সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত নোরা ফাতেহি
দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই অ্যাশেজ অস্ট্রেলিয়ার
নোয়াখালীতে বিএনপির কার্যালয়ে আ. লীগের হামলা, আহত ৪
সুদানে নিহত ৬ সেনার জানাজা সম্পন্ন
রোববার রাজধানীর যেসব এলাকায় মার্কেট বন্ধ
দেশের বাজারে আজ যত টাকায় বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ ও রুপা
হান্নান মাসউদকে হত্যার হুমকিদাতা সম্পর্কে যা জানালো পুলিশ
বাপ স্বতন্ত্র, বেটিও স্বতন্ত্র- সময়ই উত্তর দেবে: রুমিন ফারহানা
খুনিরা পার পেয়ে গেলে আপনার আমার কারো জীবন নিরাপদ থাকবে না: জামায়াত আমির
স্বর্ণকাণ্ডে গ্রেপ্তার অভিনেত্রীর মুক্তির আবেদন নাকচ
গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পদত্যাগের হিড়িক
- আপডেট সময় ১৫ ঘন্টা আগে
- / ৭ বার পড়া হয়েছে
গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পদত্যাগের প্রবণতা যেন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। মাত্র এক দিনেই টুঙ্গিপাড়া ও মুকসুদপুর উপজেলায় দলের ১৩ জন নেতা একসাথে পদত্যাগ করেছেন। ব্যক্তিগত কারণ ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির অজুহাতে তৃণমূল নেতাদের এই ব্যাপক পদত্যাগ এখন জেলার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে টুঙ্গিপাড়া প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ও পৌর স্তরের তিনজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা দল ছাড়ার ঘোষণা দেন। তারা হলেন— উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম শরীফ, পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ এবং পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি আরিফুল হোসেন। উল্লেখ্য, এর আগের দিন শুক্রবারও টুঙ্গিপাড়ায় আরও তিনজন নেতা পদত্যাগ করেছিলেন। ফলে গত ৪৮ ঘণ্টায় মোট ১৬ জন নেতা দলীয় পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন। টুঙ্গিপাড়ার এই ঘটনা কাটতে না কাটতেই বিকেলে মুকসুদপুর উপজেলার জলিরপাড় ইউনিয়নে ঘটে এক বড় ধরনের ঘটনা। দক্ষিণ জলিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের ১০ জন নেতা একসাথে দল ছাড়ার ঘোষণা দেন। এই পদত্যাগ কর্মসূচি পরিচালনা করেন জলিরপাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সাগর বাগচী। পদত্যাগকারী অন্য নেতাদের মধ্যে রয়েছেন জলিরপাড় ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রুহুল আমীন শেখ, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি অভি বাগচী, বিদ্যুৎ বাগচী, সাধারণ সম্পাদক নরেশ গোলদার, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শ্যামল বাগচী, সদস্য শিশির বাগচী, হরিচাদ বাগচী, নারায়ন গোলদার ও রনজন গাইন। সংবাদ সম্মেলনে নেতারা জানান, তারা স্বেচ্ছায় এবং কারো প্ররোচনায় না গিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দলের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা থাকলেও ‘সাংগঠনিক জটিলতা’ ও ‘ব্যক্তিগত কারণে’ তারা আর কোনো পদে থাকবেন না বলে জানিয়ে দেন। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগে এই ব্যাপক গণপদত্যাগের প্রবণতা শুরু হয়েছে।
প্রিন্ট

























