ময়মনসিংহে হিন্দু যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা
ওসমান হাদির প্রতীকী লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল
ওসমান হাদির জানাজার সময় পরিবর্তন
ভালুকায় হিন্দু যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন: জামায়াতে ইসলামীর নিন্দা
দেশে উগ্রবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল
ট্রাভেল পাস হাতে পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
সাতক্ষীরায় শিশু বিষয়ক সাংবাদিকতা নিয়ে ৪ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা
ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড নিয়ে ছাত্রদলের উদ্বেগ, গ্রেপ্তার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি
হাদির জানাজায় আনা যাবে না ব্যাগ, ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ
কাল বাদ জোহর ওসমান হাদির জানাজা ও দাফন
প্রাক্তন স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করলেন কুমার শানু
- আপডেট সময় ৬ ঘন্টা আগে
- / ৫ বার পড়া হয়েছে
বলিউডের একজন জনপ্রিয় প্লেব্যাক গায়ক কুমার শানু। প্রায় বিশ বছর আগে তার স্ত্রী রীতা ভট্টাচার্যের সঙ্গে তার বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। সেই স্ত্রীর বিরুদ্ধে এবার মুম্বাই হাইকোর্টে মানহানি মামলায় দায়ের করলেন তিনি। পাশাপাশি, তিনি বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। সংবাদমাধ্যম মিডডে’র প্রতিবেদনে জানা যায়, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রীতা ভট্টাচার্য কুমার শানুর বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ তোলেন। তিনি দাবি করেন, অন্তঃসত্ত্বা থাকা অবস্থায় কুমার শানু ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালিয়েছেন। এমনকি সদ্যোজাত সন্তানের খাবার ও দুধের খরচও চাইতে গিয়ে তাকে অপমানিত হতে হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন রীতা। আরও প্রকাশ করেন, শানুর বহু বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথাও। এই সাক্ষাৎকার ভাইরাল হওয়ার পরে, ২৭ সেপ্টেম্বর কুমার শানু তার আইনজীবী সানা রইস খানের মাধ্যমে রীতাকে আইনি নোটিশ পাঠান। শুধু রীতাই নয়, ওই সাক্ষাৎকার প্রকাশিত বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকেও নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে দ্রুত ওই সাক্ষাৎকার সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়, অন্যথায় আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি জানানো হয়। নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ায়, অবশেষে মানহানি মামলাটি দায়ের করা হয়। কুমার শানু অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, এইসব বক্তব্য তার চার দশকের দীর্ঘ সংগীতজীবনে অর্জিত পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, রীতা ভট্টাচার্য বিভিন্ন বিনোদনমূলক প্ল্যাটফর্মে সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে হেয় করার চেষ্টা করেছেন, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। কুমার শানুর আবেদনে আরও বলা হয়, ২০০১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বান্দ্রা ফ্যামিলি কোর্টে তাদের বিবাহবিচ্ছেদের সময় একটি শর্তে সম্মতি দেওয়া হয়েছিল যে, কেউই ভবিষ্যতে অপরের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করবেন না। রীতার সাম্প্রতিক মন্তব্য সেই চুক্তিরও লঙ্ঘন বলে দাবি করা হয়েছে। কুমার শানুর বক্তব্য, রীতার অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং এর ফলে তার দীর্ঘদিনের সুনাম ও ভাবমূর্তি গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, এই ঘটনার কারণে তিনি মানসিকভাবে বেশ বিপর্যস্ত। শানুর আইনজীবীর মতে, গত চার দশক ধরে সংগীত জগতে সক্রিয় কুমার শানু কোটি কোটি মানুষের মনোরঞ্জন করে চলেছেন। কিছু মিথ্যা অভিযোগ তুলে অল্প সময়ের জন্য আলোচনায় আসা সম্ভব হলেও, একজন শিল্পীর জীবনকালব্যাপী অবদানকে এভাবে কলুষিত করা যায় না।
প্রিন্ট



























