, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

শরীয়তপুরে শ্বাসরোধে নারীকে হত্যা, মূল অভিযুক্ত রিপন মোল্লা গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১ ঘন্টা আগে
  • / ৪ বার পড়া হয়েছে

শরীয়তপুরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে এক নারীর হত্যার ঘটনা রহস্য উন্মোচন করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রিপন মোল্লাকে রাজধানী ঢাকা থেকে কেরানীগঞ্জের হোসনাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে র‌্যাব-৮ এর মাদারীপুর ক্যাম্পের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে ধরেন। রিপন শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ ডামুড্যা গ্রামের মৃত সোনাই মোল্লার ছেলে। শনিবার দুপুরে মাদারীপুরে র‌্যাবের সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার ও পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন জানান, ২১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দুপুরে শরীয়তপুর শহরের রূপনগর এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে নাজমা বেগম (৩৫) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমত ধারণা করা হয়, গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর ঘর থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের ভাই দ্বীন ইসলাম বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তে নামে র‌্যাব-৮ এর একটি দল। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে বাসার ভাড়াটিয়া বিল্লাল হোসেনকে আটক করে র‌্যাব। তার তথ্যের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্ত রিপন মোল্লাকে কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় রিপনের কাছ থেকে লুট হওয়া স্বর্ণের জোড়া বালা, ৭৫০০ টাকা নগদ ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে শরীয়তপুরের পালং থানায় হস্তান্তর করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, নিহত নাজমা বেগমের তিন বছর আগে স্বামী বাশার কাজীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে তিনি ছেলে নিরব কাজীকে নিয়ে শরীয়তপুর শহরের রূপনগর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। নিরব তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। ঘটনার দিন সকালে নিরব স্কুলে গেলে একা পেয়ে পরিকল্পিতভাবে ঘরে প্রবেশ করে নাজমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে রিপন। পরে স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করে পালায়। দুপুরে স্কুল থেকে ফিরে নিরব ঘরে গিয়ে মায়ের মরদেহ দেখে চিৎকার করে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। পালং মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। র‌্যাব জানায়, এই ঘটনায় আরও একজন সহযোগী জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টাও চলছে।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

শরীয়তপুরে শ্বাসরোধে নারীকে হত্যা, মূল অভিযুক্ত রিপন মোল্লা গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ১১ ঘন্টা আগে

শরীয়তপুরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে এক নারীর হত্যার ঘটনা রহস্য উন্মোচন করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রিপন মোল্লাকে রাজধানী ঢাকা থেকে কেরানীগঞ্জের হোসনাবাদ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে র‌্যাব-৮ এর মাদারীপুর ক্যাম্পের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে ধরেন। রিপন শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ ডামুড্যা গ্রামের মৃত সোনাই মোল্লার ছেলে। শনিবার দুপুরে মাদারীপুরে র‌্যাবের সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার ও পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন জানান, ২১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) দুপুরে শরীয়তপুর শহরের রূপনগর এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে নাজমা বেগম (৩৫) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রথমত ধারণা করা হয়, গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর ঘর থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের ভাই দ্বীন ইসলাম বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্তে নামে র‌্যাব-৮ এর একটি দল। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে বাসার ভাড়াটিয়া বিল্লাল হোসেনকে আটক করে র‌্যাব। তার তথ্যের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্ত রিপন মোল্লাকে কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের সময় রিপনের কাছ থেকে লুট হওয়া স্বর্ণের জোড়া বালা, ৭৫০০ টাকা নগদ ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। পরে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে শরীয়তপুরের পালং থানায় হস্তান্তর করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব জানায়, নিহত নাজমা বেগমের তিন বছর আগে স্বামী বাশার কাজীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে তিনি ছেলে নিরব কাজীকে নিয়ে শরীয়তপুর শহরের রূপনগর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। নিরব তুলাসার গুরুদাস সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। ঘটনার দিন সকালে নিরব স্কুলে গেলে একা পেয়ে পরিকল্পিতভাবে ঘরে প্রবেশ করে নাজমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে রিপন। পরে স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করে পালায়। দুপুরে স্কুল থেকে ফিরে নিরব ঘরে গিয়ে মায়ের মরদেহ দেখে চিৎকার করে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। পালং মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। র‌্যাব জানায়, এই ঘটনায় আরও একজন সহযোগী জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টাও চলছে।


প্রিন্ট