বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারী কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দলের পক্ষ থেকে আগে জানানো হয়েছিল, তার অবস্থা খুবই সংকটজনক। এই খবর শুনে দেশবাসীর মনেও শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। রোববার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তার শেষ শারীরিক পরিস্থিতির কথা প্রকাশ করেছেন। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ম্যাডামের শারীরিক অবস্থা কোনও উন্নতি হয়নি; তিনি এখনও একই জটিল অবস্থায় আছেন। তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা পরিবর্তন হয়নি। তার বিদেশে চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড এখনো কোনো পরামর্শ দেয়নি। বোর্ডের পরামর্শ ছাড়া এই বিষয়ের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। তিনি উল্লেখ করেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের সব কর্মসূচি স্থগিত করেছে বিএনপি। দলের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে তার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করা হয়েছে। হাসপাতালে ভিড় এড়ানোর জন্য রিজভী বলেন, অতিরিক্ত জনসমাগম হলে চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হয়। সবাইকে অনুরোধ করছি, হাসপাতালে বেশি ভিড় না করেন। নিজের অবস্থান থেকে দোয়া করুন। দলের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত চিকিৎসকদের যোগাযোগ রয়েছে বলে তিনি জানান, বিএনপির চেয়ারপার্সনের সামগ্রিক শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ-খবর মেডিকেল বোর্ডই দিচ্ছে। উল্লেখ্য, ৮১ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস, কিডনি জটিলতা সহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। ২৩ নভেম্বর শ্বাসকষ্ট শুরু হলে দ্রুত তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে ১৫ অক্টোবর তিনি একই হাসপাতালে ভর্তি হন। একদিন চিকিৎসা সম্পন্ন করে। এর আগে ৭ জানুয়ারি তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। সেখানে ১১৭ দিন থেকে ফিরে আসার পর ৬ মে তিনি দেশে ফেরেন এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা চালিয়ে যান।