, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ময়মনসিংহে হিন্দু যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা Logo ওসমান হাদির প্রতীকী লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল Logo ওসমান হাদির জানাজার সময় পরিবর্তন Logo ভালুকায় হিন্দু যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন: জামায়াতে ইসলামীর নিন্দা Logo দেশে উগ্রবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল Logo ট্রাভেল পাস হাতে পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান Logo সাতক্ষীরায় শিশু বিষয়ক সাংবাদিকতা নিয়ে ৪ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা Logo ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড নিয়ে ছাত্রদলের উদ্বেগ, গ্রেপ্তার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি Logo হাদির জানাজায় আনা যাবে না ব্যাগ, ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ Logo কাল বাদ জোহর ওসমান হাদির জানাজা ও দাফন
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

প্রবাসীদের বড় সুসংবাদ দিল সৌদি আরব

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ৬ ঘন্টা আগে
  • / ৩ বার পড়া হয়েছে

সৌদি আরবের শিল্প ক্ষেত্রে চালিকা শক্তি যোগাতে এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে দেশটির মন্ত্রিসভা প্রবাসী শ্রমিকদের ওপর আরোপিত ইকামা বা ওয়ার্ক পারমিট ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্র: জিও নিউজ। সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন বিষয়ক পরিষদ (সিইডিএ)-এর প্রস্তাবনা থেকে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয় বলে জানিয়েছে সৌদি গেজেট। প্রায় ৭ থেকে ৮ বছর পর এই ইকামা (প্রবাসী শ্রমিকের লাইসেন্স ফি) ফের মওকুফ করা হলো। শিল্প ও খনিজসম্পদমন্ত্রী বান্দার আলখোরায়েফ বলেন, প্রবাসী শ্রমিকদের ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক চাপ কমানোর ফলে সৌদি আরবে শিল্পের স্থায়ী অগ্রগতি আরও ত্বরান্বিত হবে। তিনি এটিকে ভিশন ২০৩০-এর অংশ হিসেবে ধারাবাহিক শিল্প উন্নয়নে সহায়ক বলে উল্লেখ করেন। মন্ত্রী আরও বলেন, এই পদক্ষেপ সৌদি শিল্পের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা ক্ষমতা বাড়াবে এবং তেলনির্ভরতা কমিয়ে অন্যান্য পণ্য রপ্তানির দিকেও অগ্রগতি ঘটাবে। ভিশন ২০৩০ এর আওতায় সৌদি আরব তেল নির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে বহুমুখী অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলতে কাজ করছে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য নতুন এই নীতিও গ্রহণ করা হয়েছে। আলখোরায়েফ জানান, ইকামা ফি বাতিলের ফলস্বরূপ কারখানার পরিচালন ব্যয় কমে যাবে, মানসম্পন্ন বিনিয়োগ আকর্ষণ বাড়বে এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো সম্প্রসারণ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উৎসাহিত হবে। পাশাপাশি অটোমেশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও আধুনিক উৎপাদন প্রযুক্তির দ্রুত গ্রহণে এই সিদ্ধান্ত সহায়ক হবে। অন্যদিকে, প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে সৌদি আরব এখনো পাকিস্তানের প্রধান উৎস। চলতি নভেম্বর মাসে দেশটিতে কর্মরত পাকিস্তানিরা ৭৫৩ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যেখানে থেকে এসেছে ৬৭৫ মিলিয়ন ডলার। সৌদি গণমাধ্যমের তথ্যানুসারে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পাকিস্তান থেকে ১৮ লাখ ৮৮ হাজার শ্রমিক সৌদি আরবে প্রবেশ করেছেন, যা ২০১৫–১৯ সালের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। সম্প্রতি সেপ্টেম্বর মাসে দুই দেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর, ইসলামাবাদ সৌদি আরবে বার্ষিক জনশক্তি রপ্তানি ১০ লাখে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে বলেও জানা গেছে। এ পর্যন্ত পাকিস্তানের শ্রমিক রপ্তানি মূলত নির্মাণ, কারিগরি পেশা, স্বাস্থ্যসেবা ও আতিথেয়তা খাতে সীমাবদ্ধ থাকলেও, এখন সরকার নতুন খাতে শ্রমিক পাঠানোর উদ্যোগ নিচ্ছে।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রবাসীদের বড় সুসংবাদ দিল সৌদি আরব

আপডেট সময় ৬ ঘন্টা আগে

সৌদি আরবের শিল্প ক্ষেত্রে চালিকা শক্তি যোগাতে এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করতে দেশটির মন্ত্রিসভা প্রবাসী শ্রমিকদের ওপর আরোপিত ইকামা বা ওয়ার্ক পারমিট ফি মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সূত্র: জিও নিউজ। সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমানের সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন বিষয়ক পরিষদ (সিইডিএ)-এর প্রস্তাবনা থেকে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয় বলে জানিয়েছে সৌদি গেজেট। প্রায় ৭ থেকে ৮ বছর পর এই ইকামা (প্রবাসী শ্রমিকের লাইসেন্স ফি) ফের মওকুফ করা হলো। শিল্প ও খনিজসম্পদমন্ত্রী বান্দার আলখোরায়েফ বলেন, প্রবাসী শ্রমিকদের ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক চাপ কমানোর ফলে সৌদি আরবে শিল্পের স্থায়ী অগ্রগতি আরও ত্বরান্বিত হবে। তিনি এটিকে ভিশন ২০৩০-এর অংশ হিসেবে ধারাবাহিক শিল্প উন্নয়নে সহায়ক বলে উল্লেখ করেন। মন্ত্রী আরও বলেন, এই পদক্ষেপ সৌদি শিল্পের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা ক্ষমতা বাড়াবে এবং তেলনির্ভরতা কমিয়ে অন্যান্য পণ্য রপ্তানির দিকেও অগ্রগতি ঘটাবে। ভিশন ২০৩০ এর আওতায় সৌদি আরব তেল নির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে বহুমুখী অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তুলতে কাজ করছে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য নতুন এই নীতিও গ্রহণ করা হয়েছে। আলখোরায়েফ জানান, ইকামা ফি বাতিলের ফলস্বরূপ কারখানার পরিচালন ব্যয় কমে যাবে, মানসম্পন্ন বিনিয়োগ আকর্ষণ বাড়বে এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো সম্প্রসারণ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উৎসাহিত হবে। পাশাপাশি অটোমেশন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও আধুনিক উৎপাদন প্রযুক্তির দ্রুত গ্রহণে এই সিদ্ধান্ত সহায়ক হবে। অন্যদিকে, প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে সৌদি আরব এখনো পাকিস্তানের প্রধান উৎস। চলতি নভেম্বর মাসে দেশটিতে কর্মরত পাকিস্তানিরা ৭৫৩ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যেখানে থেকে এসেছে ৬৭৫ মিলিয়ন ডলার। সৌদি গণমাধ্যমের তথ্যানুসারে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পাকিস্তান থেকে ১৮ লাখ ৮৮ হাজার শ্রমিক সৌদি আরবে প্রবেশ করেছেন, যা ২০১৫–১৯ সালের তুলনায় ২১ শতাংশ বেশি। সম্প্রতি সেপ্টেম্বর মাসে দুই দেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর, ইসলামাবাদ সৌদি আরবে বার্ষিক জনশক্তি রপ্তানি ১০ লাখে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে বলেও জানা গেছে। এ পর্যন্ত পাকিস্তানের শ্রমিক রপ্তানি মূলত নির্মাণ, কারিগরি পেশা, স্বাস্থ্যসেবা ও আতিথেয়তা খাতে সীমাবদ্ধ থাকলেও, এখন সরকার নতুন খাতে শ্রমিক পাঠানোর উদ্যোগ নিচ্ছে।


প্রিন্ট