, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

বাজেট কমানো ও কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা জাতিসংঘ মহাসচিবের

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ৪ ঘন্টা আগে
  • / ২ বার পড়া হয়েছে

আগামী বছর জাতিসংঘের বাজেট ও কর্মী সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। স্থানীয় সময় সোমবার (১ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বাজেট কমিটির কাছে এ প্রস্তাব পেশ করেন তিনি। খবর আল জাজিরার। জাতিসংঘের মহাসচিব উল্লেখ করেন, বিশ্বসংস্থার ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছে। তবে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে, যার মূল কারণ হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনাদায়ী অর্থ। গুতেরেস জানান, ‘২০২৪ সালের শেষ নাগাদ আমাদের ৭৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বকেয়া ছিল, এর মধ্যে ৭০৯ মিলিয়ন ডলার এখনো পরিশোধ হয়নি। এছাড়া চলতি বছরের ৮৭৭ মিলিয়ন ডলারও এখনও জমা পড়েনি, ফলে মোট বকেয়া দাঁড়িয়েছে ১,৫৮৬ মিলিয়ন ডলার।’ তিনি ২০২৬ সালের জন্য প্রস্তাব করেছেন ৩.২৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজেট, যা ২০২৫ সালের তুলনায় ১৫% কম। এই বাজেটে রাজনৈতিক, মানবিক, নিরস্ত্রীকরণ, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও যোগাযোগের কার্যক্রম থাকবে। বেশিরভাগ জাতিসংঘ সংস্থা, তহবিল ও প্রকল্পের জন্য তহবিল স্বেচ্ছায় দেওয়া হয় যেমন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) ও ইউনিসেফ। গুতেরেস বলেন, ফিলিস্তিন শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘ সংস্থা (UNRWA)-এর বাজেট অপরিবর্তিত থাকবে, কারণ গাজার মানবিক সহায়তার প্রয়োজন বেশি। ‘আমি UNRWA-কে এমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারে এমন কাটছাঁট থেকে রক্ষা করেছি, যা গাজার মানবিক পরিস্থিতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে,’ তিনি বলেন। ‘আফ্রিকার উন্নয়ন ও উন্নয়ন অ্যাকাউন্টের বাজেটও ২০২৫ সালের স্তরেই রাখা হবে,’ যোগ করেন তিনি। আরও জানান, জাতিসংঘ ঘাটতি পূরণের জন্য ২ হাজার ৬৮১টি পদ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা বিভিন্ন সংস্থায় পরিচালিত হবে। মহাসচিব বলেন, এই পদগুলো এমন কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা অন্যরা আরও ভালোভাবে করতে পারবে বা দক্ষতার সঙ্গে কমিয়ে আনা সম্ভব। ইতিমধ্যে জাতিসংঘের ১৮ শতাংশ পদ শূন্য রয়েছে, যা সদস্য রাষ্ট্রের অর্থবকেয়ার কারণে সৃষ্ট সংকটের ফল। তবে তিনি ব্যাখ্যা করেন, এই শূন্য পদগুলো রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ফল নয়, বরং মানুষ চলে যাওয়ায় এবং নতুন কর্মী নিয়োগের জন্য অর্থের অভাবে হয়ে থাকে। বিশেষ রাজনৈতিক মিশনের জন্য আগামী বছরের বাজেটও ৫৪৩.৬ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত কমানো হবে, যা চলতি বছরের তুলনায় ১৪৯.৫ মিলিয়ন ডলার বা ২১.৬% কম। এই কাটছাঁটের ফলে কিছু মিশন বন্ধ হবে এবং কিছু কার্যক্রম সীমিত করা হবে।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

বাজেট কমানো ও কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা জাতিসংঘ মহাসচিবের

আপডেট সময় ৪ ঘন্টা আগে

আগামী বছর জাতিসংঘের বাজেট ও কর্মী সংখ্যা কমানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। স্থানীয় সময় সোমবার (১ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বাজেট কমিটির কাছে এ প্রস্তাব পেশ করেন তিনি। খবর আল জাজিরার। জাতিসংঘের মহাসচিব উল্লেখ করেন, বিশ্বসংস্থার ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছে। তবে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে কার্যক্রম চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে, যার মূল কারণ হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনাদায়ী অর্থ। গুতেরেস জানান, ‘২০২৪ সালের শেষ নাগাদ আমাদের ৭৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বকেয়া ছিল, এর মধ্যে ৭০৯ মিলিয়ন ডলার এখনো পরিশোধ হয়নি। এছাড়া চলতি বছরের ৮৭৭ মিলিয়ন ডলারও এখনও জমা পড়েনি, ফলে মোট বকেয়া দাঁড়িয়েছে ১,৫৮৬ মিলিয়ন ডলার।’ তিনি ২০২৬ সালের জন্য প্রস্তাব করেছেন ৩.২৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজেট, যা ২০২৫ সালের তুলনায় ১৫% কম। এই বাজেটে রাজনৈতিক, মানবিক, নিরস্ত্রীকরণ, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও যোগাযোগের কার্যক্রম থাকবে। বেশিরভাগ জাতিসংঘ সংস্থা, তহবিল ও প্রকল্পের জন্য তহবিল স্বেচ্ছায় দেওয়া হয় যেমন বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) ও ইউনিসেফ। গুতেরেস বলেন, ফিলিস্তিন শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘ সংস্থা (UNRWA)-এর বাজেট অপরিবর্তিত থাকবে, কারণ গাজার মানবিক সহায়তার প্রয়োজন বেশি। ‘আমি UNRWA-কে এমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারে এমন কাটছাঁট থেকে রক্ষা করেছি, যা গাজার মানবিক পরিস্থিতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে,’ তিনি বলেন। ‘আফ্রিকার উন্নয়ন ও উন্নয়ন অ্যাকাউন্টের বাজেটও ২০২৫ সালের স্তরেই রাখা হবে,’ যোগ করেন তিনি। আরও জানান, জাতিসংঘ ঘাটতি পূরণের জন্য ২ হাজার ৬৮১টি পদ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা বিভিন্ন সংস্থায় পরিচালিত হবে। মহাসচিব বলেন, এই পদগুলো এমন কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পর্কিত, যা অন্যরা আরও ভালোভাবে করতে পারবে বা দক্ষতার সঙ্গে কমিয়ে আনা সম্ভব। ইতিমধ্যে জাতিসংঘের ১৮ শতাংশ পদ শূন্য রয়েছে, যা সদস্য রাষ্ট্রের অর্থবকেয়ার কারণে সৃষ্ট সংকটের ফল। তবে তিনি ব্যাখ্যা করেন, এই শূন্য পদগুলো রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ফল নয়, বরং মানুষ চলে যাওয়ায় এবং নতুন কর্মী নিয়োগের জন্য অর্থের অভাবে হয়ে থাকে। বিশেষ রাজনৈতিক মিশনের জন্য আগামী বছরের বাজেটও ৫৪৩.৬ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত কমানো হবে, যা চলতি বছরের তুলনায় ১৪৯.৫ মিলিয়ন ডলার বা ২১.৬% কম। এই কাটছাঁটের ফলে কিছু মিশন বন্ধ হবে এবং কিছু কার্যক্রম সীমিত করা হবে।


প্রিন্ট