, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নওগাঁর মহাদেবপুরে শিশু শিক্ষার্থী নাতনিকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে দাদা গ্রেফতার Logo শেখ হাসিনাকে দেশ ছাড়া করতে ৩৬ দিন লেগেছে আপনাদের সরাতে ৩৬ মিনিট ও লাগবেনা – মানববন্ধনে বক্তারা Logo নওগাঁর মান্দায় অভিনব কায়দায় কিশোরকে অপহরণের চেষ্টা, আটক ২ Logo নওগাঁয় বিদ্যুতের কাজ করতে গিয়ে ৩ তলা থেকে পড়ে এক মিস্ত্রির মৃত্যু Logo নওগাঁয় ধর্ষন ও আইন শৃঙ্খলার অবনতির বিরুদ্ধে শিক্ষাথীদের মানববন্ধন Logo নওগাঁয় মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ Logo নওগাঁয় মধ্যরাতে রাস্তায় গাছ ফেলে ডাকাতি Logo সালাহউদ্দিন ছাড়া সকল উপদেষ্টা অপদার্থ- মিনু Logo নওগাঁয় জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ সমাবেশ Logo সৌদি, ওমান ও কাতার যেতে আগ্রহীদের জন্য সুখবর
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

গোপালগঞ্জ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বয়কদের ওপর হামলা, মামলা ও তদন্ত কমিটি গঠিত

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৫৫ বার পড়া হয়েছে

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়কসহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে এবং তদন্তের জন্য সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রোববার সকালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল জামান ফাহিম গোপালগঞ্জ সদর থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০-২৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছাত্রলীগ কর্মী শরিফুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার দুই সমন্বয়ক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত হন কৃষিবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর শরীফ।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে প্রকৌশল অনুষদের ডিন আবদুল্লাহ আল আসাদকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন শেখ রাসেল হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সাহাব উদ্দিন, ইতিহাস বিভাগের সভাপতি আতিকুজ্জামান ভূঁইয়া, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শামচুল আরেফিন, সহকারী প্রক্টর আইরিন পারভীন, মো. আসিফ খাদেল এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক ওহিদুল ইসলাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম পরীক্ষা দিতে এলে শিক্ষার্থীরা তাঁকে আটক করেন। এরপর শরিফুলের সহযোগীরা হামলা চালিয়ে তাঁকে ছিনিয়ে নেন। হামলার সময় তাঁরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন।

অন্যদিকে, অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমাকে আটকানোর সময় সহপাঠীরা আমাকে মুক্ত করে নেন। কোনো হামলা চালানো হয়নি।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, প্রতিবেদন পাওয়ার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

গোপালগঞ্জ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বয়কদের ওপর হামলা, মামলা ও তদন্ত কমিটি গঠিত

আপডেট সময় ০৫:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়কসহ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে এবং তদন্তের জন্য সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রোববার সকালে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফয়সাল জামান ফাহিম গোপালগঞ্জ সদর থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ২০-২৫ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছাত্রলীগ কর্মী শরিফুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার দুই সমন্বয়ক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত হন কৃষিবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন এবং পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ওমর শরীফ।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে প্রকৌশল অনুষদের ডিন আবদুল্লাহ আল আসাদকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন শেখ রাসেল হলের প্রাধ্যক্ষ মো. সাহাব উদ্দিন, ইতিহাস বিভাগের সভাপতি আতিকুজ্জামান ভূঁইয়া, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শামচুল আরেফিন, সহকারী প্রক্টর আইরিন পারভীন, মো. আসিফ খাদেল এবং ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের সহকারী পরিচালক ওহিদুল ইসলাম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, “তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রলীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম পরীক্ষা দিতে এলে শিক্ষার্থীরা তাঁকে আটক করেন। এরপর শরিফুলের সহযোগীরা হামলা চালিয়ে তাঁকে ছিনিয়ে নেন। হামলার সময় তাঁরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন।

অন্যদিকে, অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমাকে আটকানোর সময় সহপাঠীরা আমাকে মুক্ত করে নেন। কোনো হামলা চালানো হয়নি।”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, প্রতিবেদন পাওয়ার পর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


প্রিন্ট