাঘ—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দাঁত যতটা প্রয়োজন ছিল, এখনও ততটা তীক্ষ্ণ হয়নি। নখও পুরোপুরি গজায়নি। মাঝামাঝি পর্যায়ে আছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গার দুর্নীতি প্রতিরোধ একা দুদকের কাজ নয়। তিনি সিঙ্গাপুরের উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, দেশটির প্রতিটি প্রতিষ্ঠান নিজস্ব উদ্যোগে দুর্নীতি প্রতিরোধে কাজ করে। এছাড়া তাদের আমাদের মতো একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যার কাজ হলো নজরদারি ও খবরদারি করা। অফিসে যেখানে দুর্নীতি হওয়ার কথা; সেখানে অভ্যন্তরীণ অডিট হয়। বাইরের অডিট হয়, তারপরও কেন আমার কাছে আসে—এটি প্রশ্ন। আসার কোনো কারণ নেই। ড. আবদুল মোমেন বলেন, ভোটে কালো টাকার দৌরাত্ম্য আগে দেখেছি, এবারও হতে পারে। আপনি যদি ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন, ১ কোটি টাকা নিজের কাজে লাগান, তাহলে লাভ হয় ৯ কোটি টাকা। তবে যদি ১০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করতে গিয়ে ১০০ কোটি দণ্ড দেয়া হয়, তাহলে অন্য কেউ এ কাজ করবে না। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের হাতে সময় খুবই কম। আপনাদের হুইসল বাজাতে হবে, আমরা আমাদের শক্তি ও সক্ষমতা দিয়ে সেটা পরীক্ষার চেষ্টা করব। নির্বাচনপরবর্তী সময়ে হলফনামার সত্যতা যাচাই করা হবে কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এর কোনো বাধা নেই। শতবার করব। আমরা নট সাই। আমাদের সম্পদ সীমিত। লোকবলও কম। আমরা ৫-৭ জনের একটি টিম গঠন করব কি না, সেটি দেখব। উপদেষ্টাদের পিএসের দুর্নীতির অনুসন্ধানের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের চারটি ফাইল ছিল। সেগুলোর অনুসন্ধান শেষের পথে, কাজগুলো এখনও সম্পন্ন হয়নি। সম্পন্ন হলে সবাই জানবে।
প্রিন্ট














