, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ভরা মঞ্চে তরুণীর হিজাব টেনে খুলে বিতর্কে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী Logo ১৪ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭০ কোটি ডলার Logo জাতীয় স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা Logo হাদিকে গুলি: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী গ্রেপ্তার Logo সাংবাদিক আনিস আলমগীরের গ্রেপ্তারে সম্পাদক পরিষদের নিন্দা Logo পঞ্চগড়-১ আসনে মনোনয়নপত্র কিনলেন সারজিস আলম Logo সিইসির সেই বিতর্কিত বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলো ইসি Logo কালই বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ মোবাইল ফোন, নতুন সিদ্ধান্ত সরকারের Logo এমপি প্রার্থী ও রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সে নতুন নীতিমালা Logo গরুর সঙ্গে অটোরিকশার ধাক্কা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গ্রামের সংঘর্ষ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

হারামাইন শরিফে ছবি ও ভিডিও ধারণে কঠোর নিষেধাজ্ঞা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ১০ বার পড়া হয়েছে

সৌদি আরব সরকার ২০২৬ সালের হজ মৌসুম থেকে মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববীর ভেতরে ছবি তোলা ও ভিডিও ধারণের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পবিত্র স্থানগুলোর মর্যাদা রক্ষা এবং হজে অংশগ্রহণকারীদের নির্বিঘ্নে ইবাদত সম্পন্নের উদ্দেশ্যে এই কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২৬ সালের হজে অংশ নেওয়ার জন্য নির্বাচিত (লটারিতে জয়ী) হাজিদের জন্য এই নিয়ম বাধ্যতামূলক। মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ক্যামেরা ব্যবহার করে দুই পবিত্র স্থানের ভেতরে ছবি তোলা ও ভিডিও ধারণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে বলেছে, পবিত্র স্থানগুলোর মর্যাদা রক্ষা এবং হাজিদের অনুভূতি ক্ষুণ্ণ না করার জন্য যেকোনো উপায়ে ছবি তোলার উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পবিত্র স্থানগুলোতে ছবি ও ভিডিওর প্রবণতা বাড়ায় বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। কর্তৃপক্ষ এসব সমস্যা চিহ্নিত করে নিষেধাজ্ঞার কারণ ব্যাখ্যা করেছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ছবি ও ভিডিওর কারণে অপ্রয়োজনীয় ভিড় বাড়ছে। হাজিদের ইবাদত ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে ব্যাঘাত ঘটছে। হাজিরা যেন আরও শান্তিপূর্ণ, শৃঙ্খলিত ও আধ্যাত্মিক পরিবেশে ইবাদত করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে এবং অন্যান্য দর্শনার্থীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ মনে করে, দুই পবিত্র মসজিদের নিয়ম-কানুন অনুসরণ করা প্রতিটি মুসলিমের ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব। এই নতুন নির্দেশনা কার্যকর করতে সৌদি কর্তৃপক্ষ একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। নতুন ও কঠোর নজরদারি ব্যবস্থা চালু করা হবে। হাজিদের সচেতন করতে এবং মসজিদের আদব-কায়দা মনে করিয়ে দিতে বিশেষ দল নিয়োজিত থাকবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সৌদি আরব সরকার আশা করছে, পবিত্র হজ আরও শৃঙ্খলিত ও গভীর আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে পালন হবে।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

হারামাইন শরিফে ছবি ও ভিডিও ধারণে কঠোর নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

সৌদি আরব সরকার ২০২৬ সালের হজ মৌসুম থেকে মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববীর ভেতরে ছবি তোলা ও ভিডিও ধারণের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। পবিত্র স্থানগুলোর মর্যাদা রক্ষা এবং হজে অংশগ্রহণকারীদের নির্বিঘ্নে ইবাদত সম্পন্নের উদ্দেশ্যে এই কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২৬ সালের হজে অংশ নেওয়ার জন্য নির্বাচিত (লটারিতে জয়ী) হাজিদের জন্য এই নিয়ম বাধ্যতামূলক। মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ক্যামেরা ব্যবহার করে দুই পবিত্র স্থানের ভেতরে ছবি তোলা ও ভিডিও ধারণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। মন্ত্রণালয় স্পষ্ট করে বলেছে, পবিত্র স্থানগুলোর মর্যাদা রক্ষা এবং হাজিদের অনুভূতি ক্ষুণ্ণ না করার জন্য যেকোনো উপায়ে ছবি তোলার উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পবিত্র স্থানগুলোতে ছবি ও ভিডিওর প্রবণতা বাড়ায় বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। কর্তৃপক্ষ এসব সমস্যা চিহ্নিত করে নিষেধাজ্ঞার কারণ ব্যাখ্যা করেছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ছবি ও ভিডিওর কারণে অপ্রয়োজনীয় ভিড় বাড়ছে। হাজিদের ইবাদত ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে ব্যাঘাত ঘটছে। হাজিরা যেন আরও শান্তিপূর্ণ, শৃঙ্খলিত ও আধ্যাত্মিক পরিবেশে ইবাদত করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে এবং অন্যান্য দর্শনার্থীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষ মনে করে, দুই পবিত্র মসজিদের নিয়ম-কানুন অনুসরণ করা প্রতিটি মুসলিমের ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব। এই নতুন নির্দেশনা কার্যকর করতে সৌদি কর্তৃপক্ষ একটি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। নতুন ও কঠোর নজরদারি ব্যবস্থা চালু করা হবে। হাজিদের সচেতন করতে এবং মসজিদের আদব-কায়দা মনে করিয়ে দিতে বিশেষ দল নিয়োজিত থাকবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সৌদি আরব সরকার আশা করছে, পবিত্র হজ আরও শৃঙ্খলিত ও গভীর আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে পালন হবে।


প্রিন্ট