খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে সুখবর দিলেন তথ্য উপদেষ্টা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৯৩
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু
হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গেলেন তামিম ইকবাল
নোয়াখালীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া
মসজিদে বিয়ে ও সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন শবনম ফারিয়া
দেশে বাড়লো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম
ইসরায়েলি হামলার গাজায় নিহত ৭০ হাজারের বেশি
খাদ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস
সংসদ নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-গ্রহণযোগ্য করতে পাঁচ সুপারিশ
- আপডেট সময় ০১:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
- / ৬ বার পড়া হয়েছে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ উপস্থাপন করেছে ‘ফেয়ার ইলেকশন অ্যাডভাইজরি কমিটি’ নামে অবসরপ্রাপ্ত বিসিএস অফিসারদের একটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ফোরাম। বুধবার (২৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব সুপারিশ তুলে ধরেন কমিটির সদস্য সচিব ও সাবেক সরকারি সচিব ড. মো. শরিফুল আলম, যিনি ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপকও। সুপারিশগুলো হলো— প্রথমত, প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে অনলাইন ভিত্তিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন: স্বচ্ছ নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রায় ৪৩ হাজার কেন্দ্রের মধ্যে অনলাইন ক্যামেরা লাগানো অপরিহার্য। এর জন্য আনুমানিক ২০০ কোটি টাকার ব্যয় ধরা হয়েছে, যা যৌক্তিক। সময়ের অভাবের কারণে একক প্রতিষ্ঠান না করে ডিপিএম পদ্ধতিতে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে দ্রুত ক্রয় করা যেতে পারে। ক্যামেরাগুলো পরে স্কুলের নিরাপত্তা বা ভবিষ্যৎ নির্বাচনেও ব্যবহার করা যাবে। দ্বিতীয়ত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বডি ক্যামেরা ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা: প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা কমপক্ষে দুজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সদস্যকে বাধ্যতামূলকভাবে বডি ক্যামেরা ব্যবহার করতে হবে, যাতে তাদের কার্যকলাপের তদারকি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়। তৃতীয়ত, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলি বা পদায়ন লটারির মাধ্যমে: নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে ডিসি, এসপি, ইউএনও, ওসি এবং নির্বাচন কর্মকর্তাদের বদলি বা পদায়ন লটারির মাধ্যমে করতে হবে। নির্বাচন শেষে ১৫ দিনের মধ্যে আবারও বদলি নিশ্চিত করতে হবে। পেশাদার ও সতচ্ছন্দ কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদায়ন করতে হবে, আর ব্যর্থদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। চতুর্থত, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান: নির্বাচনের আগে থেকেই যৌথ বাহিনী দিয়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে কঠোর অভিযান চালাতে হবে, যা ভোটগ্রহণ চলাকালীনও চলবে। এর মাধ্যমে কোন দল বা গোষ্ঠী নির্বাচন পরিস্থিতি নষ্ট করার বা কেন্দ্র দখলের অপচেষ্টা করতে পারবে না। পঞ্চমত, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের সততা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিতকরণ: নির্বাচন পরিচালনায় নিয়োজিত সরকারি কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ সততা, নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখতে হবে। যেন তারা কোনো রাজনৈতিক প্রভাব বা গোষ্ঠীর প্রভাব মুক্ত থেকে দায়িত্ব পালন করতে পারেন— এ জন্য সরকার, নির্বাচন কমিশন ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রয়োজনীয় নির্দেশনা, পর্যবেক্ষণ ও সহায়তা জোরদার করবে। সংবাদ সম্মেলনে ফেয়ার ইলেকশন অ্যাডভাইজরি কমিটির সভাপতি ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার রাশেদুল হকসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রিন্ট














