, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

জিয়া পরিবারের নেতৃত্বেই দেশের সব বিজয় এসেছে: টুকু

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ৩ বার পড়া হয়েছে

দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষা করতে জিয়া পরিবারের নেতৃত্ব অপরিহার্য বলে মত প্রকাশ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের মনোনীত এমপি প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন পর্যন্ত জিয়া পরিবারের নেতৃত্বেই বাংলাদেশের জনগণ নানা ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের আয়োজনের মহান বিজয় দিবস–২০২৫ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বিজয় উৎসবে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু। সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে বাংলাদেশে চারটি বড় বড় ঐতিহাসিক আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালের সিপাহী–জনতার বিপ্লবেও তার নেতৃত্ব ছিল, যার মধ্য দিয়ে বিএনপির জন্ম হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯০ সালের গণআন্দোলনে দেশের মানুষ একত্রিত হয়েছিল, যার নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। সর্বশেষ ২০২৪ সালের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন জিয়া পরিবারের যোগ্য উত্তরসূরি তারেক রহমান। প্রতিটি আন্দোলনের বিজয়ের পেছনে শহীদ জিয়াউর রহমানের পরিবারের এবং বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’ টুকু বলেন, ‘আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশের মানুষের বহুদিনের প্রত্যাশা। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি এবং নিজেদের পছন্দের সরকার গঠন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এর ফলে তারা তাদের ভোটের অধিকার ও নাগরিক অধিকার হারিয়ে ফেলেছে।’ তিনি বলেন, ‘দেশনায়ক তারেক রহমান স্পষ্টভাবে বলেছেন— বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না; বিএনপি জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য রাজনীতি করে। তিনি সবসময় বলেন— জনগণকে সঙ্গে রাখতে হবে। বিএনপি হচ্ছে জনগণের দল।’ এসময় বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, যারা একাত্তরের পরাজিত শক্তি, যারা গণহত্যা, ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির সঙ্গে জড়িত, তারা আজ বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবসে কর্মসূচি পালন করছে, যা বাংলাদেশের মানুষ মেনে নিতে পারে না। এ দেশের মানুষ চায় না ওই শক্তি আবার রাজনীতিতে ফিরে আসুক। টুকু বলেন, বিজয়ের মাসে আমাদের অঙ্গীকার হোক— যেকোনো মূল্যে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা করতে হবে এবং তা নিশ্চিত করতে হবে আগামী নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে। টাঙ্গাইল জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের আহ্বায়ক শ্যামল হোডের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন টাঙ্গাইল জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আলী ইমাম তপন এবং জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ. কে. এম. মনিরুল হক।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

জিয়া পরিবারের নেতৃত্বেই দেশের সব বিজয় এসেছে: টুকু

আপডেট সময় ০৩:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষা করতে জিয়া পরিবারের নেতৃত্ব অপরিহার্য বলে মত প্রকাশ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের মনোনীত এমপি প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন পর্যন্ত জিয়া পরিবারের নেতৃত্বেই বাংলাদেশের জনগণ নানা ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছে। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের আয়োজনের মহান বিজয় দিবস–২০২৫ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বিজয় উৎসবে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু। সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে বাংলাদেশে চারটি বড় বড় ঐতিহাসিক আন্দোলন সংঘটিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালের সিপাহী–জনতার বিপ্লবেও তার নেতৃত্ব ছিল, যার মধ্য দিয়ে বিএনপির জন্ম হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯০ সালের গণআন্দোলনে দেশের মানুষ একত্রিত হয়েছিল, যার নেতৃত্ব দিয়ে ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। সর্বশেষ ২০২৪ সালের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন জিয়া পরিবারের যোগ্য উত্তরসূরি তারেক রহমান। প্রতিটি আন্দোলনের বিজয়ের পেছনে শহীদ জিয়াউর রহমানের পরিবারের এবং বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’ টুকু বলেন, ‘আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যা বাংলাদেশের মানুষের বহুদিনের প্রত্যাশা। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি এবং নিজেদের পছন্দের সরকার গঠন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এর ফলে তারা তাদের ভোটের অধিকার ও নাগরিক অধিকার হারিয়ে ফেলেছে।’ তিনি বলেন, ‘দেশনায়ক তারেক রহমান স্পষ্টভাবে বলেছেন— বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না; বিএনপি জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য রাজনীতি করে। তিনি সবসময় বলেন— জনগণকে সঙ্গে রাখতে হবে। বিএনপি হচ্ছে জনগণের দল।’ এসময় বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, যারা একাত্তরের পরাজিত শক্তি, যারা গণহত্যা, ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির সঙ্গে জড়িত, তারা আজ বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবসে কর্মসূচি পালন করছে, যা বাংলাদেশের মানুষ মেনে নিতে পারে না। এ দেশের মানুষ চায় না ওই শক্তি আবার রাজনীতিতে ফিরে আসুক। টুকু বলেন, বিজয়ের মাসে আমাদের অঙ্গীকার হোক— যেকোনো মূল্যে দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা করতে হবে এবং তা নিশ্চিত করতে হবে আগামী নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে। টাঙ্গাইল জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের আহ্বায়ক শ্যামল হোডের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন টাঙ্গাইল জেলা শ্রমিক ফেডারেশনের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আলী ইমাম তপন এবং জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এ. কে. এম. মনিরুল হক।


প্রিন্ট