শরীয়তপুরে এনসিপি ও ছাত্রদলের সংঘর্ষ, আহত ১০
বাংলাদেশের সংকটময় মুহূর্তে প্রত্যাবর্তন হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ এক ব্যক্তির
দিল্লির পর আগরতলা-শিলিগুড়িতেও বাংলাদেশের ভিসা সেবা বন্ধ
নেতাকর্মীদের যাতায়াতে ১০ স্পেশাল ট্রেন পেল বিএনপি
দিল্লিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের ভিসা সেবা বন্ধ
প্রথম আলো-ডেইলি স্টার হামলায় সরকারের ভেতরের অংশের সংশ্লিষ্টতা আছে: নাহিদ ইসলাম
জমজ সন্তানদের নাম রাখা হলো শহীদ ওসমান-হাদির নামে
বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম রেকর্ড, দেশে ভরি কত
বাংলাদেশ-ভারতের উত্তেজনা দ্রুত কমানোর আহ্বান রাশিয়ার
পশ্চিম তীরের শহর ঘিরে বসতবাড়ি ধ্বংস করেছে ইসরায়েলি সেনারা
সংঘাত বন্ধে আলোচনায় বসতে রাজি থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া
- আপডেট সময় ৪ ঘন্টা আগে
- / ৩ বার পড়া হয়েছে
সীমান্তের প্রাণঘাতী সংঘাত বন্ধের লক্ষ্য নিয়ে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া আগামী সপ্তাহে আলোচনায় বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে দুই দেশের কর্মকর্তারা বৈঠক করবেন। এই ঘোষণা আসে যখন সীমান্তে তৃতীয় সপ্তাহ ধরে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। চলতি বছর জুলাইয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় দুই দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও, মাসের শুরুতেই আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। নতুন করে সহিংসতার জন্য উভয় দেশই একে অপরকে দায়ী করছে। সোমবার মালয়েশিয়ায় আসিয়ান সম্মেলনের সময় থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। এই বৈঠক ছিল দুই দেশের মধ্যে প্রথম সরাসরি আলোচনাযোগ্য আলোচনা। বৈঠক শেষে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সিহাসাক ফুয়াংকেটকিও বলেন, জুলাইয়ের যুদ্ধবিরতি ছিল তাড়াহুড়ো করে করা। তিনি উল্লেখ করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ট্রাম্পের সফরের আগে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা চেয়েছিল। তার মতে, স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনা করে ধৈর্য্যের সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি। সিহাসাক আরও জানান, ২৪ ডিসেম্বর থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে আরেকটি বৈঠক হবে। সামরিক পর্যায়ের এই আলোচনা ব্যতীত কার্যকরভাবে যুদ্ধবিরতি সম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে এখনও কম্বোডিয়া থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এই মাসে ফের সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে কমপক্ষে ৪১ জন নিহত এবং প্রায় ১০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। থাইল্যান্ড ইতিমধ্যে কম্বোডিয়ার দিকে লক্ষ্য করে বিমান হামলাও চালিয়েছে। আসিয়ান সম্মেলনে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান বলেন, এই পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। সংঘর্ষ দীর্ঘায়িত হলে সাধারণ মানুষের ওপর এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলে তিনি সতর্ক করেছেন। ১৯৬৭ সালে আসিয়ান প্রতিষ্ঠার পর এটিই সবচেয়ে খারাপ সংঘাত বলে মনে করা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য বড় আঘাত বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। সংঘর্ষ নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনও মধ্যস্থতার চেষ্টা চালাচ্ছে। চীনের এশিয়ার বিশেষ দূত দেং শিউন সম্প্রতি কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে সফর করেছেন। বেইজিং জানিয়েছে, থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার জন্য চীন গঠনমূলক ভূমিকা রাখবে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার বিস্তারিত তথ্য সময়মতো প্রকাশ করা হবে। সূত্র: বিবিসি
প্রিন্ট


























