, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

আ.লীগ নেতা শাহীন চাকলাদারের চার বছরের কারাদণ্ড

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ২৪৩ বার পড়া হয়েছে

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন যশোরের বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার গোপন সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) স্পেশাল জেলা ও দায়রা জজ এস এম নুরুল ইসলামের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তথ্যানুযায়ী, ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ তৎকালীন উপপরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। অভিযোগ ছিল, শাহীন চাকলাদার সম্পদ বিবরণীতে ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন।

দুদকের তদন্তে জানা যায়, তার দাখিল করা সম্পদ বিবরণী ও প্রকৃত সম্পদের মধ্যে বড় ধরনের অসামঞ্জস্য রয়েছে। সম্পদ বিবরণীতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন মোট সম্পদ ১ কোটি ৯৬ লাখ ২১ হাজার ৪০০ টাকা, যার মধ্যে ১ কোটি ১ লাখ ৯১ হাজার ৫১৫ টাকা ঋণ। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার মোট সম্পদ ছিল ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ২০০ টাকা। এই অসামঞ্জস্যের ভিত্তিতে ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় দুদক।

রায়ের দিন শাহীন চাকলাদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মামলাটি পরিচালনায় তার পক্ষে ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুল কাদির।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

আ.লীগ নেতা শাহীন চাকলাদারের চার বছরের কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০৩:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন যশোরের বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একইসঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার গোপন সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) স্পেশাল জেলা ও দায়রা জজ এস এম নুরুল ইসলামের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তথ্যানুযায়ী, ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ তৎকালীন উপপরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। অভিযোগ ছিল, শাহীন চাকলাদার সম্পদ বিবরণীতে ৩৮ লাখ ৩ হাজার ৬৮৫ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন।

দুদকের তদন্তে জানা যায়, তার দাখিল করা সম্পদ বিবরণী ও প্রকৃত সম্পদের মধ্যে বড় ধরনের অসামঞ্জস্য রয়েছে। সম্পদ বিবরণীতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন মোট সম্পদ ১ কোটি ৯৬ লাখ ২১ হাজার ৪০০ টাকা, যার মধ্যে ১ কোটি ১ লাখ ৯১ হাজার ৫১৫ টাকা ঋণ। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তার মোট সম্পদ ছিল ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ২০০ টাকা। এই অসামঞ্জস্যের ভিত্তিতে ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি তার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় দুদক।

রায়ের দিন শাহীন চাকলাদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মামলাটি পরিচালনায় তার পক্ষে ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুল কাদির।


প্রিন্ট