, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

শব্দদূষণ ঘটালে জরিমানা করবে পুলিশ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ৪ ঘন্টা আগে
  • / ৫ বার পড়া হয়েছে

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন আইন চালু করে পুলিশকে জরিমানা করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। শব্দের মানদণ্ড লঙ্ঘন করলে সার্জেন্ট বা তার উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করতে পারবেন। জরিমানা আদায় না হলে তৎক্ষণাৎ মোটরযানটি আটক করার অধিকারও থাকবে পুলিশের। এ সংক্রান্ত বিধান সহ ‘শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। গত ২৩ নভেম্বর প্রকাশিত এই বিধিমালার বিধি-২০–এর উপবিধি-১–এ বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি মোটরযান বা নৌযানে শব্দের মানদণ্ড অতিক্রমকারী হর্ন ব্যবহার বা স্থাপন করতে পারবেন না। এই লঙ্ঘনের জন্য ঘটনার সময় সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য্য করা হয়েছে। বিধিমালার তফসিল-৩–এ দুই ও তিন চাকার হালকা যানবাহনের জন্য অনুমোদিত শব্দের মানদণ্ড নির্ধারিত রয়েছে ৮৫ ডেসিবেল। একই মানদণ্ড প্রযোজ্য হবে অন্যান্য হালকা যান যেমন মোটরগাড়ি, মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যানের ক্ষেত্রেও। অন্যদিকে, মিনিবাস, মাঝারি ট্রাক, মাঝারি কাভার্ড ভ্যানের ক্ষেত্রে এই সীমা ৯০ ডেসিবেল। ভারী যানবাহন যেমন বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরি ও নৌযানের জন্য এই মানসীমা নির্ধারিত হয়েছে ১০০ ডেসিবেল। তফসিল-১–এ নির্ধারিত হয়েছে বিভিন্ন এলাকা অনুযায়ী শব্দের অনুমোদিত মানদণ্ড। নীরব এলাকা হিসেবে দিনবেলায় ৫০ ডেসিবেল, রাতের বেলায় ৪০ ডেসিবেল। আবাসিক এলাকা দিনবেলায় ৫৫, রাতের বেলায় ৪৫ ডেসিবেল। মিশ্র এলাকা দিনে ৬০, রাতে ৫০ ডেসিবেল। বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে ৭০, রাতে ৬০ ডেসিবেল। শিল্প এলাকায় দিনবেলায় ৭৫, রাতের বেলায় ৭০ ডেসিবেল। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের এই বিধিমালা অনুযায়ী, সরকার নির্দিষ্ট এলাকায় ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা করে সেখানে শব্দের সীমা নির্ধারণ করতে পারবে। দুই ও তিন চাকার হালকা যান, মোটরগাড়ি, মাইক্রোবাসের জন্য অনুমোদিত শব্দের মানদণ্ড ৮৫ ডেসিবেল; মিনিবাস, মাঝারি ট্রাকের জন্য ৯০ ডেসিবেল; বাস, ট্রাক, লরি জন্য ১০০ ডেসিবেল। দিনকাল হিসেবে সকাল ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত গণ্য হবে। রাতের সময় নির্ধারিত হয়েছে রাত নয়টা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত। এতদিন পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত দ্বারা এই আইন কার্যকর হত। এখন থেকে পুলিশও এই ক্ষমতা পেয়ে গেছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক ও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের পরিচালক ফরিদ আহমদ বলেন, এই বিধিমালায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, পুলিশকে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা প্রদান। ১৫ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারসহ ১০০ পুলিশ কর্মকর্তার সাথে বৈঠক করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। তাদের হাতে সাউন্ড লেভেল ডিটেক্টর (শব্দের মাত্রা পরিমাপের যন্ত্র) দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, এই উদ্যোগের ফলে নাগরিকেরা শব্দদূষণের ক্ষতি থেকে মুক্তি পাবেন।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

শব্দদূষণ ঘটালে জরিমানা করবে পুলিশ

আপডেট সময় ৪ ঘন্টা আগে

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন আইন চালু করে পুলিশকে জরিমানা করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। শব্দের মানদণ্ড লঙ্ঘন করলে সার্জেন্ট বা তার উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করতে পারবেন। জরিমানা আদায় না হলে তৎক্ষণাৎ মোটরযানটি আটক করার অধিকারও থাকবে পুলিশের। এ সংক্রান্ত বিধান সহ ‘শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫’ জারি করেছে সরকার। গত ২৩ নভেম্বর প্রকাশিত এই বিধিমালার বিধি-২০–এর উপবিধি-১–এ বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি মোটরযান বা নৌযানে শব্দের মানদণ্ড অতিক্রমকারী হর্ন ব্যবহার বা স্থাপন করতে পারবেন না। এই লঙ্ঘনের জন্য ঘটনার সময় সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য্য করা হয়েছে। বিধিমালার তফসিল-৩–এ দুই ও তিন চাকার হালকা যানবাহনের জন্য অনুমোদিত শব্দের মানদণ্ড নির্ধারিত রয়েছে ৮৫ ডেসিবেল। একই মানদণ্ড প্রযোজ্য হবে অন্যান্য হালকা যান যেমন মোটরগাড়ি, মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যানের ক্ষেত্রেও। অন্যদিকে, মিনিবাস, মাঝারি ট্রাক, মাঝারি কাভার্ড ভ্যানের ক্ষেত্রে এই সীমা ৯০ ডেসিবেল। ভারী যানবাহন যেমন বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরি ও নৌযানের জন্য এই মানসীমা নির্ধারিত হয়েছে ১০০ ডেসিবেল। তফসিল-১–এ নির্ধারিত হয়েছে বিভিন্ন এলাকা অনুযায়ী শব্দের অনুমোদিত মানদণ্ড। নীরব এলাকা হিসেবে দিনবেলায় ৫০ ডেসিবেল, রাতের বেলায় ৪০ ডেসিবেল। আবাসিক এলাকা দিনবেলায় ৫৫, রাতের বেলায় ৪৫ ডেসিবেল। মিশ্র এলাকা দিনে ৬০, রাতে ৫০ ডেসিবেল। বাণিজ্যিক এলাকায় দিনে ৭০, রাতে ৬০ ডেসিবেল। শিল্প এলাকায় দিনবেলায় ৭৫, রাতের বেলায় ৭০ ডেসিবেল। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের এই বিধিমালা অনুযায়ী, সরকার নির্দিষ্ট এলাকায় ‘নীরব এলাকা’ ঘোষণা করে সেখানে শব্দের সীমা নির্ধারণ করতে পারবে। দুই ও তিন চাকার হালকা যান, মোটরগাড়ি, মাইক্রোবাসের জন্য অনুমোদিত শব্দের মানদণ্ড ৮৫ ডেসিবেল; মিনিবাস, মাঝারি ট্রাকের জন্য ৯০ ডেসিবেল; বাস, ট্রাক, লরি জন্য ১০০ ডেসিবেল। দিনকাল হিসেবে সকাল ছয়টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত গণ্য হবে। রাতের সময় নির্ধারিত হয়েছে রাত নয়টা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত। এতদিন পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত দ্বারা এই আইন কার্যকর হত। এখন থেকে পুলিশও এই ক্ষমতা পেয়ে গেছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা মহানগর কার্যালয়ের পরিচালক ও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের পরিচালক ফরিদ আহমদ বলেন, এই বিধিমালায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, পুলিশকে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা প্রদান। ১৫ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারসহ ১০০ পুলিশ কর্মকর্তার সাথে বৈঠক করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। তাদের হাতে সাউন্ড লেভেল ডিটেক্টর (শব্দের মাত্রা পরিমাপের যন্ত্র) দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, এই উদ্যোগের ফলে নাগরিকেরা শব্দদূষণের ক্ষতি থেকে মুক্তি পাবেন।


প্রিন্ট