নওগাঁয় শুরু হলো মাসব্যাপী শীত বস্ত্র ও শিল্প পণ্য মেলা
বিপিএলের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ
কাজের সময় নিয়ে মুখ খুললেন ‘ড্যান্সিং কুইন’ মাধুরী
ভারতের আধিপত্যের বিরুদ্ধে কথা বলতে শিখিয়েছেন খালেদা জিয়া: রাশেদ খান
খালেদা জিয়ার ‘ডিপ সিচুয়েশন’, সুস্থতা কামনা জামায়াত আমিরের
গাইবান্ধায় কাটাখালী নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন, প্রশাসন নীরব
গাইবান্ধায় ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে তিন বাহিনীর প্রধান
খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় ঢাকায় আসছে চীনা ও ব্রিটিশ বিশেষজ্ঞ দল
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় শিবচরে দোয়া মাহফিল
গাইবান্ধায় কাটাখালী নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন, প্রশাসন নীরব
- আপডেট সময় ৩ ঘন্টা আগে
- / ৪ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের ছাতারপাড়া এলাকার কাটাখালী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে সরকারি নির্মাণকাজ ও বাঁধের সংস্কার কাজ চালানোর অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, শ্যালো মেশিন চালিত ড্রেজার বসিয়ে নদীর গভীরতা বৃদ্ধি করে বালু তোলা হচ্ছে এবং সেই বালু দিয়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নির্মাণাধীন ভবনের মেঝে ও মাঠ ভরাট করা হচ্ছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, মাটি ভরাটের পরিবর্তে অবৈধভাবে নদীর বালু ব্যবহার করে মাঠ ভরাটের কাজ করছে এক সাব-কন্ট্রাকটর সুজন নামে এক ব্যক্তি, যার পেছনে রয়েছে শক্তিশালী প্রভাবশালী গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতা। কাজের জায়গায় কোনো নির্দেশনা বা সাইনবোর্ড দেখা যায়নি। এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সাধারণ মানুষ নদী বা সরকারি জমি থেকে বালু তোললে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেয়, জরিমানা করে, মামলা তোলে এবং জেলও হয়; কিন্তু সরকারি নির্মাণকাজে নিয়োজিত ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ দেখা যায় না। এতে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোবিন্দগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) জানান, ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে সাতারপাড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা বলেন, মূল ঠিকাদার কাজটি না করে সেটি সাব-কন্ট্রাকটরের কাছে বিক্রি করেছেন, তিনি বালু দিয়ে ভরাটের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন কাটাখালী নদীর পাশে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সংস্কারের জন্য জিও ব্যাগ ফেলার কাজে অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু ব্যবহার হচ্ছে। এর ফলে বাঁধের আশপাশে গভীর গর্ত সৃষ্টি হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ঘটনাস্থলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো কর্মকর্তা পরিচয় দিতে রাজি হননি। তবে পলাশবাড়ী অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক জানান, এই কাজটি টেন্ডার ছাড়া “অফিস থেকে নির্দেশনায়” সম্পন্ন হচ্ছে। সাইনবোর্ড আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান। পঞ্চাশ মিটার জায়গায় ৪,৫০০ জিওব্যাগ ফেলার পরিকল্পনা থাকলেও বরাদ্দের পরিমাণ সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে পারেননি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফুল ইসলাম বলেন, আমি নতুন যোগ দিয়েছি, যদি কোনো অনিয়ম হয় তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাঁধের কাজটি অপ্রয়োজনীয়ভাবে চলছে এবং সরকারি দুই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে অবৈধ বালু ব্যবহার করেও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তারা অবিলম্বে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ, সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা এবং সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ সম্পন্নের দাবি জানান।
প্রিন্ট





















