টাঙ্গাইলে মহাসড়কে গণপরিবহনের অভাবের কারণে ঈদ উপলক্ষে বাড়ি ফেরার সময় ভোগান্তিতে পড়েছেন অনেক যাত্রী। অনেকেই জীবন ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক ও পিকআপে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এ সুযোগে চালকরা বেআইনিভাবে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন। শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাত ৭টায় এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে ঈদের জন্য পরিবহনের অপেক্ষায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে রয়েছেন অনেক পরিবার। একটি বাস পেলেই হুড়োহুড়ি করছেন ওঠার জন্য। এই অবস্থায় অনেকেই বাসের ভাড়া তিনগুণ বেশি দিয়েও দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না। শিশু সন্তান নিয়ে অনেকপক্ষ দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে গন্তব্য না পেয়ে খোলা ট্রাক ও অন্যান্য গাড়িতে উঠছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে সিরাজগঞ্জের কড্ডা পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় বাসের ভাড়া সাধারণত ৪০-৫০ টাকা হলেও এখানে খোলা ট্রাক ও পিকআপে চালকরা ২০০ টাকা নিচ্ছেন। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াতেও যাত্রীদের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ছে। এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষারত কামরুজ্জামান বলেন, তিনি দুই ঘণ্টা ধরে পরিবার নিয়ে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছেন, কিন্তু পেলেও ভাড়া খুব বেশি। শিশুসহ খোলা ট্রাকে ওঠতে ভয় লাগছে। যাত্রীরা জানান, পুলিশ উপস্থিত থাকলেও অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন চালকরা। ঈদের সময় কিছুটা ভাড়া বৃদ্ধি ঠিক হলেও, এতো বেশি ভাড়া নেওয়ায় তারা অভিযোগ জানানোর বিষয়টি ভাবছেন। জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, জেলা পুলিশের ৭শ’ ৫০ সদস্য ২৪ ঘণ্টা মহাসড়কে কাজ করছেন এবং যানজট হচ্ছে না। মহাসড়কে তিন চাকা গাড়িগুলোর চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়ার বিষয়ে কোনও অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরীফা হক জানান, ঘরমুখো যাত্রীদের জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মহাসড়কে ম্যাজিস্ট্রেট ও মোবাইল টিম কাজ করছে এবং জরুরি প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুম খোলা রয়েছে।