, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

নারী সঙ্গীর বাসায় গুলিবিদ্ধ হন এনসিপি নেতা, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই: পুলিশ

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ৩ ঘন্টা আগে
  • / ৫ বার পড়া হয়েছে

জাতীয় নাগরিক পার্টির খুলনা বিভাগীয় প্রধান মোতালেব শিকদারের মাথায় গুলির ঘটনায় প্রথম দৃষ্টিতে কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি দিয়ে খুলনা মহানগর পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ মোতালেব শঙ্কামুক্ত। সোমবার সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটের সময় এ ঘটনা ঘটে। প্রথমে দাবি করা হয়, সোনাডাঙ্গার গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কাছে দুর্বৃত্তরা মাথায় লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে গেছে। তবে কেএমপির তদন্তে ভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশ বলেছে, সোনাডাঙ্গা এলাকার আল আকসা মসজিদ রোডের ‘মুক্তা হাউজ ১০৯’-এর নিচতলায় অবস্থিত একটি ফ্ল্যাটে গুলিবিদ্ধ হন মোতালেব শিকদার। কেএমপির প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রথমে রাস্তায় গোলাগুলির ঘটনায় আহত হওয়ার মিথ্যা জবানবন্দি দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনা ঘটে মোতালেবের নারী সঙ্গী তন্বীর ভাড়া বাসায়। তিনি গত দুই মাস ধরে ওই বাসায় তাকে নিয়ে থাকতেন। পুলিশ জানায়, ওই বাসা থেকে উদ্ধার হয়েছে পাঁচটি বিদেশি মদের খালি বোতল, একটি পিস্তলের খোসা, ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম এবং অনৈতিক কার্যকলাপের আলামত। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, আগের রাতে সাড়ে বারোটা নাগাদ দুই ব্যক্তি ওই বাসায় প্রবেশ করেন। পুলিশের অনুসন্ধানে জানা যায়, মোতালেব শিকদার খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর অনুসারী সৌরভ ও তার সহযোগীদের সঙ্গে চাঁদাবাজিতে জড়িত ছিলেন। চাঁদার অর্থ ভাগাভাগি নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরেই তাকে গুলি করা হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। কেএমপির উপকমিশনার (দক্ষিণ বিভাগ) তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় প্রথম দৃষ্টিতে কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। মাদক ব্যবহারের আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে তদন্ত চলছে।’ অন্যদিকে চিকিৎসকদের বরাতে কেএমপি জানায়, গুলিবিদ্ধ মোতালেব বর্তমানে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন। তার সিটি স্ক্যান রিপোর্ট স্বাভাবিক এবং তিনি আশঙ্কামুক্ত। মুক্তা হাউজের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানান, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী নামের এক তরুণী এক মাস আগে ওই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিওকর্মী পরিচয় দিতেন এবং প্রায়ই বাইরে থাকতেন। তার কক্ষে একাধিক পুরুষের যাতায়াত ছিল। পরে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ পেয়ে তাকে বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। এর আগে এই গুলির ঘটনা ঘটে।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

নারী সঙ্গীর বাসায় গুলিবিদ্ধ হন এনসিপি নেতা, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই: পুলিশ

আপডেট সময় ৩ ঘন্টা আগে

জাতীয় নাগরিক পার্টির খুলনা বিভাগীয় প্রধান মোতালেব শিকদারের মাথায় গুলির ঘটনায় প্রথম দৃষ্টিতে কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি দিয়ে খুলনা মহানগর পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ মোতালেব শঙ্কামুক্ত। সোমবার সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটের সময় এ ঘটনা ঘটে। প্রথমে দাবি করা হয়, সোনাডাঙ্গার গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কাছে দুর্বৃত্তরা মাথায় লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে গেছে। তবে কেএমপির তদন্তে ভিন্ন তথ্য উঠে এসেছে। পুলিশ বলেছে, সোনাডাঙ্গা এলাকার আল আকসা মসজিদ রোডের ‘মুক্তা হাউজ ১০৯’-এর নিচতলায় অবস্থিত একটি ফ্ল্যাটে গুলিবিদ্ধ হন মোতালেব শিকদার। কেএমপির প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রথমে রাস্তায় গোলাগুলির ঘটনায় আহত হওয়ার মিথ্যা জবানবন্দি দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনা ঘটে মোতালেবের নারী সঙ্গী তন্বীর ভাড়া বাসায়। তিনি গত দুই মাস ধরে ওই বাসায় তাকে নিয়ে থাকতেন। পুলিশ জানায়, ওই বাসা থেকে উদ্ধার হয়েছে পাঁচটি বিদেশি মদের খালি বোতল, একটি পিস্তলের খোসা, ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম এবং অনৈতিক কার্যকলাপের আলামত। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, আগের রাতে সাড়ে বারোটা নাগাদ দুই ব্যক্তি ওই বাসায় প্রবেশ করেন। পুলিশের অনুসন্ধানে জানা যায়, মোতালেব শিকদার খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর অনুসারী সৌরভ ও তার সহযোগীদের সঙ্গে চাঁদাবাজিতে জড়িত ছিলেন। চাঁদার অর্থ ভাগাভাগি নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরেই তাকে গুলি করা হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। কেএমপির উপকমিশনার (দক্ষিণ বিভাগ) তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনায় প্রথম দৃষ্টিতে কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি। মাদক ব্যবহারের আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে তদন্ত চলছে।’ অন্যদিকে চিকিৎসকদের বরাতে কেএমপি জানায়, গুলিবিদ্ধ মোতালেব বর্তমানে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন। তার সিটি স্ক্যান রিপোর্ট স্বাভাবিক এবং তিনি আশঙ্কামুক্ত। মুক্তা হাউজের মালিকের স্ত্রী আশরাফুন্নাহার জানান, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তন্বী নামের এক তরুণী এক মাস আগে ওই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন। তিনি নিজেকে এনজিওকর্মী পরিচয় দিতেন এবং প্রায়ই বাইরে থাকতেন। তার কক্ষে একাধিক পুরুষের যাতায়াত ছিল। পরে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ পেয়ে তাকে বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়া হয়। এর আগে এই গুলির ঘটনা ঘটে।


প্রিন্ট