, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

ইতালিতে বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ৮ ঘন্টা আগে
  • / ৩ বার পড়া হয়েছে

ঘরভর্তি মানুষের করুণ আহাজারিতে চারপাশ ভারী হয়ে উঠেছে। দূরবর্তী দেশে প্রিয়জনের মৃত্যু মানা সম্ভব হচ্ছে না কারো জন্যই। পরিবারের আশা ছিল, ভাগ্য বদলের জন্য তিন বছর আগে দেশ ছেড়ে ইতালি পাড়ি দিয়েছিলেন শরীয়তপুরের যুবক নাঈম ইসলামের মৃত্যুসংবাদে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) এই দৃশ্য দেখা যায়। পরিবার জানায়, ইতালির ছিনতাইকারীরা তার সম্পদ লুটের উদ্দেশ্যে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন। এ ঘটনায় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য স্বজন ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়। জানা যায়, ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় তিন বছর আগে ২০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে দেশ ছেড়ে যান শরীয়তপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ মাহমুদপুর এলাকার এনামুল হক মাদবর ও তাজিয়া বেগম দম্পতির ছেলে নাঈম ইসলাম শান্ত। এক বছর আগে লিবিয়ার সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইতালি পৌঁছান তিনি। এরপর নেপোলি শহরের একটি ক্যাম্পে থাকতেন। পরিবারের বোঝা হাল ধরতে একটি রেস্টুরেন্টে কাজ শুরু করেন তিনি। ধীরে ধীরে ভাগ্য উন্নতির সামান্য আশা দেখা দিলেও হঠাৎ ঘটে এই দুর্ঘটনা। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে নেপোলি শহরে ডিউটি শেষে বাসায় ফেরার পথে তিনি নিহত হন। পরিবারের অভিযোগ, দুর্বৃত্তরা তার টাকা-পয়সা লুটের জন্য গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা করেছে। এই খবর বুধবার পরিবারের কাছে পৌঁছালে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। দোষীদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য দাবি জানানো হয়। নিহতের ভাই বাপ্পি মাদবর বলেন, আমার ভাই কাজ শেষে ফেরার পথে মাঝেমধ্যে ওই এলাকার কিছু বখাটে তাকে বিরক্ত করতো। গত রাতে তারা তাকে হত্যা করেছে। দোষীদের শাস্তির পাশাপাশি ভাইয়ের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই। নাঈমের ছোটবেলার বন্ধু ও চাচাতো ভাই আল-ইমরান অভিযোগ করে বলেন, ইতালিতে আমার ভাইয়ের থেকে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য কিছুদিন ধরে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা চেষ্টা চালাচ্ছিল। গত রাতে বাসায় ফেরার পথে তাকেই হত্যা করেছে তারা। আমরা ভাইকে হারানোর ব্যথা সহ্য করতে পারছি না। নিহতের বাবা এনামুল হক মাদবর বলেন, আমি শুধু একবার আমার ছেলের মুখ দেখতে চাই। যেকোনো উপায়ে সরকার যেন আমার ছেলের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনে। ইউএনও ইলোরা ইয়াসমিন বলেন, আমরা বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এটি খুবই দুঃখজনক। পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

ইতালিতে বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

আপডেট সময় ৮ ঘন্টা আগে

ঘরভর্তি মানুষের করুণ আহাজারিতে চারপাশ ভারী হয়ে উঠেছে। দূরবর্তী দেশে প্রিয়জনের মৃত্যু মানা সম্ভব হচ্ছে না কারো জন্যই। পরিবারের আশা ছিল, ভাগ্য বদলের জন্য তিন বছর আগে দেশ ছেড়ে ইতালি পাড়ি দিয়েছিলেন শরীয়তপুরের যুবক নাঈম ইসলামের মৃত্যুসংবাদে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) এই দৃশ্য দেখা যায়। পরিবার জানায়, ইতালির ছিনতাইকারীরা তার সম্পদ লুটের উদ্দেশ্যে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন। এ ঘটনায় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতের পাশাপাশি মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য স্বজন ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়। জানা যায়, ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় তিন বছর আগে ২০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে দেশ ছেড়ে যান শরীয়তপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ মাহমুদপুর এলাকার এনামুল হক মাদবর ও তাজিয়া বেগম দম্পতির ছেলে নাঈম ইসলাম শান্ত। এক বছর আগে লিবিয়ার সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইতালি পৌঁছান তিনি। এরপর নেপোলি শহরের একটি ক্যাম্পে থাকতেন। পরিবারের বোঝা হাল ধরতে একটি রেস্টুরেন্টে কাজ শুরু করেন তিনি। ধীরে ধীরে ভাগ্য উন্নতির সামান্য আশা দেখা দিলেও হঠাৎ ঘটে এই দুর্ঘটনা। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে নেপোলি শহরে ডিউটি শেষে বাসায় ফেরার পথে তিনি নিহত হন। পরিবারের অভিযোগ, দুর্বৃত্তরা তার টাকা-পয়সা লুটের জন্য গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা করেছে। এই খবর বুধবার পরিবারের কাছে পৌঁছালে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। দোষীদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য দাবি জানানো হয়। নিহতের ভাই বাপ্পি মাদবর বলেন, আমার ভাই কাজ শেষে ফেরার পথে মাঝেমধ্যে ওই এলাকার কিছু বখাটে তাকে বিরক্ত করতো। গত রাতে তারা তাকে হত্যা করেছে। দোষীদের শাস্তির পাশাপাশি ভাইয়ের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের কাছে অনুরোধ জানাই। নাঈমের ছোটবেলার বন্ধু ও চাচাতো ভাই আল-ইমরান অভিযোগ করে বলেন, ইতালিতে আমার ভাইয়ের থেকে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য কিছুদিন ধরে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা চেষ্টা চালাচ্ছিল। গত রাতে বাসায় ফেরার পথে তাকেই হত্যা করেছে তারা। আমরা ভাইকে হারানোর ব্যথা সহ্য করতে পারছি না। নিহতের বাবা এনামুল হক মাদবর বলেন, আমি শুধু একবার আমার ছেলের মুখ দেখতে চাই। যেকোনো উপায়ে সরকার যেন আমার ছেলের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনে। ইউএনও ইলোরা ইয়াসমিন বলেন, আমরা বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে জানতে পেরেছি। এটি খুবই দুঃখজনক। পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট