, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

চোরাই মোটরসাইকেল কিনে বিপাকে যুবদল নেতা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১২ বার পড়া হয়েছে

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয় করে বিপদে পড়েছেন যুবদল নেতা রায়হান আহমেদ লিজন। তিনি স্বজনের সখের বসে প্রতিবেশী আহাদের কাছ থেকে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে মোটরসাইকেলটি কিনেছিলেন। পরবর্তীতে জানা যায়, সেটি ছিনতাই করা। এ ঘটনার পর ডিবি পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে আটক করে এবং মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের মামলায় তার নাম যুক্ত করা হয়। এরপর থেকে জেলায় যে কোনো ডাকাতির ঘটনায় তার নাম একের পর এক মামলায় জড়িয়ে পড়ে। রায়হান আহমেদ লিজন কালিহাতী উপজেলার বল্লার সিংগাইর গ্রামের নুরু ইসলামের ছেলে। পরিবারের ও স্থানীয়দের অভিযোগ—অভিযোগপত্র বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশ বারবার তাদের বাড়িতে গিয়ে ভয় দেখিয়েছে। এমনকি সম্প্রতি গভীর রাতে থানার এএসআই আমিনুর রহমান এবং আরও দুই পুলিশ সদস্য পোশাক না পরেই বাড়ির গেট ভেঙে প্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের দাবি, ডিবির এসআই নাফিউল ইসলামের কাছে প্রথম গ্রেপ্তারের পর ‘ছাড়’ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে ৭০ হাজার টাকা দিতে হয়। রিমান্ডে থাকাকালীন আরও ১০ হাজার টাকা নেওয়া হয়। টাকা দেওয়ার বিষয়টি কাউকে না বলতে শর্তে লিজনের বাবার ভিডিও জবানবন্দিও নেওয়া হয়। একাধিক গুরুতর অভিযোগের মধ্যে রয়েছে—তাঁর দেশে না থাকাকালীনও তার নামে ডাকাতির মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাসপোর্ট অনুযায়ী তিনি ৪ ডিসেম্বর ভারতে যান এবং ৭ ডিসেম্বর দেশে ফেরেন। তবে ৫ ডিসেম্বর বাগুটিয়া ব্র্যাক অফিস ডাকাতির ঘটনায় তার নাম আসামি হিসেবে যোগ করা হয়। আবার ছিনতাই মামলায় জেল খাটা অবস্থায়ও আরেকটি ডাকাতি মামলায় তার নাম আসে। স্থানীয়দের অভিযোগ, টাকার দাবিতে লিজনকে বারবার টার্গেট করা হচ্ছে। টাকা না দিলে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। রায়হান আহমেদ লিজন বলেন, ‘স্ট্যাম্প করে মোটরসাইকেল কিনেছি। পরে পুলিশ কাগজপত্র নিয়ে আমাকে ডিবি অফিসে নেয়। দেশে না থাকলেও মামলার বিষয়টি দেখা হচ্ছে। আমরা পরিবারসহ ভয় ও হয়রানির মধ্যে আছি।’ এএসআই আমিনুর রহমান জানান, ‘রাতে যাওয়ার বিষয়ে আমি এসপি স্যারকে লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছি। স্যার অনুমতি না দিলে আমি কিছু বলতে পারবো না।’ তৎকালীন ডিবির এসআই নাফিউল ইসলামের বক্তব্য জানতে ফোন করলেও তিনি কথা বলেননি। কালিহাতী থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘রাতে গেট ভেঙে প্রবেশ করা ঠিক হয়নি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের কাছে জানানো হয়েছে এবং তাদের এসপি বরাবর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।’


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

চোরাই মোটরসাইকেল কিনে বিপাকে যুবদল নেতা

আপডেট সময় ০৩:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে চোরাই মোটরসাইকেল ক্রয় করে বিপদে পড়েছেন যুবদল নেতা রায়হান আহমেদ লিজন। তিনি স্বজনের সখের বসে প্রতিবেশী আহাদের কাছ থেকে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে মোটরসাইকেলটি কিনেছিলেন। পরবর্তীতে জানা যায়, সেটি ছিনতাই করা। এ ঘটনার পর ডিবি পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে আটক করে এবং মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের মামলায় তার নাম যুক্ত করা হয়। এরপর থেকে জেলায় যে কোনো ডাকাতির ঘটনায় তার নাম একের পর এক মামলায় জড়িয়ে পড়ে। রায়হান আহমেদ লিজন কালিহাতী উপজেলার বল্লার সিংগাইর গ্রামের নুরু ইসলামের ছেলে। পরিবারের ও স্থানীয়দের অভিযোগ—অভিযোগপত্র বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশ বারবার তাদের বাড়িতে গিয়ে ভয় দেখিয়েছে। এমনকি সম্প্রতি গভীর রাতে থানার এএসআই আমিনুর রহমান এবং আরও দুই পুলিশ সদস্য পোশাক না পরেই বাড়ির গেট ভেঙে প্রবেশের ঘটনা ঘটেছে। পরিবারের দাবি, ডিবির এসআই নাফিউল ইসলামের কাছে প্রথম গ্রেপ্তারের পর ‘ছাড়’ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে ৭০ হাজার টাকা দিতে হয়। রিমান্ডে থাকাকালীন আরও ১০ হাজার টাকা নেওয়া হয়। টাকা দেওয়ার বিষয়টি কাউকে না বলতে শর্তে লিজনের বাবার ভিডিও জবানবন্দিও নেওয়া হয়। একাধিক গুরুতর অভিযোগের মধ্যে রয়েছে—তাঁর দেশে না থাকাকালীনও তার নামে ডাকাতির মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাসপোর্ট অনুযায়ী তিনি ৪ ডিসেম্বর ভারতে যান এবং ৭ ডিসেম্বর দেশে ফেরেন। তবে ৫ ডিসেম্বর বাগুটিয়া ব্র্যাক অফিস ডাকাতির ঘটনায় তার নাম আসামি হিসেবে যোগ করা হয়। আবার ছিনতাই মামলায় জেল খাটা অবস্থায়ও আরেকটি ডাকাতি মামলায় তার নাম আসে। স্থানীয়দের অভিযোগ, টাকার দাবিতে লিজনকে বারবার টার্গেট করা হচ্ছে। টাকা না দিলে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। রায়হান আহমেদ লিজন বলেন, ‘স্ট্যাম্প করে মোটরসাইকেল কিনেছি। পরে পুলিশ কাগজপত্র নিয়ে আমাকে ডিবি অফিসে নেয়। দেশে না থাকলেও মামলার বিষয়টি দেখা হচ্ছে। আমরা পরিবারসহ ভয় ও হয়রানির মধ্যে আছি।’ এএসআই আমিনুর রহমান জানান, ‘রাতে যাওয়ার বিষয়ে আমি এসপি স্যারকে লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছি। স্যার অনুমতি না দিলে আমি কিছু বলতে পারবো না।’ তৎকালীন ডিবির এসআই নাফিউল ইসলামের বক্তব্য জানতে ফোন করলেও তিনি কথা বলেননি। কালিহাতী থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘রাতে গেট ভেঙে প্রবেশ করা ঠিক হয়নি। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের কাছে জানানো হয়েছে এবং তাদের এসপি বরাবর ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।’


প্রিন্ট