, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ময়মনসিংহে হিন্দু যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা Logo ওসমান হাদির প্রতীকী লাশ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল Logo ওসমান হাদির জানাজার সময় পরিবর্তন Logo ভালুকায় হিন্দু যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন: জামায়াতে ইসলামীর নিন্দা Logo দেশে উগ্রবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল Logo ট্রাভেল পাস হাতে পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান Logo সাতক্ষীরায় শিশু বিষয়ক সাংবাদিকতা নিয়ে ৪ দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালা Logo ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ড নিয়ে ছাত্রদলের উদ্বেগ, গ্রেপ্তার ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি Logo হাদির জানাজায় আনা যাবে না ব্যাগ, ড্রোন উড়ানো নিষিদ্ধ Logo কাল বাদ জোহর ওসমান হাদির জানাজা ও দাফন
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

ওসমান হাদির মৃত্যুতে বিক্ষোভে উত্তাল সারাদেশ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ৪ ঘন্টা আগে
  • / ৩ বার পড়া হয়েছে

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে ব্যাপক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে, সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। হাদির মৃত্যুর খবর পৌঁছানোর পর রাতের মধ্যে রাজধানী শাহবাগে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাতভর চলা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবারও শাহবাগে ব্যাপক আন্দোলন চলেছে। জুমার নামাজের পর আশপাশের মানুষজন সেখানে যোগ দিতে শুরু করেন। বিক্ষোভকারীরা হাদির নামে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। ওসমান হাদিকে কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে দাফনের দাবি উঠেছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বে না বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, হাদিকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীদের বিচার দাবিতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে খেলাফত ছাত্র মজলিসের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। জুমার নামাজের পর ‘শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত বিচার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার’ এর দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। সংগঠনের নেতাকর্মীরা ‘আমি কে তুমি কে, হাদি, হাদি’, ‘আমার সোনার বাংলায় খুনির দল থাকবেনা’, ‘ফ্যাসিবাদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘আমরা সবাই হাদি হবো, যুগে যুগে লড়াই চালিয়ে যাবো’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। রাজধানী ছাড়াও বিভিন্ন জেলায়-জেলায় হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আন্দোলন চলছে। নড়াইলে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে বিচার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য বিক্ষোভ হয়েছে। বাদ জুমা, শহরের পুরাতন বাস টার্মিনালে নড়াইলের বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্র-জনতা এ বিক্ষোভ করে। এর আগে এক সমাবেশে বক্তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করার আলটিমেটাম দেন। অন্যথায়, ছাত্র-জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আইন হাতে তুলে নেবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। জয়পুরহাটেও হাদির মৃত্যুতে প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে নামাজের পর, শহীদ মিনার চত্বর থেকে বিক্ষোভ র‌্যালি শুরু হয়। র‌্যালি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জিরো পয়েন্ট কেন্দ্রীয় মসজিদে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, হাদির হত্যার প্রতিবাদ ও দোষীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জুমার নামাজের পর শহরের জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা থেকে হেফাজত ইসলামের উদ্যোগে বিক্ষোভের র‌্যালি বের হয়। একই সময়, বিপ্লবী ছাত্র-জনতার ব্যানারে আরেকটি র‌্যালি শহরের পৌরমুক্তমঞ্চ থেকে শুরু হয়। উভয় র‌্যালি কাঁদিপাড়া, টিএ রাস্তা, ফারুকী পার্ক সড়ক দিয়ে ঘুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাউতলী মোড়ে শেষ হয়। গাজীপুরেও হাদির হত্যার প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেপ্তার দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটে। চান্দনা চৌরাস্তা ও শ্রীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করেন। সকালেই চান্দনা চৌরাস্তা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের একটি অংশ অবরোধ করে ছাত্র-জনতা। পরে, জুমার নামাজের পরে আবারও সড়ক বন্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। শ্রীপুরের মহাসড়কেও একই রকম বিক্ষোভ হয়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে, ওসমান হাদির হত্যার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চালাচ্ছে সাধারণ ছাত্র-জনতা। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভার দক্ষিণ পাশে দুপুর ২টার দিকে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নেন। জুমার নামাজের পরে শহরের জহিরিয়া মসজিদ থেকে একটি বিক্ষোভ র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহীদ শহিদুল্লা সড়ক দিয়ে চলে গিয়ে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধের অংশ নেয়। আন্দোলনকারীরা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বিভিন্ন স্লোগানে। পটুয়াখালীর পটুয়াখালীতে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। লক্ষ্মীপুরে, দোষীদের বিচারের দাবিতে কফিন মিছিল হয়। বাদ জুমা, শহরের চকেরবাজার মসজিদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উত্তর তেমুহনীতে এসে কফিন রেখে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, এটি পরিকল্পিত হত্যা, দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। মিছিল চলাকালে, ‘হাদির হত্যার বিচার চাই’, ‘দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করো’ ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দেন ছাত্র-জনতা। মানিকগঞ্জে, হাদির হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা হয়। শহরের রফিক চত্বরে এ সমাবেশে বক্তারা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি করেন। সমাবেশের শেষে, নিহতের জন্য দোয়া ও জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর, শহরের নানা স্থানে থেকে একটি বিক্ষোভ র‌্যালি বের হয়, যা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পার হয়ে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে শেষ হয়। এ সময়, বিক্ষোভকারীরা হত্যার বিচারের জন্য স্লোগান দেন। কিশোরগঞ্জেও, বিপ্লবী ছাত্রজনতার উদ্যোগে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শহর জুড়ে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে। বাদ জুমা, শহরের ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদ থেকে মিছিল শুরু হয়। এরপর শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে, ছাত্রজনতা হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। এতে শত শত মানুষ অংশ নেন। ‘আমার দেশ, তোমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘আমি কে? তুমি কে? হাদি, হাদি’, এসব স্লোগানে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে। পটুয়াখালীর কুয়াকাটায়, সকাল ১০টায়, কুয়াকাটা প্রেসক্লাব চত্বরে, ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির হত্যার প্রতিবাদে’ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। শুরু হয় সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আলোচনা সভা ও মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্তি হয়। প্রতিবেদন ও সংবাদ থেকে এ তথ্য তৈরি।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

ওসমান হাদির মৃত্যুতে বিক্ষোভে উত্তাল সারাদেশ

আপডেট সময় ৪ ঘন্টা আগে

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে সারাদেশে ব্যাপক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে, সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। হাদির মৃত্যুর খবর পৌঁছানোর পর রাতের মধ্যে রাজধানী শাহবাগে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রাতভর চলা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবারও শাহবাগে ব্যাপক আন্দোলন চলেছে। জুমার নামাজের পর আশপাশের মানুষজন সেখানে যোগ দিতে শুরু করেন। বিক্ষোভকারীরা হাদির নামে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। ওসমান হাদিকে কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে দাফনের দাবি উঠেছে। হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়বে না বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, হাদিকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীদের বিচার দাবিতে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে খেলাফত ছাত্র মজলিসের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। জুমার নামাজের পর ‘শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত বিচার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার’ এর দাবি জানিয়ে আন্দোলন শুরু হয়। সংগঠনের নেতাকর্মীরা ‘আমি কে তুমি কে, হাদি, হাদি’, ‘আমার সোনার বাংলায় খুনির দল থাকবেনা’, ‘ফ্যাসিবাদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘আমরা সবাই হাদি হবো, যুগে যুগে লড়াই চালিয়ে যাবো’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। রাজধানী ছাড়াও বিভিন্ন জেলায়-জেলায় হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আন্দোলন চলছে। নড়াইলে ভারত থেকে ফিরিয়ে এনে বিচার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য বিক্ষোভ হয়েছে। বাদ জুমা, শহরের পুরাতন বাস টার্মিনালে নড়াইলের বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্র-জনতা এ বিক্ষোভ করে। এর আগে এক সমাবেশে বক্তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করার আলটিমেটাম দেন। অন্যথায়, ছাত্র-জনতা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আইন হাতে তুলে নেবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। জয়পুরহাটেও হাদির মৃত্যুতে প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে নামাজের পর, শহীদ মিনার চত্বর থেকে বিক্ষোভ র‌্যালি শুরু হয়। র‌্যালি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জিরো পয়েন্ট কেন্দ্রীয় মসজিদে এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, হাদির হত্যার প্রতিবাদ ও দোষীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। জুমার নামাজের পর শহরের জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা থেকে হেফাজত ইসলামের উদ্যোগে বিক্ষোভের র‌্যালি বের হয়। একই সময়, বিপ্লবী ছাত্র-জনতার ব্যানারে আরেকটি র‌্যালি শহরের পৌরমুক্তমঞ্চ থেকে শুরু হয়। উভয় র‌্যালি কাঁদিপাড়া, টিএ রাস্তা, ফারুকী পার্ক সড়ক দিয়ে ঘুরে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কাউতলী মোড়ে শেষ হয়। গাজীপুরেও হাদির হত্যার প্রতিবাদ ও দোষীদের গ্রেপ্তার দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটে। চান্দনা চৌরাস্তা ও শ্রীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করেন। সকালেই চান্দনা চৌরাস্তা থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের একটি অংশ অবরোধ করে ছাত্র-জনতা। পরে, জুমার নামাজের পরে আবারও সড়ক বন্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। শ্রীপুরের মহাসড়কেও একই রকম বিক্ষোভ হয়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে, ওসমান হাদির হত্যার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চালাচ্ছে সাধারণ ছাত্র-জনতা। এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। ফেনীর মহিপাল ফ্লাইওভার দক্ষিণ পাশে দুপুর ২টার দিকে আন্দোলনকারীরা অবস্থান নেন। জুমার নামাজের পরে শহরের জহিরিয়া মসজিদ থেকে একটি বিক্ষোভ র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি শহীদ শহিদুল্লা সড়ক দিয়ে চলে গিয়ে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধের অংশ নেয়। আন্দোলনকারীরা দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বিভিন্ন স্লোগানে। পটুয়াখালীর পটুয়াখালীতে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। লক্ষ্মীপুরে, দোষীদের বিচারের দাবিতে কফিন মিছিল হয়। বাদ জুমা, শহরের চকেরবাজার মসজিদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উত্তর তেমুহনীতে এসে কফিন রেখে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, এটি পরিকল্পিত হত্যা, দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। মিছিল চলাকালে, ‘হাদির হত্যার বিচার চাই’, ‘দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করো’ ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দেন ছাত্র-জনতা। মানিকগঞ্জে, হাদির হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা হয়। শহরের রফিক চত্বরে এ সমাবেশে বক্তারা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি করেন। সমাবেশের শেষে, নিহতের জন্য দোয়া ও জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর, শহরের নানা স্থানে থেকে একটি বিক্ষোভ র‌্যালি বের হয়, যা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক পার হয়ে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে শেষ হয়। এ সময়, বিক্ষোভকারীরা হত্যার বিচারের জন্য স্লোগান দেন। কিশোরগঞ্জেও, বিপ্লবী ছাত্রজনতার উদ্যোগে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শহর জুড়ে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে। বাদ জুমা, শহরের ঐতিহাসিক শহীদী মসজিদ থেকে মিছিল শুরু হয়। এরপর শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে, ছাত্রজনতা হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। এতে শত শত মানুষ অংশ নেন। ‘আমার দেশ, তোমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘আমি কে? তুমি কে? হাদি, হাদি’, এসব স্লোগানে ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে। পটুয়াখালীর কুয়াকাটায়, সকাল ১০টায়, কুয়াকাটা প্রেসক্লাব চত্বরে, ‘ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির হত্যার প্রতিবাদে’ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। শুরু হয় সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আলোচনা সভা ও মোনাজাতের মাধ্যমে সমাপ্তি হয়। প্রতিবেদন ও সংবাদ থেকে এ তথ্য তৈরি।


প্রিন্ট