, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাঁসের কারণে জমি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২৫ জন Logo লক্ষ্মীপুরে ২০০ শিশুর জন্য এল ঈদের আনন্দ, পাচ্ছে বিশেষ উপহার Logo গণহত্যার বিচার যদি বিলম্বিত হয়, তাহলে ফ্যাসিবাদ আবার উত্থান ঘটাতে পারে: আখতার Logo স্বর্ণের দাম আবারও ঊর্ধ্বমুখী, ভরির মূল্য কি এখন Logo ‌খোলা-পিকআপে ২০ কিলোমিটার সড়ক ভাড়া ২০০! Logo দাফনের ৭৫ দিন পর বাড়িতে ফিরে এলো কিশোর Logo ‘ডিসেম্বরের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশের সমস্যা হবে সমাধান’ Logo ময়মনসিংহে ঈদের বিশেষ জামাতের সময় ও স্থান জানুন Logo ১৩ তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা যুবতীর Logo শিশুর ওপর ধর্ষণের চেষ্টা: অভিযুক্তকে উত্তেজিত জনতার হাতে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

দাফনের ৭৫ দিন পর বাড়িতে ফিরে এলো কিশোর

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
  • / ২৩ বার পড়া হয়েছে

দাফনের আড়াই মাস পর ঈদ করতে বাড়ি ফিরে আসলেন তোফাজ্জেল হোসেন তুফান নামে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে গত ১২ জানুয়ারি নিখোঁজ হন তুফান। নিখোঁজের কয়েকদিন পর গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল থেকে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত একজনের মরদেহ তুফান ভেবে নিয়ে এসে দাফন করে তার বাবা-মা। কিন্তু বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাতে প্রায় আড়াই মাস পর হুট করে তুফান ঢাকা থেকে ঈদ করতে বাড়ি ফিরে আসে। সকাল থেকে তুফানকে দেখতে এলাকার মানুষ তার বাড়িতে ভিড় জমায়। তুফান উপজেলার হারদী ইউনিয়নের বৈদ্যানাথপুর গ্রামের সাঈদ হোসেনের ছেলে। এলাকাবাসী জানায়, গত ১২ জানুয়ারি তুফান বাড়ি থেকে রাগ করে চলে যায়। অনেক খোঁজাখুজি করে সন্ধান না পাওয়ার তার বাবা আলমডাঙ্গা থানায় নিখোঁজের জিডি করেন। নিখোঁজের দুই দিন পর ১৪ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানা যায়, গাইবান্ধা রেল স্টেশনে একটি ছেলে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে। ছেলেটির ছবিও তুফানের মতোই দেখতে। এ সংবাদ পেয়ে তুফানের বাবা সাঈদ হোসেনসহ পরিবারের লোকজন গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার ৪ দিন পর তুফানের মতো দেখতে ওই ছেলে মারা যায়। তুফানের বাবাসহ পরিবারের লোকজন লাশ বাড়িতে নিয়ে এসে দাফন করে। এ বিষয়ে তুফানের বাবা সাঈদ হোসেন জানান, তুফান বাড়ি থেকে হারিয়ে যাওয়ার পর তাকে না পেয়ে থানায় জিডি করি। দুইদিন পর জানতে পারি ফেসবুকে একটি ছেলের ছবি দিয়েছে। ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে হাসপাতালে ভর্তি আছে সে। ছবিটি দেখে তুফানের মতো মনে হয়। পরিবারের সকলকে নিয়ে আমরা গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে যাই। সেখানে চারদিন চিকিৎসার পর ওই ছেলেটি মারা যায়। আমরা আমাদের ছেলে তুফান মনে করে তার লাশ নিয়ে এসে দাফন করেছি। বৃহস্পতিবার রাতে আমার ছেলে তুফান বাড়িতে ফিরে এসেছে। বাড়ি ফিরে আসা তুফান বলেন, বড় ভাইয়ের ওপর রাগ করে বাড়ি থেকে ঢাকায় চলে যায়। ঢাকার শ্যামলীতে আলমডাঙ্গার কিছু মানুষের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তাদের সঙ্গে রডমিস্ত্রির কাজ করতে শুরু করি। রাগ করে এতদিন বাড়িতে যোগাযোগ করিনি। দুই-তিন দিন পর ঈদ। সবাই বাড়িতে চলে আসছে। সেজন্য আমিও বাড়িতে আসছি। বাড়িতে আসার পর জানতে পারি এ ঘটনা। আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, সকালে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দাফনকৃত তুফানের পরিচয় বের করতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

দাফনের ৭৫ দিন পর বাড়িতে ফিরে এলো কিশোর

আপডেট সময় ০৮:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫

দাফনের আড়াই মাস পর ঈদ করতে বাড়ি ফিরে আসলেন তোফাজ্জেল হোসেন তুফান নামে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে গত ১২ জানুয়ারি নিখোঁজ হন তুফান। নিখোঁজের কয়েকদিন পর গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল থেকে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত একজনের মরদেহ তুফান ভেবে নিয়ে এসে দাফন করে তার বাবা-মা। কিন্তু বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাতে প্রায় আড়াই মাস পর হুট করে তুফান ঢাকা থেকে ঈদ করতে বাড়ি ফিরে আসে। সকাল থেকে তুফানকে দেখতে এলাকার মানুষ তার বাড়িতে ভিড় জমায়। তুফান উপজেলার হারদী ইউনিয়নের বৈদ্যানাথপুর গ্রামের সাঈদ হোসেনের ছেলে। এলাকাবাসী জানায়, গত ১২ জানুয়ারি তুফান বাড়ি থেকে রাগ করে চলে যায়। অনেক খোঁজাখুজি করে সন্ধান না পাওয়ার তার বাবা আলমডাঙ্গা থানায় নিখোঁজের জিডি করেন। নিখোঁজের দুই দিন পর ১৪ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানা যায়, গাইবান্ধা রেল স্টেশনে একটি ছেলে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে। ছেলেটির ছবিও তুফানের মতোই দেখতে। এ সংবাদ পেয়ে তুফানের বাবা সাঈদ হোসেনসহ পরিবারের লোকজন গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকার ৪ দিন পর তুফানের মতো দেখতে ওই ছেলে মারা যায়। তুফানের বাবাসহ পরিবারের লোকজন লাশ বাড়িতে নিয়ে এসে দাফন করে। এ বিষয়ে তুফানের বাবা সাঈদ হোসেন জানান, তুফান বাড়ি থেকে হারিয়ে যাওয়ার পর তাকে না পেয়ে থানায় জিডি করি। দুইদিন পর জানতে পারি ফেসবুকে একটি ছেলের ছবি দিয়েছে। ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে হাসপাতালে ভর্তি আছে সে। ছবিটি দেখে তুফানের মতো মনে হয়। পরিবারের সকলকে নিয়ে আমরা গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে যাই। সেখানে চারদিন চিকিৎসার পর ওই ছেলেটি মারা যায়। আমরা আমাদের ছেলে তুফান মনে করে তার লাশ নিয়ে এসে দাফন করেছি। বৃহস্পতিবার রাতে আমার ছেলে তুফান বাড়িতে ফিরে এসেছে। বাড়ি ফিরে আসা তুফান বলেন, বড় ভাইয়ের ওপর রাগ করে বাড়ি থেকে ঢাকায় চলে যায়। ঢাকার শ্যামলীতে আলমডাঙ্গার কিছু মানুষের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তাদের সঙ্গে রডমিস্ত্রির কাজ করতে শুরু করি। রাগ করে এতদিন বাড়িতে যোগাযোগ করিনি। দুই-তিন দিন পর ঈদ। সবাই বাড়িতে চলে আসছে। সেজন্য আমিও বাড়িতে আসছি। বাড়িতে আসার পর জানতে পারি এ ঘটনা। আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, সকালে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দাফনকৃত তুফানের পরিচয় বের করতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


প্রিন্ট