পাবনায় ওয়াজ মাহফিলে ছুরিকাঘাতে যুবক হত্যা
রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পে-স্কেল নিয়ে যেসব সিদ্ধান্ত হলো
‘মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ট্রাভেল পাস চাননি তারেক রহমান’
১৬ দিনে এলো ২২২৭৭ কোটি টাকার প্রবাসী আয়
‘রাজাকার’ বয়ানে হাসিনার পতন, আবারও এই ঘৃণা ছড়ানো হচ্ছে: হেফাজত
কথা নয়, কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে চাই: হাবিব
মানিলন্ডারিং আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত
রাজধানীতে ১১টি চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ
বড়দিন ও থার্টিফার্স্ট নাইটে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
মৌলভীবাজারে মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন জামায়াতের প্রার্থী
রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পে-স্কেল নিয়ে যেসব সিদ্ধান্ত হলো
- আপডেট সময় ৪ ঘন্টা আগে
- / ৩ বার পড়া হয়েছে
সরকারি কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের জন্য নবম পে-স্কেল সংক্রান্ত আলোচনাসভা শেষ হয়েছে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া এই বৈঠক রাত ৮টা পর্যন্ত চলে। জানা গেছে, বেশ কিছু মূল সিদ্ধান্তের খসড়া প্রস্তুত হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কমিশনের বৈঠকে কমিশনের তৈরি ড্রাফটের উপর বিস্তর আলোচনা হয়। কিছু বিষয় সংশোধনের প্রস্তাব এসেছে এবং পরবর্তীতে আবারও পূর্ণাঙ্গ কমিশনের সভার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিশনের রিপোর্ট জমা দেওয়ার আগে অন্তত তিনটি পূর্ণাঙ্গ বৈঠক হবে। এরপর কমিশন তাদের রিপোর্ট জমা দেবে বলে জানা গেছে। সূত্রের মতে, তিন ধাপে এই পে-স্কেল সংশোধনের সুপারিশ কার্যকর হবে। প্রথমে কমিশন তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবে। এরপর এটি সচিব কমিটিতে যাবে। সচিব কমিটির অনুমোদনের পর উপদেষ্টা পরিষদে পাঠানো হবে। উপদেষ্টা পরিষদ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এবং তার পরে সংশ্লিষ্ট গেজেট প্রকাশ করা হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কমিশন সদস্য বলেন, পে-স্কেলের খসড়া ড্রাফট তৈরি হয়েছে, তবে কিছু বিষয় সংশোধন প্রয়োজন। এজন্য আবারও সভা করতে হবে। কমিশন তাদের রিপোর্ট জমা দেবে, যা নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে হবে। ড্রাফটে গ্রেডের সংখ্যা এবং বেতনের সুপারিশ কেমন তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিশন একটি ড্রাফট তৈরি করেছে, তবে এখনও চূড়ান্ত নয়। চূড়ান্ত না হলে বেতন বা গ্রেড নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে অতিরঞ্জিত কোনও সুপারিশ হবে না, বরং বাস্তবসম্মত সুপারিশ করা হবে।
এদিকে, বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন থেকে প্রাপ্ত মতামত বিশ্লেষণ করছে জাতীয় বেতন কমিশন (পে কমিশন)। তবে এখনও সম্পূর্ণ প্রতিবেদন প্রস্তুত হয়নি বলে জানিয়েছে তারা। অন্যদিকে, কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেও সম্প্রতি সচিবালয়ে আন্দোলনকারীদের দমন ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলনের পরবর্তী সিদ্ধান্তে কিছুটা ভীত পে স্কেলের দাবিতে আন্দোলনরত সংগঠনের নেতারা। এই কারণে তারা আপাতত কঠোর কর্মসূচিতে যেতে চান না। সরকারের সিদ্ধান্ত ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তারা নতুন করে ভাবনায় পড়েছেন। বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি জিয়াউল হক বলেন, অবশ্যই আমরা দাবি জানাব, তবে সব দাবি রাস্তায় আন্দোলনের মাধ্যমে আদায় সম্ভব নয়। পে-স্কেলের জন্য আলোচনা ও সমঝোতা করেই সমাধান করতে চাই। পাশাপাশি, সচিবালয়ে সম্প্রতি কিছু অপ্রীতিকর ঘটনায় বাইরের কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ, তাই সব বিষয় বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সরকারি চাকরিজীবীদের বিধিমালা ও শৃঙ্খলা বহির্ভূত কোনও কর্মসূচি দেওয়া হবে না বলে ওয়ারেছ আলী, দাবি আদায় কমিটির সমন্বয়ক, উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, একজন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে আমি ইচ্ছেমতো কর্মসূচি দিতে পারি না। বিধিমালা ও শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে কর্মসূচি দেওয়া হবে। বিধিমালা বহির্ভূত কোনও কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে না।
পে কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান নেতৃত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন ড. মোহাম্মদ আলী খান, মো. ফজলুল করিম, মো. মোসলেম উদ্দীন, সদস্য সচিব মো. ফরহাদ সিদ্দিকসহ অন্যান্য সদস্য ও কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিজীবীদের নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নের জন্য গত জুলাই মাসে কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। এই কমিশনের ছয় মাসের মধ্যে সুপারিশ জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে, কর্মচারীরা দাবি করেছেন, ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে নতুন পে-স্কেলের গেজেট প্রকাশ করতে হবে।
প্রিন্ট
























