, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

শীতে কাঁপছে তেঁতুলিয়া, আরও কমল তাপমাত্রা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ৪ ঘন্টা আগে
  • / ৬ বার পড়া হয়েছে

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা হালকা শীতল প্রবাহের পরে শনিবার কিছুটা তাপমাত্রা বেড়েছিল। তবে রোববার (২১ ডিসেম্বর) আবার তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সাথে সাথে আর্দ্রতা বেড়ে গেছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে গেছে। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল নয়টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। ভোর থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত পুরো এলাকা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল। কুয়াশার কারণে রাস্তাঘাট, মাঠ ও ঘাটে দৃষ্টিসীমা কমে গিয়েছিল। এই সময় যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। কুয়াশা ও তীব্র ঠাণ্ডার কারণে সাধারণ মানুষ ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন। চাকলাহাটের দিনমজুর সোনা মিয়া জানান, গত দুই দিন ধরে সকালে খুবই ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। কাজে বের হলে হাত-পা অবশ হয়ে আসে, ফলে স্বাভাবিক কাজ করাও কষ্টকর হয়ে উঠেছে। একই কথা বলেছেন স্থানীয় ভ্যানচালক জরিফুল। তিনি বলেন, ভোরের সময় ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তায় কিছু দেখা যায় না। কুয়াশার জন্য ধীরে ধীরে গাড়ি চালাতে হয়, আর যাত্রীর সংখ্যাও কমে গেছে। অন্যদিকে ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কে চলাচলকারী ট্রাক চালক বাবুল হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়েও সামনে স্পষ্ট দেখা যায় না। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়, তাই খুব সতর্ক হয়ে ধীর গতি দিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। এর আগের দিন শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল নয়টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ। কুয়াশা না থাকলেও সকাল দশটা পর্যন্ত সূর্য দেখা যায়নি। আর্দ্রতা বেশি থাকায় তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি থাকলেও শীতের অনুভূতি কমেনি। শনিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ মৌসুমে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১১ ডিসেম্বর, সেদিন পারদ নেমে আসে ৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে—যা এ মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে গণ্য হচ্ছে। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই এলাকায় হালকা শীতলপ্রবাহ বিরাজ করছিল। শনিবার তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছিল, কিন্তু রোববার আবার কমে গেছে। আর্দ্রতা বেশি থাকায় শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বরের শেষে মাঝারি শীতলপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

শীতে কাঁপছে তেঁতুলিয়া, আরও কমল তাপমাত্রা

আপডেট সময় ৪ ঘন্টা আগে

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা হালকা শীতল প্রবাহের পরে শনিবার কিছুটা তাপমাত্রা বেড়েছিল। তবে রোববার (২১ ডিসেম্বর) আবার তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সাথে সাথে আর্দ্রতা বেড়ে গেছে এবং ঘন কুয়াশার কারণে শীতের তীব্রতা আরও বেড়ে গেছে। রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল নয়টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সবচেয়ে কম তাপমাত্রা ১২.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। ভোর থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত পুরো এলাকা ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন ছিল। কুয়াশার কারণে রাস্তাঘাট, মাঠ ও ঘাটে দৃষ্টিসীমা কমে গিয়েছিল। এই সময় যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। কুয়াশা ও তীব্র ঠাণ্ডার কারণে সাধারণ মানুষ ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন। চাকলাহাটের দিনমজুর সোনা মিয়া জানান, গত দুই দিন ধরে সকালে খুবই ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। কাজে বের হলে হাত-পা অবশ হয়ে আসে, ফলে স্বাভাবিক কাজ করাও কষ্টকর হয়ে উঠেছে। একই কথা বলেছেন স্থানীয় ভ্যানচালক জরিফুল। তিনি বলেন, ভোরের সময় ঘন কুয়াশার কারণে রাস্তায় কিছু দেখা যায় না। কুয়াশার জন্য ধীরে ধীরে গাড়ি চালাতে হয়, আর যাত্রীর সংখ্যাও কমে গেছে। অন্যদিকে ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কে চলাচলকারী ট্রাক চালক বাবুল হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়েও সামনে স্পষ্ট দেখা যায় না। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বেড়ে যায়, তাই খুব সতর্ক হয়ে ধীর গতি দিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। এর আগের দিন শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল নয়টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ। কুয়াশা না থাকলেও সকাল দশটা পর্যন্ত সূর্য দেখা যায়নি। আর্দ্রতা বেশি থাকায় তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে বেশি থাকলেও শীতের অনুভূতি কমেনি। শনিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ মৌসুমে তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১১ ডিসেম্বর, সেদিন পারদ নেমে আসে ৮.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে—যা এ মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হিসেবে গণ্য হচ্ছে। তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই এলাকায় হালকা শীতলপ্রবাহ বিরাজ করছিল। শনিবার তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছিল, কিন্তু রোববার আবার কমে গেছে। আর্দ্রতা বেশি থাকায় শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বরের শেষে মাঝারি শীতলপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।


প্রিন্ট