, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাঁসের কারণে জমি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২৫ জন Logo লক্ষ্মীপুরে ২০০ শিশুর জন্য এল ঈদের আনন্দ, পাচ্ছে বিশেষ উপহার Logo গণহত্যার বিচার যদি বিলম্বিত হয়, তাহলে ফ্যাসিবাদ আবার উত্থান ঘটাতে পারে: আখতার Logo স্বর্ণের দাম আবারও ঊর্ধ্বমুখী, ভরির মূল্য কি এখন Logo ‌খোলা-পিকআপে ২০ কিলোমিটার সড়ক ভাড়া ২০০! Logo দাফনের ৭৫ দিন পর বাড়িতে ফিরে এলো কিশোর Logo ‘ডিসেম্বরের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের সমস্যা হবে সমাধান’ Logo ময়মনসিংহে ঈদের বিশেষ জামাতের সময় ও স্থান জানুন Logo ১৩ তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা যুবতীর Logo শিশুর ওপর ধর্ষণের চেষ্টা: অভিযুক্তকে উত্তেজিত জনতার হাতে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন, উত্তাল ক্যাম্পাস

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৭৪ বার পড়া হয়েছে

ঢাকার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি তিতুমীর কলেজকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনে নেমেছেন। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার পর থেকে কলেজের মূল ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা ব্যানার হাতে অবস্থান নেন এবং সাত দফা দাবি উত্থাপন করেন।

শিক্ষার্থীদের বক্তব্য:

গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী এফ রায়হান বলেন, “তিতুমীর কলেজের ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী আজ একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন দেখে। আমাদের এই দাবি শুধু তিতুমীরের নয়, বরং সারাদেশের উচ্চশিক্ষার জন্য একটি মাইলফলক হতে পারে। আমরা চাই, এই আন্দোলনের মাধ্যমে শিক্ষার সমতা নিশ্চিত হোক।”

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী বেল্লাল হাসান বলেন, “দেশের প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষার দরজা খুলতে হলে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা জরুরি। আর কোনো শিক্ষার্থী যেন সিদ্দিকুর রহমানের মতো অন্ধ না হয়, শিক্ষা যেন সবার জন্য উন্মুক্ত হয়।”

শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবি:

শিক্ষার্থীরা তাদের সাত দফা দাবির ভিত্তিতে অনশনে নেমেছেন। তাদের প্রধান দাবিগুলো হলো—

তিতুমীর কলেজকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন ও ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম শুরু
শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন নিশ্চিতকরণ বা আবাসিক খরচ বহন
আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল’ ও জার্নালিজম বিষয় সংযোজন
পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ ও গবেষণা সুবিধা বৃদ্ধি

আন্দোলনের পেছনের ইতিহাস

সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা গত ২৮ বছর ধরে এই দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট নতুন সরকারের কাছে তারা আবারও তাদের দাবি উত্থাপন করেন। তবে এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই অনশন অব্যাহত থাকবে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন, উত্তাল ক্যাম্পাস

আপডেট সময় ০৮:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

ঢাকার অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি তিতুমীর কলেজকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনে নেমেছেন। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার পর থেকে কলেজের মূল ফটকের সামনে শিক্ষার্থীরা ব্যানার হাতে অবস্থান নেন এবং সাত দফা দাবি উত্থাপন করেন।

শিক্ষার্থীদের বক্তব্য:

গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী এফ রায়হান বলেন, “তিতুমীর কলেজের ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী আজ একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্ন দেখে। আমাদের এই দাবি শুধু তিতুমীরের নয়, বরং সারাদেশের উচ্চশিক্ষার জন্য একটি মাইলফলক হতে পারে। আমরা চাই, এই আন্দোলনের মাধ্যমে শিক্ষার সমতা নিশ্চিত হোক।”

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী বেল্লাল হাসান বলেন, “দেশের প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষার দরজা খুলতে হলে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করা জরুরি। আর কোনো শিক্ষার্থী যেন সিদ্দিকুর রহমানের মতো অন্ধ না হয়, শিক্ষা যেন সবার জন্য উন্মুক্ত হয়।”

শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবি:

শিক্ষার্থীরা তাদের সাত দফা দাবির ভিত্তিতে অনশনে নেমেছেন। তাদের প্রধান দাবিগুলো হলো—

তিতুমীর কলেজকে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন ও ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি কার্যক্রম শুরু
শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন নিশ্চিতকরণ বা আবাসিক খরচ বহন
আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ল’ ও জার্নালিজম বিষয় সংযোজন
পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ ও গবেষণা সুবিধা বৃদ্ধি

আন্দোলনের পেছনের ইতিহাস

সরকারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা গত ২৮ বছর ধরে এই দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট নতুন সরকারের কাছে তারা আবারও তাদের দাবি উত্থাপন করেন। তবে এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই অনশন অব্যাহত থাকবে।


প্রিন্ট