, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

সুটকেসে মিলল আলোচিত বিউটি ইনফ্লুয়েন্সারের মরদেহ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ৪ ঘন্টা আগে
  • / ৪ বার পড়া হয়েছে

অস্ট্রিয়ার জনপ্রিয় সৌন্দর্যপ্রেমী ইনফ্লুয়েন্সার স্টেফানি পাইপার (৩১) পাঁচ দিন নিখোঁজ থাকার পর স্লোভেনিয়ার ঘন জঙ্গলে থেকে তার স্যুটকেসে ভর্তি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড দুই দেশের মধ্যেই ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। স্টাইরিয়ান পুলিশ জানায়, ২৩ নভেম্বর রাতে একটি পার্টি থেকে ফিরে আসার পরই তিনি হঠাৎ নিখোঁজ হন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তিনি মেকআপ, ফ্যাশন ও সংগীতের বিষয়বস্তু তৈরি করে ইউরোপজুড়ে পরিচিত ছিলেন। পার্টি শেষে এক বন্ধুকে পাঠানো বার্তায় বাড়ি ফেরার কথা জানান তিনি। কিছুক্ষণ পরে অন্য এক বার্তায় লেখেন, সিঁড়িঘরে কেউ লুকিয়ে থাকতে পারে বলে তার সন্দেহ হচ্ছে। এরপর তার সঙ্গে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রতিবেশীদের বরাতে জানা যায়, ঐ দিন রাতে স্টেফানির অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তীব্র ঝগড়ার শব্দ শোনা যায় এবং ভবনের ভেতরে তার সাবেক প্রেমিক পিটার এমকেও দেখা যায়। পরের দিন তার পরিবার ও সহকর্মীরা তাকে নিখোঁজের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন। মাত্র এক দিন পরে, ২৪ নভেম্বর স্লোভেনিয়ার অস্ট্রিয়া সীমান্তের কাছাকাছি একটি ক্যাসিনোর পার্কিং লটে আগুনে পুড়ে থাকা লাল গাড়ি উদ্ধার করে পুলিশ। গাড়িটি ছিল পিটার এম–এর। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি সন্দেহজনক আচরণের কারণে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে অস্ট্রিয়া সরকারের অনুরোধে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের কয়েক ঘণ্টা পর পিটার এম স্বীকার করেন, পার্টির পর এক ঝগড়ার সময় তিনি স্টেফানিকে হত্যা করেন শ্বাসরোধ করে। পরে মরদেহটি স্যুটকেসে ভরে গাড়িতে করে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে স্লোভেনিয়ার মাজস্পার্ক এলাকার এক জঙ্গলে কবর দেন। ২৮ নভেম্বর সেখানে অভিযান চালিয়ে মরদেহসহ স্যুটকেস উদ্ধার করে পুলিশ। স্টাইরিয়ান কর্তৃপক্ষ জানায়, হত্যাকাণ্ডের তদন্তে প্রমাণ নষ্ট করা বা গোপন করার জন্য পিটার এম–এর ভাই ও সৎ বাবা-কেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

সুটকেসে মিলল আলোচিত বিউটি ইনফ্লুয়েন্সারের মরদেহ

আপডেট সময় ৪ ঘন্টা আগে

অস্ট্রিয়ার জনপ্রিয় সৌন্দর্যপ্রেমী ইনফ্লুয়েন্সার স্টেফানি পাইপার (৩১) পাঁচ দিন নিখোঁজ থাকার পর স্লোভেনিয়ার ঘন জঙ্গলে থেকে তার স্যুটকেসে ভর্তি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড দুই দেশের মধ্যেই ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে। স্টাইরিয়ান পুলিশ জানায়, ২৩ নভেম্বর রাতে একটি পার্টি থেকে ফিরে আসার পরই তিনি হঠাৎ নিখোঁজ হন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তিনি মেকআপ, ফ্যাশন ও সংগীতের বিষয়বস্তু তৈরি করে ইউরোপজুড়ে পরিচিত ছিলেন। পার্টি শেষে এক বন্ধুকে পাঠানো বার্তায় বাড়ি ফেরার কথা জানান তিনি। কিছুক্ষণ পরে অন্য এক বার্তায় লেখেন, সিঁড়িঘরে কেউ লুকিয়ে থাকতে পারে বলে তার সন্দেহ হচ্ছে। এরপর তার সঙ্গে সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রতিবেশীদের বরাতে জানা যায়, ঐ দিন রাতে স্টেফানির অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তীব্র ঝগড়ার শব্দ শোনা যায় এবং ভবনের ভেতরে তার সাবেক প্রেমিক পিটার এমকেও দেখা যায়। পরের দিন তার পরিবার ও সহকর্মীরা তাকে নিখোঁজের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন। মাত্র এক দিন পরে, ২৪ নভেম্বর স্লোভেনিয়ার অস্ট্রিয়া সীমান্তের কাছাকাছি একটি ক্যাসিনোর পার্কিং লটে আগুনে পুড়ে থাকা লাল গাড়ি উদ্ধার করে পুলিশ। গাড়িটি ছিল পিটার এম–এর। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি সন্দেহজনক আচরণের কারণে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে অস্ট্রিয়া সরকারের অনুরোধে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের কয়েক ঘণ্টা পর পিটার এম স্বীকার করেন, পার্টির পর এক ঝগড়ার সময় তিনি স্টেফানিকে হত্যা করেন শ্বাসরোধ করে। পরে মরদেহটি স্যুটকেসে ভরে গাড়িতে করে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে স্লোভেনিয়ার মাজস্পার্ক এলাকার এক জঙ্গলে কবর দেন। ২৮ নভেম্বর সেখানে অভিযান চালিয়ে মরদেহসহ স্যুটকেস উদ্ধার করে পুলিশ। স্টাইরিয়ান কর্তৃপক্ষ জানায়, হত্যাকাণ্ডের তদন্তে প্রমাণ নষ্ট করা বা গোপন করার জন্য পিটার এম–এর ভাই ও সৎ বাবা-কেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।


প্রিন্ট