, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ময়মনসিংহে হিন্দু যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা Logo ওসমান হাদির প্রতীকী লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল Logo ওসমান হাদির জানাজার সময় পরিবর্তন Logo ভালুকায় হিন্দু যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন: জামায়াতে ইসলামীর নিন্দা Logo দেশে উগ্রবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল Logo ট্রাভেল পাস হাতে পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান Logo সাতক্ষীরায় শিশু বিষয়ক সাংবাদিকতা নিয়ে ৪ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা Logo ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড নিয়ে ছাত্রদলের উদ্বেগ, গ্রেপ্তার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি Logo হাদির জানাজায় আনা যাবে না ব্যাগ, ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ Logo কাল বাদ জোহর ওসমান হাদির জানাজা ও দাফন
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

কুয়াকাটা সৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ৬ ঘন্টা আগে
  • / ২ বার পড়া হয়েছে

পর্যটন শহর কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকতকে পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব রাখতে এক সচেতনতামূলক অভিযান চালানো হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় এডুকো বাংলাদেশ ও এনএসএস-এর সহযোগিতায় এমপাওয়ার প্রকল্পের উদ্যোগে এটি সম্পন্ন করা হয়। সকালের দিকে এমপাওয়ার প্রকল্পের যুবকদের দল কুয়াকাটা সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ছড়িয়ে পড়ে, প্লাস্টিক ও পলিথিনসহ নানা ধরনের বর্জ্য সংগ্রহ করে। অভিযান শেষে তারা পর্যটক, স্থানীয় বাসিন্দা, কুয়াকাটা পৌরসভা ও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে সৈকত নিয়মিত পরিষ্কার ও সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের জোর দাবি জানান। এমপাওয়ার প্রকল্পের যুব সদস্য মোসা ও মুক্তি বলেন, কুয়াকাটা শুধুই আমাদের নয়, এটি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র। এই সৈকতকে পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সচেতনতা ছাড়া কোনো উদ্যোগই সফল হবে না। তাজমেরী জাহান লিখন, প্রকল্পের প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর, বলেন, তরুণদের নেতৃত্বে এমন উদ্যোগ পরিবেশ রক্ষায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। যুব সমাজ যদি এগিয়ে আসে, তাহলে কুয়াকাটাকে পরিচ্ছন্ন ও টেকসই পর্যটন শহর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী জাকির হোসেন বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। তরুণদের এই উদ্যোগ অন্যদের অনুকরণীয় হবে। এনএসএস-এর নির্বাহী পরিচালক শাহাবুদ্দিন পান্না বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় পরিবেশ সংরক্ষণ ছাড়া বিকল্প নেই। যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করে এ ধরনের কর্মসূচি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করবে। এডুকো বাংলাদেশের ক্লাইমেট চেইঞ্জ ও ডিজাস্টার ম্যানেজার কাজী আবদুল কাদির বলেন, পর্যটন এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জোরদার না করলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। সরকার, পৌরসভা ও সাধারণ মানুষের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া কুয়াকাটাকে পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব নয়। এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ১৫০ জন যুব সদস্যের পাশাপাশি অভিভাবক ও শিক্ষক প্রতিনিধিরাও অংশ নেন। আয়োজকরা জানায়, পরিবেশ রক্ষা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ভবিষ্যতেও নিয়মিত এ ধরনের কর্মসূচি চালানো হবে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

কুয়াকাটা সৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

আপডেট সময় ৬ ঘন্টা আগে

পর্যটন শহর কুয়াকাটার সমুদ্র সৈকতকে পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব রাখতে এক সচেতনতামূলক অভিযান চালানো হয়। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় এডুকো বাংলাদেশ ও এনএসএস-এর সহযোগিতায় এমপাওয়ার প্রকল্পের উদ্যোগে এটি সম্পন্ন করা হয়। সকালের দিকে এমপাওয়ার প্রকল্পের যুবকদের দল কুয়াকাটা সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে ছড়িয়ে পড়ে, প্লাস্টিক ও পলিথিনসহ নানা ধরনের বর্জ্য সংগ্রহ করে। অভিযান শেষে তারা পর্যটক, স্থানীয় বাসিন্দা, কুয়াকাটা পৌরসভা ও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে সৈকত নিয়মিত পরিষ্কার ও সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের জোর দাবি জানান। এমপাওয়ার প্রকল্পের যুব সদস্য মোসা ও মুক্তি বলেন, কুয়াকাটা শুধুই আমাদের নয়, এটি দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র। এই সৈকতকে পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সচেতনতা ছাড়া কোনো উদ্যোগই সফল হবে না। তাজমেরী জাহান লিখন, প্রকল্পের প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর, বলেন, তরুণদের নেতৃত্বে এমন উদ্যোগ পরিবেশ রক্ষায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। যুব সমাজ যদি এগিয়ে আসে, তাহলে কুয়াকাটাকে পরিচ্ছন্ন ও টেকসই পর্যটন শহর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী জাকির হোসেন বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা এখন সময়ের দাবি। তরুণদের এই উদ্যোগ অন্যদের অনুকরণীয় হবে। এনএসএস-এর নির্বাহী পরিচালক শাহাবুদ্দিন পান্না বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় পরিবেশ সংরক্ষণ ছাড়া বিকল্প নেই। যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করে এ ধরনের কর্মসূচি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করবে। এডুকো বাংলাদেশের ক্লাইমেট চেইঞ্জ ও ডিজাস্টার ম্যানেজার কাজী আবদুল কাদির বলেন, পর্যটন এলাকায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জোরদার না করলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে। সরকার, পৌরসভা ও সাধারণ মানুষের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া কুয়াকাটাকে পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব নয়। এই পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ১৫০ জন যুব সদস্যের পাশাপাশি অভিভাবক ও শিক্ষক প্রতিনিধিরাও অংশ নেন। আয়োজকরা জানায়, পরিবেশ রক্ষা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ভবিষ্যতেও নিয়মিত এ ধরনের কর্মসূচি চালানো হবে।


প্রিন্ট