, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাঁসের কারণে জমি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২৫ জন Logo লক্ষ্মীপুরে ২০০ শিশুর জন্য এল ঈদের আনন্দ, পাচ্ছে বিশেষ উপহার Logo গণহত্যার বিচার যদি বিলম্বিত হয়, তাহলে ফ্যাসিবাদ আবার উত্থান ঘটাতে পারে: আখতার Logo স্বর্ণের দাম আবারও ঊর্ধ্বমুখী, ভরির মূল্য কি এখন Logo ‌খোলা-পিকআপে ২০ কিলোমিটার সড়ক ভাড়া ২০০! Logo দাফনের ৭৫ দিন পর বাড়িতে ফিরে এলো কিশোর Logo ‘ডিসেম্বরের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের সমস্যা হবে সমাধান’ Logo ময়মনসিংহে ঈদের বিশেষ জামাতের সময় ও স্থান জানুন Logo ১৩ তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা যুবতীর Logo শিশুর ওপর ধর্ষণের চেষ্টা: অভিযুক্তকে উত্তেজিত জনতার হাতে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

চিনি খাওয়া ছেড়ে দেওয়ার ১০টি অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৯৮ বার পড়া হয়েছে

পরিশোধিত চিনি খাওয়া ছেড়ে দেওয়া হতে পারে আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যকর সিদ্ধান্তগুলোর একটি। চিনি শুধু ওজন বাড়ায় না, এটি শরীরে নানা ধরনের রোগের ঝুঁকিও বৃদ্ধি করে। চিনিমুক্ত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা হলে শরীর এবং মন—দুইয়েরই উন্নতি সম্ভব।

ওজন ও পেটের মেদ কমবে:
চিনি খাওয়া ছেড়ে দিলে দ্রুত ওজন কমে এবং পেটের চারপাশে জমে থাকা ক্ষতিকর চর্বি ঝরে যায়। ইউরোপিয়ান জার্নাল অব প্রিভেন্টিভ কার্ডিওলজির একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার পেটের চারপাশে চর্বি জমায়, যা থেকে হৃৎপিণ্ডের নানা জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। চিনি পরিহার করলে ইনসুলিন নিয়ন্ত্রিত থাকে, ফলে শরীরে চর্বি জমার প্রবণতা কমে।

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি:
চিনি ত্যাগ করলে ত্বক তারুণ্যদীপ্ত থাকে এবং বয়সজনিত বলিরেখার প্রকোপ কমে। উচ্চ পরিমাণে চিনিযুক্ত খাবার ত্বকের অকালবার্ধক্যের কারণ হতে পারে। চিনি কমিয়ে আনলে ত্বক সতেজ এবং উজ্জ্বল হয়।

কর্মশক্তি বৃদ্ধি ও মনোযোগ বাড়ে:
চিনি খাওয়া বাদ দিলে রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে, ফলে সারা দিন কর্মশক্তি ধরে রাখা সহজ হয়। এতে ক্লান্তি দূর হয় এবং মনোযোগ ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

হৃদ্‌রোগ ও ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমে:
চিনি কম খেলে হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস পায়। পাশাপাশি যকৃতের কার্যক্ষমতা বাড়ে এবং ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমে যায়।

ক্ষুধা ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়:
চিনি খাওয়ার ফলে দ্রুত ক্ষুধা লাগে এবং আবেগজনিত সমস্যাগুলো বাড়ে। চিনিমুক্ত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুললে ক্ষুধার যন্ত্রণা কমে এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমালে শরীর ও মনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই এখনই খাদ্যতালিকা থেকে চিনি বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন শুরু করুন।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

চিনি খাওয়া ছেড়ে দেওয়ার ১০টি অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা

আপডেট সময় ১২:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

পরিশোধিত চিনি খাওয়া ছেড়ে দেওয়া হতে পারে আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যকর সিদ্ধান্তগুলোর একটি। চিনি শুধু ওজন বাড়ায় না, এটি শরীরে নানা ধরনের রোগের ঝুঁকিও বৃদ্ধি করে। চিনিমুক্ত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলা হলে শরীর এবং মন—দুইয়েরই উন্নতি সম্ভব।

ওজন ও পেটের মেদ কমবে:
চিনি খাওয়া ছেড়ে দিলে দ্রুত ওজন কমে এবং পেটের চারপাশে জমে থাকা ক্ষতিকর চর্বি ঝরে যায়। ইউরোপিয়ান জার্নাল অব প্রিভেন্টিভ কার্ডিওলজির একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার পেটের চারপাশে চর্বি জমায়, যা থেকে হৃৎপিণ্ডের নানা জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। চিনি পরিহার করলে ইনসুলিন নিয়ন্ত্রিত থাকে, ফলে শরীরে চর্বি জমার প্রবণতা কমে।

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি:
চিনি ত্যাগ করলে ত্বক তারুণ্যদীপ্ত থাকে এবং বয়সজনিত বলিরেখার প্রকোপ কমে। উচ্চ পরিমাণে চিনিযুক্ত খাবার ত্বকের অকালবার্ধক্যের কারণ হতে পারে। চিনি কমিয়ে আনলে ত্বক সতেজ এবং উজ্জ্বল হয়।

কর্মশক্তি বৃদ্ধি ও মনোযোগ বাড়ে:
চিনি খাওয়া বাদ দিলে রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে থাকে, ফলে সারা দিন কর্মশক্তি ধরে রাখা সহজ হয়। এতে ক্লান্তি দূর হয় এবং মনোযোগ ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়।

হৃদ্‌রোগ ও ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমে:
চিনি কম খেলে হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি হ্রাস পায়। পাশাপাশি যকৃতের কার্যক্ষমতা বাড়ে এবং ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমে যায়।

ক্ষুধা ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়:
চিনি খাওয়ার ফলে দ্রুত ক্ষুধা লাগে এবং আবেগজনিত সমস্যাগুলো বাড়ে। চিনিমুক্ত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুললে ক্ষুধার যন্ত্রণা কমে এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনি খাওয়ার পরিমাণ কমালে শরীর ও মনের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই এখনই খাদ্যতালিকা থেকে চিনি বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন শুরু করুন।


প্রিন্ট