পাবনায় ওয়াজ মাহফিলে ছুরিকাঘাতে যুবক হত্যা
রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পে-স্কেল নিয়ে যেসব সিদ্ধান্ত হলো
‘মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ট্রাভেল পাস চাননি তারেক রহমান’
১৬ দিনে এলো ২২২৭৭ কোটি টাকার প্রবাসী আয়
‘রাজাকার’ বয়ানে হাসিনার পতন, আবারও এই ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে: হেফাজত
কথা নয়, কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে চাই: হাবিব
মানিলন্ডারিং আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত
রাজধানীতে ১১টি চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ
বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইটে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
মৌলভীবাজারে মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন জামায়াতের প্রার্থী
‘রাজাকার’ বয়ানে হাসিনার পতন, আবারও এই ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে: হেফাজত
- আপডেট সময় ৪ ঘন্টা আগে
- / ৫ বার পড়া হয়েছে
ইসলামের বিধান ও মুসলমানদের চিহ্ন দাড়ি-টুপিকে ‘রাজাকারের প্রতীক’ হিসেবে উপস্থাপন করে ঘৃণার সুরে এক প্রতিবাদ ও নিন্দা প্রকাশ করেছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, আমরা লক্ষ্য করছি, বিজয় দিবসের উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ইসলামের বিধান ও মুসলমানদের পরিচায়ক দাড়ি-টুপিকে রাজাকারের প্রতীক হিসেবে বানিয়ে ঘৃণার অপপ্রচার আবারও শুরু হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। দেশের ঐক্য ও সম্প্রীতি বিনষ্টকারী এই ঘৃণাজীবীদের প্রতিরোধ করুন। অবৈধ ফ্যাসিস্ট হাসিনার শাসনামলে মুসলমানের পরিচয় ও নাম-নিশানাকে ঘৃণার বস্তু করে ইসলাম ধ্বংসের রাজনীতি চালানো হয়েছিল। জুলাই বিপ্লবীদের শান্তি ও সংহতির পথে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগে হিন্দুত্ববাদী শক্তি ও বাম সেকুলাররা আবারও অস্থিরতা ছড়ানোর চেষ্টা করছে। বিভাজন সৃষ্টি করে দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করলে আমরা চুপ থাকব না। মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, ভুলে গেলে চলবে না যে, ‘রাজাকার’ বলে যে কথাটি ছড়িয়ে পড়েছিল, তা ধসে গেছে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের অন্যতম কারণ। ভারতের বয়ানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রত্যাখ্যান করে নতুন প্রজন্মের একাত্তরের বিপ্লবীদের। ৭১-এর মহান জনযুদ্ধের নেতৃত্ব যারা দিয়েছিল, তারা ক্ষমতার মোহে নিজের দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ফলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিরা আজ আমাদের বিজয় দিবসের পুণ্যতীর্থ ছিনিয়ে নেওয়ার সাহস দেখাচ্ছে। একাত্তরের রক্তাক্ত সংগ্রাম ও বিজয় আমাদেরই, অন্য কারো নয়। তিনি আরও বলেন, ভারতের বয়ানে ‘মুক্তিযুদ্ধ’-এর প্রচারকরা মূলত ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের দালাল। তারা একাত্তরকে ব্লাসফেমিতে পরিণত করেছে। এমনকি কোনো বিতর্কিত তথ্য বা সংখ্যা নিয়েও প্রশ্ন তোলা যাবে না! একাত্তরের সংগ্রাম কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। ৪৭ সালের পরবর্তী সময়ের একাত্তর, আর ৭১-এর বিজয় একই লড়াইয়ের অংশ। কোনোটিকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। এখন আমাদের উচিত সত্যের ইতিহাস চর্চা করা। দীর্ঘকাল ধরে ভারতের হিন্দুত্ববাদী প্রচারণার মোকাবেলা করতে হবে। বদরুদ্দীন উমর বলেছেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের লিখিত ইতিহাস প্রায় ৯০ শতাংশই মিথ্যা।’ এই বিজয় মাসে আমরা একাত্তরের সংগ্রাম ও বিজয় নিয়ে নিরপেক্ষ ইতিহাস নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার জন্য বিশিষ্ট ইতিহাসবিদদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
প্রিন্ট
























