, শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নওগাঁয় ভুয়া পুলিশ চক্রের ৪জন গ্রেপ্তার Logo জামায়াতের আমিরের সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ Logo নওগাঁয় ব্যতিক্রমীভাবে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মৎস্যজীবী সমাবেশ নৌকাবাইচ ও হাঁস খেলা Logo আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা: নওগাঁয় প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্টিত জেলায় এ বছর ৮৮১টি মন্ডপে শারদ উৎসব পালিত হবে Logo নওগাঁয় সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন Logo এ বিজয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর Logo জাবিতে দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনৈতিক চর্চা বন্ধ করব Logo জাবিতে দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনৈতিক চর্চা বন্ধ করব Logo এ বিজয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীর Logo জাবিতে দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনৈতিক চর্চা বন্ধ করব
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

নওগাঁর রাণীনগরে জমি রেজিষ্ট্রি’র সরকারি করের চালান নিয়ে চালবাজী

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৫৫ বার পড়া হয়েছে

নওগাঁর রাণীনগরের সাবরেজিস্ট্রী অফিসে দলিল লেখক অফিস সহকারির অনিয়ম আর দুণীতি দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত বুধবার (২০আগস্ট) একটি দলিলের করের চালান কপি দলিলের সঙ্গে জমা না দিয়ে গোপনে দলিল লেখক অফিস সহকারির যোগসাজসে পুনরায় তা ভেঙ্গে প্রায় ২০লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত করার পায়তারার বিষয়টি প্রকাশ পায়। ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়ায় দলিল গ্রহিতাদের ডেডে এনে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছেন তারা। বর্তমানে সেই বিষয়টি উপজেলাজুড়ে টক অব দ্যা উপজেলায় পরিণত হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার আবাদপুকুর বাজার এলাকার গোলাম রাব্বানী তার ৪৬.৭৫শতাংশ জমির উপর নির্মাণ করা মার্কেট তিনজন ক্রেতার কাছে বিক্রি করেন।

বিক্রিকৃত প্রথম দলিলের মূল্য ৫কোটি ১৩লাখ ৬৫হাজার টাকা, দ্বিতীয় দলিলের মূল্য কোটি  ৪৪ লাখ টাকা আর তৃতীয় দলিলের মূল্য কোটি ৪৪লাখ ৩০হাজার টাকা। প্রথম দলিলে স্থাপনার মূল্য ধরা হয়েছে কোটি ৫০লাখ টাকা, দ্বিতীয় দলিলে ৫০লাখ টাকা আর তৃতীয় দলিলে কোটি টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি নিয়মানুসারে শতকরা ২ভাগ উৎসের কর ৬ভাগ স্থাপনা কর প্রদান করতে হয়। সেই দলিলের কর হিসাবে যে টাকা চালানের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ঘরে জমা হয় সেই চালান কপি দলিলের সঙ্গে যুক্ত করে সাবরেজিস্ট্রারের কাছে দাখিল করে দলিল তিনটির কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। এই বিপুল অংকের টাকার দলিলের জমির শ্রেণির বাহানা দিয়ে পরবর্তিতে দলিল লেখক বেনাজুল ইসলাম অফিস সহকারি রবিউল ইসলামের যোগসাজসে সরকারকে কর ফাঁকি দিয়ে করের বিপুল পরিমাণ অর্থ হরিলুট করার পায়তারা করা হয়।

কিন্তু পরবর্তিতে তাদের দুজনের মাঝে সমঝোতা না হওয়ার কারনে অফিস সহকারি নিজে জমির শ্রেণি পরিবর্তনের ভুলে চালান বেশি করা হয়েছে বাহানা দিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২১আগস্ট) দলিলের চালান ভেঙ্গে প্রায় ১৯লাখ ৯৭ হাজার টাকা গ্রাহকের কাছে ফেরত দিলে বিষয়টি প্রকাশ পায়। এমন ঘটনায় উপজেলা জুড়ে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক আর অফিসের সকল ব্যক্তিদের অনিয়ম আর দুর্নীতি নিয়ে তোলপারের সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া চরম দুর্নীতিবাজ অফিস সহকারি রবিউল ইসলামের বিগত সময়ে বিভিন্ন অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগে চাকরী হারানো, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে জেলার আত্রাই উপজেলা থেকে রাণীনগর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রী অফিসে যোগদানের পর থেকে প্রতিটি দলিলে লাগামহীন অনিয়ম আর দুর্নীতির নানা বিষয়গুলো প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। এছাড়া প্রতিনিয়তই রাণীনগর সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে জমি ক্রয় কিংবা বিক্রয় করতে আসা ক্রেতা বিক্রেতারা দলিল লেখকদের গড়ে তোলা প্রতারণার ফাঁদে পরে চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও অনিয়ম আর দুর্নীতির এই আখড়া নিয়ে সরকারের কোন দৃশ্যমান মিকা না থাকায় হতাশ উপজেলাবাসী।

দলিল লেখক বেনাজুল ইসলাম  জানান দলিলে স্থাপনা উল্লেখ করে বর্গফুট হিসেবে গোলাম রাব্বানীর মাকের্ট বিক্রি হয়েছে। দলিলে করের চালান করার সময় চালানকারী হিসেব করে উপজেলার সোনালী ব্যাংক টিটিডিসি পিএলসি শাখায় দলিলের করের চালান করে। পরবর্তিতে বিষয়টি জানতে পারার পর সেই চালান ভেঙ্গে গ্রাহকদের কাছে ১৯লাখ ৯৭ হাজার টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। চালান করে দলিল লেখার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করার পরের দিন চালান ভাঙ্গা কতটুকু বৈধ সেই বিষয়ে তিনি বলেন যেহেতু ভুল হয়েছিলো তাই সেই চালান পুনরায় ভাঙ্গা হয়েছে। তবে এমন কাজ কতটুকু বৈধ সেই বিষয়ে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি।

সাবরেজিস্ট্রী অফিসের সহকারি রবিউল ইসলামের কাছে দলিল করা বিষয়ে তথ্য নিতে গেলে প্রথমে নানা বাহানার সৃষ্টি করেন। এরপর অনেক বির্তকের পর তিনি জানান রাণীনগর উপজেলায় বিগত সময়ে এতো বিপুল পরিমাণ টাকার দলিল কখনোই হয়নি। তাই এই দলিল হওয়ার সময় তিনি তার পূর্বের অফিস আত্রাই উপজেলার সাবরেজিস্ট্রারের পরামর্শ গ্রহণ করেন। তার পরামর্শ অনুসারেই ওই দলিলের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।

এরপর এই বিপুল টাকার দলিলের চালান ভাঙ্গার বিষয়ে জানতে চাইলে অফিস সহকারি রবিউল ইসলাম আরো জানান ওই বিক্রিত জমির শ্রেণি বিষয়ে ভুল করে কর প্রদানের চালান করা হয়। বিষয়টি জানার পর তিনি গোপনে নিজে চালানটি ব্যাংকে গিয়ে ভেঙ্গে গ্রাহকের প্রাপ্য অর্থ ফেরত দিয়ে তিনি বাকি টাকা সরকারের রাজস্ব ঘরে জমা দিয়েছেন। বিষয়টি সাবরেজিস্ট্রারকে না জানিয়ে তিনি নিজে ব্যাংকে গিয়ে গোপনে চালান ভাঙ্গার বিষয়টি কতটুকু যৌক্তিক সেই বিষয়ে কোন উত্তর তার কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।নিয়মানুসারে দলির গ্রহিতার চালান করার কথা। তবে এ ক্ষেত্রে দলিল লেখক চালান করেছেন।

ওই জমির ৩ দলিল গ্রহিতার ১জন মনেয়ার হোসেন জানান, আমাদের দলিল রেজিষ্ট্রির জন্য যে টাকা চাওয়া হয়েছে আমরা তাই দিয়েছি। টাকা ফেরত না দিলে আমরা জানতেই পারতাম না আমাদের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা অতিরিক্ত নেওয়া হয়েছে। টাকা ফেরত দেওয়ার সময় দলিল লেখক টাকা প্রাপ্তী বিষয়ে ৩০০ টাকার ষ্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে আমাদের টাকা দিয়েছেন।

এই বিষয়ে সাবরেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুক্তি আরা মুঠোফোনে জানান এই বিষয়টি তিনি জানার পর জেলা রেজিস্ট্রারকে বিষয়টি অবগত করেছেন। জেলা রেজিস্ট্রারের নির্দেশনা মোতাবেক আগামী বৃহস্পতিবার তিনি অফিসে গিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এ বিষয়ে জেলা রেজিষ্ট্রার মো: সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে করের এই চালানের বিষয়ে বিভিন্ন মহল থেকে অবহিত হয়েছি। বিষয়টির খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

নওগাঁর রাণীনগরে জমি রেজিষ্ট্রি’র সরকারি করের চালান নিয়ে চালবাজী

আপডেট সময় ০৪:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

নওগাঁর রাণীনগরের সাবরেজিস্ট্রী অফিসে দলিল লেখক অফিস সহকারির অনিয়ম আর দুণীতি দিন দিন বেড়েই চলেছে। গত বুধবার (২০আগস্ট) একটি দলিলের করের চালান কপি দলিলের সঙ্গে জমা না দিয়ে গোপনে দলিল লেখক অফিস সহকারির যোগসাজসে পুনরায় তা ভেঙ্গে প্রায় ২০লক্ষাধিক টাকা আত্মসাত করার পায়তারার বিষয়টি প্রকাশ পায়। ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়ায় দলিল গ্রহিতাদের ডেডে এনে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছেন তারা। বর্তমানে সেই বিষয়টি উপজেলাজুড়ে টক অব দ্যা উপজেলায় পরিণত হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার আবাদপুকুর বাজার এলাকার গোলাম রাব্বানী তার ৪৬.৭৫শতাংশ জমির উপর নির্মাণ করা মার্কেট তিনজন ক্রেতার কাছে বিক্রি করেন।

বিক্রিকৃত প্রথম দলিলের মূল্য ৫কোটি ১৩লাখ ৬৫হাজার টাকা, দ্বিতীয় দলিলের মূল্য কোটি  ৪৪ লাখ টাকা আর তৃতীয় দলিলের মূল্য কোটি ৪৪লাখ ৩০হাজার টাকা। প্রথম দলিলে স্থাপনার মূল্য ধরা হয়েছে কোটি ৫০লাখ টাকা, দ্বিতীয় দলিলে ৫০লাখ টাকা আর তৃতীয় দলিলে কোটি টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি নিয়মানুসারে শতকরা ২ভাগ উৎসের কর ৬ভাগ স্থাপনা কর প্রদান করতে হয়। সেই দলিলের কর হিসাবে যে টাকা চালানের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ঘরে জমা হয় সেই চালান কপি দলিলের সঙ্গে যুক্ত করে সাবরেজিস্ট্রারের কাছে দাখিল করে দলিল তিনটির কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। এই বিপুল অংকের টাকার দলিলের জমির শ্রেণির বাহানা দিয়ে পরবর্তিতে দলিল লেখক বেনাজুল ইসলাম অফিস সহকারি রবিউল ইসলামের যোগসাজসে সরকারকে কর ফাঁকি দিয়ে করের বিপুল পরিমাণ অর্থ হরিলুট করার পায়তারা করা হয়।

কিন্তু পরবর্তিতে তাদের দুজনের মাঝে সমঝোতা না হওয়ার কারনে অফিস সহকারি নিজে জমির শ্রেণি পরিবর্তনের ভুলে চালান বেশি করা হয়েছে বাহানা দিয়ে গত বৃহস্পতিবার (২১আগস্ট) দলিলের চালান ভেঙ্গে প্রায় ১৯লাখ ৯৭ হাজার টাকা গ্রাহকের কাছে ফেরত দিলে বিষয়টি প্রকাশ পায়। এমন ঘটনায় উপজেলা জুড়ে সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক আর অফিসের সকল ব্যক্তিদের অনিয়ম আর দুর্নীতি নিয়ে তোলপারের সৃষ্টি হয়েছে।

এছাড়া চরম দুর্নীতিবাজ অফিস সহকারি রবিউল ইসলামের বিগত সময়ে বিভিন্ন অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগে চাকরী হারানো, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে জেলার আত্রাই উপজেলা থেকে রাণীনগর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রী অফিসে যোগদানের পর থেকে প্রতিটি দলিলে লাগামহীন অনিয়ম আর দুর্নীতির নানা বিষয়গুলো প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। এছাড়া প্রতিনিয়তই রাণীনগর সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে জমি ক্রয় কিংবা বিক্রয় করতে আসা ক্রেতা বিক্রেতারা দলিল লেখকদের গড়ে তোলা প্রতারণার ফাঁদে পরে চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও অনিয়ম আর দুর্নীতির এই আখড়া নিয়ে সরকারের কোন দৃশ্যমান মিকা না থাকায় হতাশ উপজেলাবাসী।

দলিল লেখক বেনাজুল ইসলাম  জানান দলিলে স্থাপনা উল্লেখ করে বর্গফুট হিসেবে গোলাম রাব্বানীর মাকের্ট বিক্রি হয়েছে। দলিলে করের চালান করার সময় চালানকারী হিসেব করে উপজেলার সোনালী ব্যাংক টিটিডিসি পিএলসি শাখায় দলিলের করের চালান করে। পরবর্তিতে বিষয়টি জানতে পারার পর সেই চালান ভেঙ্গে গ্রাহকদের কাছে ১৯লাখ ৯৭ হাজার টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। চালান করে দলিল লেখার সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করার পরের দিন চালান ভাঙ্গা কতটুকু বৈধ সেই বিষয়ে তিনি বলেন যেহেতু ভুল হয়েছিলো তাই সেই চালান পুনরায় ভাঙ্গা হয়েছে। তবে এমন কাজ কতটুকু বৈধ সেই বিষয়ে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি।

সাবরেজিস্ট্রী অফিসের সহকারি রবিউল ইসলামের কাছে দলিল করা বিষয়ে তথ্য নিতে গেলে প্রথমে নানা বাহানার সৃষ্টি করেন। এরপর অনেক বির্তকের পর তিনি জানান রাণীনগর উপজেলায় বিগত সময়ে এতো বিপুল পরিমাণ টাকার দলিল কখনোই হয়নি। তাই এই দলিল হওয়ার সময় তিনি তার পূর্বের অফিস আত্রাই উপজেলার সাবরেজিস্ট্রারের পরামর্শ গ্রহণ করেন। তার পরামর্শ অনুসারেই ওই দলিলের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়।

এরপর এই বিপুল টাকার দলিলের চালান ভাঙ্গার বিষয়ে জানতে চাইলে অফিস সহকারি রবিউল ইসলাম আরো জানান ওই বিক্রিত জমির শ্রেণি বিষয়ে ভুল করে কর প্রদানের চালান করা হয়। বিষয়টি জানার পর তিনি গোপনে নিজে চালানটি ব্যাংকে গিয়ে ভেঙ্গে গ্রাহকের প্রাপ্য অর্থ ফেরত দিয়ে তিনি বাকি টাকা সরকারের রাজস্ব ঘরে জমা দিয়েছেন। বিষয়টি সাবরেজিস্ট্রারকে না জানিয়ে তিনি নিজে ব্যাংকে গিয়ে গোপনে চালান ভাঙ্গার বিষয়টি কতটুকু যৌক্তিক সেই বিষয়ে কোন উত্তর তার কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।নিয়মানুসারে দলির গ্রহিতার চালান করার কথা। তবে এ ক্ষেত্রে দলিল লেখক চালান করেছেন।

ওই জমির ৩ দলিল গ্রহিতার ১জন মনেয়ার হোসেন জানান, আমাদের দলিল রেজিষ্ট্রির জন্য যে টাকা চাওয়া হয়েছে আমরা তাই দিয়েছি। টাকা ফেরত না দিলে আমরা জানতেই পারতাম না আমাদের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা অতিরিক্ত নেওয়া হয়েছে। টাকা ফেরত দেওয়ার সময় দলিল লেখক টাকা প্রাপ্তী বিষয়ে ৩০০ টাকার ষ্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে আমাদের টাকা দিয়েছেন।

এই বিষয়ে সাবরেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুক্তি আরা মুঠোফোনে জানান এই বিষয়টি তিনি জানার পর জেলা রেজিস্ট্রারকে বিষয়টি অবগত করেছেন। জেলা রেজিস্ট্রারের নির্দেশনা মোতাবেক আগামী বৃহস্পতিবার তিনি অফিসে গিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এ বিষয়ে জেলা রেজিষ্ট্রার মো: সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে করের এই চালানের বিষয়ে বিভিন্ন মহল থেকে অবহিত হয়েছি। বিষয়টির খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।


প্রিন্ট