, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল ‘কারুবীথি’

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ৫ ঘন্টা আগে
  • / ৩ বার পড়া হয়েছে

শেরাটন হোটেলে রঙিন ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো নতুন প্রজন্মের হস্তশিল্প ও দেশীয় পণ্য উদ্যোগের জন্য বিশেষ প্ল্যাটফর্ম ‘কারুবীথি’। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার পাঁচ তারকা হোটেল শেরাটনে এই অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা উদ্যোক্তা, ব্যাংকিং খাতের উঁচু পদস্থ কর্মকর্তারা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশীয় পণ্য প্রচার ও প্রসারের পথিকৃৎ ও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী হায়দার হোসেন। বক্তৃতায় তিনি তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বার্তা দেন, বলেন, আমার বিশ্বাস ছিল, আমার বাংলাদেশকে পরিবর্তন করতে হলে তরুণদের দায়িত্ব নিতে হবে। আমি চাই, এই যুবকদের উত্থান হোক, কারণ তারা আমার থেকে অনেক বেশি যোগ্য ও শক্তিশালী। আমি মনে করি, কারুবীথি সেই বিশ্বাসেরই প্রতিফলন। তারা সাধারণ মানুষের প্রতিভা তুলে ধরছে, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মোবাইল আর্থিক সেবা ও ই-ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান জনাব কাজী মোহাম্মদ ইসমাইল। তিনি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংকিং সহযোগিতা, সহজ শর্তে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা এবং টেকসই অর্থনীতির জন্য কারুবীথির ভূমিকার প্রশংসা করেন। পাশাপাশি তিনি এই উদ্যোগে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দেন। আরও বক্তব্য রাখেন ক্লিকমার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান ফকির। তিনি ডিজিটাল যুগে উদ্যোক্তাদের ব্র্যান্ড পরিচিতি ও আন্তর্জাতিক বাজারে দেশীয় পণ্য বিস্তারে আধুনিক বিপণন কৌশলের ওপর গুরুত্ব দেন। কারুবীথির লক্ষ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাবির ইবনে মিজান। তিনি বলেন, কারুবীথি হবে বাংলাদেশের হস্তশিল্পী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য একটি আস্থার নাম। প্রশিক্ষণ, বিপণন, পরামর্শ ও পুঁজি সংস্থান এর মাধ্যমে আমরা একটি শক্তিশালী উদ্যোক্তা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চাই। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কারুবীথির পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, আসরাফুল ইসলাম মাসুম আহমেদ এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কিউলিপের প্রধান নির্বাহী জোবায়ের হোসেন। তারা উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন, কারিগরি উৎকর্ষতা ও মাঠ পর্যায়ের সমন্বয় পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। বর্তমানে কারুবীথি দেশের ৫০০ এর বেশি দেশীয় উদ্যোক্তার সাথে কাজ করছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘোষণা ছিল এই নেটওয়ার্ক থেকে বাছাইকৃত ২০০ জন সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাকে সরাসরি ব্যবসায়িক চুক্তি প্রদান। যারা মেধা ও শ্রম থাকা সত্ত্বেও পুঁজির অভাবে ব্যবসা সম্প্রসারণে পিছিয়ে রয়েছেন, তাদের জন্য এই উদ্যোগ নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে। পণ্য বিপণন, ব্যবসায়িক প্রশিক্ষণ, দিকনির্দেশনা ও সহজ শর্তে পুঁজি সংস্থান এর মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা কারুশিল্পী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সক্ষম করে তোলাই কারুবীথির মূল লক্ষ্য। শেরাটন ঢাকার এই জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনের মাধ্যমে ‘কারুবীথি’ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় এক নতুন আশার আলো হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল ‘কারুবীথি’

আপডেট সময় ৫ ঘন্টা আগে

শেরাটন হোটেলে রঙিন ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো নতুন প্রজন্মের হস্তশিল্প ও দেশীয় পণ্য উদ্যোগের জন্য বিশেষ প্ল্যাটফর্ম ‘কারুবীথি’। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ঢাকার পাঁচ তারকা হোটেল শেরাটনে এই অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা উদ্যোক্তা, ব্যাংকিং খাতের উঁচু পদস্থ কর্মকর্তারা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশীয় পণ্য প্রচার ও প্রসারের পথিকৃৎ ও জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী হায়দার হোসেন। বক্তৃতায় তিনি তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে অনুপ্রেরণামূলক বার্তা দেন, বলেন, আমার বিশ্বাস ছিল, আমার বাংলাদেশকে পরিবর্তন করতে হলে তরুণদের দায়িত্ব নিতে হবে। আমি চাই, এই যুবকদের উত্থান হোক, কারণ তারা আমার থেকে অনেক বেশি যোগ্য ও শক্তিশালী। আমি মনে করি, কারুবীথি সেই বিশ্বাসেরই প্রতিফলন। তারা সাধারণ মানুষের প্রতিভা তুলে ধরছে, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও মোবাইল আর্থিক সেবা ও ই-ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান জনাব কাজী মোহাম্মদ ইসমাইল। তিনি ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য ব্যাংকিং সহযোগিতা, সহজ শর্তে বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা এবং টেকসই অর্থনীতির জন্য কারুবীথির ভূমিকার প্রশংসা করেন। পাশাপাশি তিনি এই উদ্যোগে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দেন। আরও বক্তব্য রাখেন ক্লিকমার্কের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান ফকির। তিনি ডিজিটাল যুগে উদ্যোক্তাদের ব্র্যান্ড পরিচিতি ও আন্তর্জাতিক বাজারে দেশীয় পণ্য বিস্তারে আধুনিক বিপণন কৌশলের ওপর গুরুত্ব দেন। কারুবীথির লক্ষ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাবির ইবনে মিজান। তিনি বলেন, কারুবীথি হবে বাংলাদেশের হস্তশিল্পী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য একটি আস্থার নাম। প্রশিক্ষণ, বিপণন, পরামর্শ ও পুঁজি সংস্থান এর মাধ্যমে আমরা একটি শক্তিশালী উদ্যোক্তা নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চাই। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কারুবীথির পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, আসরাফুল ইসলাম মাসুম আহমেদ এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কিউলিপের প্রধান নির্বাহী জোবায়ের হোসেন। তারা উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন, কারিগরি উৎকর্ষতা ও মাঠ পর্যায়ের সমন্বয় পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। বর্তমানে কারুবীথি দেশের ৫০০ এর বেশি দেশীয় উদ্যোক্তার সাথে কাজ করছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘোষণা ছিল এই নেটওয়ার্ক থেকে বাছাইকৃত ২০০ জন সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাকে সরাসরি ব্যবসায়িক চুক্তি প্রদান। যারা মেধা ও শ্রম থাকা সত্ত্বেও পুঁজির অভাবে ব্যবসা সম্প্রসারণে পিছিয়ে রয়েছেন, তাদের জন্য এই উদ্যোগ নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দেবে। পণ্য বিপণন, ব্যবসায়িক প্রশিক্ষণ, দিকনির্দেশনা ও সহজ শর্তে পুঁজি সংস্থান এর মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা কারুশিল্পী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সক্ষম করে তোলাই কারুবীথির মূল লক্ষ্য। শেরাটন ঢাকার এই জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনের মাধ্যমে ‘কারুবীথি’ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় এক নতুন আশার আলো হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল।


প্রিন্ট