, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নির্বাচনে আস্থার পরিবেশ তৈরিতে মাঠে নামছে যৌথবাহিনী: ইসি সানাউল্লাহ Logo লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতার ঘরে আগুনে নিহত শিশুর পরিবারের পাশে তারেক রহমান Logo দক্ষিণ আফ্রিকায় ট্যাভার্নে গুলিতে নিহত ৯ Logo পশ্চিম তীরে আরও ১৯ অবৈধ বসতির অনুমোদন দিল ইসরায়েল Logo চূড়ান্ত নোটিশের পরও খেলাপি ঋণ পরিশোধ করেনি মান্নার প্রতিষ্ঠান Logo সব রেকর্ড ভেঙে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে সোনা Logo ভবিষ্যতে শিক্ষার ওপর ভ্যাট বসাবে না বিএনপি: ড. মাহদি আমিন Logo কাল ইনকিলাব মঞ্চের ব্রিফিং, আসতে পারে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা Logo ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড: শুটার ফয়সালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা Logo বেনাপোল বন্দর দিয়ে তিন দিনে ২১০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

পশ্চিম তীরে আরও ১৯ অবৈধ বসতির অনুমোদন দিল ইসরায়েল

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ৪ ঘন্টা আগে
  • / ৫ বার পড়া হয়েছে

ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে নতুন করে ১৯টি ইসরায়েলি বসতিকে বসবাসের অনুমতি প্রদান করেছে দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা। বসতিগুলোর সম্প্রসারণের নীতিকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল সরকার। ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ—যিনি নিজেই একজন বসতিস্থাপক—প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজের সঙ্গে যৌথভাবে এই প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। স্মোটরিচ বলেন, এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য হলো একটি স্বতন্ত্র ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করা। বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতিগুলো অবৈধ বলে বিবেচিত। এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। অন্যদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, বসতি সম্প্রসারণ একটি সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ২০২৩ সালে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এরই মধ্যে, নতুন বসতি অনুমোদনের ফলে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব আরও বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যা দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পথে আরও দুর্বলতা সৃষ্টি করছে। ২০২২ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে চলমান ইসরায়েলি সরকার পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণের গতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে। সর্বশেষ ১৯টি নতুন বসতি অনুমোদনের ফলস্বরূপ, গত তিন বছরে মোট অনুমোদিত বসতির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৯-এ। এই নতুন বসতিগুলো জেনিন ও কাদিম এলাকায় অনুমোদন পেয়েছে। প্রায় ২০ বছর আগে এই এলাকায় বসতি উচ্ছেদ করা হয়েছিল। এবার সেখানে পুনরায় বসতি গড়ে তোলা হচ্ছে। জাতিসংঘ কিছুদিন আগে জানিয়েছিল, ২০১৭ সালের পর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণ সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। এর পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক মহলের তীব্র বিরোধিতার কারণে এই প্রকল্পটি দীর্ঘদিন স্থগিত ছিল। সেই সময় স্মোটরিচ মন্তব্য করেছিলেন, এই পরিকল্পনা ‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ধারণাকে কবর দেবে’। ইসরায়েলবিরোধী সংগঠন পিস নাউ-এর তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে প্রায় ১৬০টি বসতিতে প্রায় ৭ লাখ ইসরায়েলি বসতিস্থাপক বসবাস করছে। এই ভূখণ্ডকে ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যৎ স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য দাবি করে। বসতি সম্প্রসারণের ফলে আরব দেশগুলোর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, এই নীতি দুই-রাষ্ট্র সমাধানকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এতে অধিকৃত পশ্চিম তীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করার (অ্যানেক্সেশন) আশঙ্কাও বাড়ছে।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

পশ্চিম তীরে আরও ১৯ অবৈধ বসতির অনুমোদন দিল ইসরায়েল

আপডেট সময় ৪ ঘন্টা আগে

ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরে নতুন করে ১৯টি ইসরায়েলি বসতিকে বসবাসের অনুমতি প্রদান করেছে দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা। বসতিগুলোর সম্প্রসারণের নীতিকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল সরকার। ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ—যিনি নিজেই একজন বসতিস্থাপক—প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজের সঙ্গে যৌথভাবে এই প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। স্মোটরিচ বলেন, এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য হলো একটি স্বতন্ত্র ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করা। বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতিগুলো অবৈধ বলে বিবেচিত। এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে সৌদি আরব। অন্যদিকে, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, বসতি সম্প্রসারণ একটি সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ২০২৩ সালে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে সহিংসতা বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। এরই মধ্যে, নতুন বসতি অনুমোদনের ফলে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব আরও বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যা দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পথে আরও দুর্বলতা সৃষ্টি করছে। ২০২২ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে চলমান ইসরায়েলি সরকার পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণের গতি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে। সর্বশেষ ১৯টি নতুন বসতি অনুমোদনের ফলস্বরূপ, গত তিন বছরে মোট অনুমোদিত বসতির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৯-এ। এই নতুন বসতিগুলো জেনিন ও কাদিম এলাকায় অনুমোদন পেয়েছে। প্রায় ২০ বছর আগে এই এলাকায় বসতি উচ্ছেদ করা হয়েছিল। এবার সেখানে পুনরায় বসতি গড়ে তোলা হচ্ছে। জাতিসংঘ কিছুদিন আগে জানিয়েছিল, ২০১৭ সালের পর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণ সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। এর পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক মহলের তীব্র বিরোধিতার কারণে এই প্রকল্পটি দীর্ঘদিন স্থগিত ছিল। সেই সময় স্মোটরিচ মন্তব্য করেছিলেন, এই পরিকল্পনা ‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ধারণাকে কবর দেবে’। ইসরায়েলবিরোধী সংগঠন পিস নাউ-এর তথ্য অনুযায়ী, পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে প্রায় ১৬০টি বসতিতে প্রায় ৭ লাখ ইসরায়েলি বসতিস্থাপক বসবাস করছে। এই ভূখণ্ডকে ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যৎ স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্য দাবি করে। বসতি সম্প্রসারণের ফলে আরব দেশগুলোর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে, এই নীতি দুই-রাষ্ট্র সমাধানকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এতে অধিকৃত পশ্চিম তীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সঙ্গে যুক্ত করার (অ্যানেক্সেশন) আশঙ্কাও বাড়ছে।


প্রিন্ট