, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

নিষেধাজ্ঞার শেষ রাত আজ, প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১০ ঘন্টা আগে
  • / ২ বার পড়া হয়েছে

আজ মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য দীর্ঘ তিন সপ্তাহ ধরে সমুদ্র ও নদী-নদীতে এই নিষেধাজ্ঞা চালু ছিল। বরিশাল বিভাগে এই সময়ে অভিযান চালিয়ে ৮৮৩ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শেষের অপেক্ষায় জেলেরা এখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন—জাল মেরামত, ট্রলার প্রস্তুত করা ও নদীতে নামার শেষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে গত ২১ দিনে বিভাগে মোট ৩৩৪৯টি অভিযান পরিচালিত হয়। এর মধ্যে ১০১২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ১২৯৮টি মামলা নেওয়া হয়। এসব অভিযানে ৮৮৩ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং ৩৭ লাখ ৪১ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানের সময় ৮ হাজার ৪০৫ কেজি ইলিশ মাছ উদ্ধার করে এতিমখানা ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি ১ কোটি ৩২ লাখ ৯২ হাজার ৮০০ মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধার করে ধ্বংস করা হয় এবং বিক্রি করে ১১ লাখ ৯৬ হাজার ৮০০ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়া হয় বরিশালের হিজলা উপজেলায়। এ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম জানান, গত ২১ দিনে হিজলায় ৪৪৮টি মামলা ও ৪৪৮ জন জেলে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৯৬ জনের দণ্ড কার্যকর ও ১৫২ জনের কাছ থেকে ১২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় ১ কোটি ৫১ লাখ ৬০ হাজার টাকার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়। অন্যদিকে, নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা নদী ও সাগরে ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সকালে থেকেই জেলেরা জাল ও ট্রলার প্রস্তুত করতে ব্যস্ত। সবাই আশাবাদী, নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে নামলেই কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মিলবে।


প্রিন্ট
ট্যাগস

নিউজটি শেয়ার করুন

নিষেধাজ্ঞার শেষ রাত আজ, প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা

আপডেট সময় ১০ ঘন্টা আগে

আজ মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণের জন্য দীর্ঘ তিন সপ্তাহ ধরে সমুদ্র ও নদী-নদীতে এই নিষেধাজ্ঞা চালু ছিল। বরিশাল বিভাগে এই সময়ে অভিযান চালিয়ে ৮৮৩ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শেষের অপেক্ষায় জেলেরা এখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন—জাল মেরামত, ট্রলার প্রস্তুত করা ও নদীতে নামার শেষ প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে গত ২১ দিনে বিভাগে মোট ৩৩৪৯টি অভিযান পরিচালিত হয়। এর মধ্যে ১০১২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ১২৯৮টি মামলা নেওয়া হয়। এসব অভিযানে ৮৮৩ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয় এবং ৩৭ লাখ ৪১ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানের সময় ৮ হাজার ৪০৫ কেজি ইলিশ মাছ উদ্ধার করে এতিমখানা ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি ১ কোটি ৩২ লাখ ৯২ হাজার ৮০০ মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধার করে ধ্বংস করা হয় এবং বিক্রি করে ১১ লাখ ৯৬ হাজার ৮০০ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জেলেকে কারাদণ্ড দেওয়া হয় বরিশালের হিজলা উপজেলায়। এ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম জানান, গত ২১ দিনে হিজলায় ৪৪৮টি মামলা ও ৪৪৮ জন জেলে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৯৬ জনের দণ্ড কার্যকর ও ১৫২ জনের কাছ থেকে ১২ লাখ ৪৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় ১ কোটি ৫১ লাখ ৬০ হাজার টাকার কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়। অন্যদিকে, নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা নদী ও সাগরে ফেরার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বরিশাল নগরীর পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সকালে থেকেই জেলেরা জাল ও ট্রলার প্রস্তুত করতে ব্যস্ত। সবাই আশাবাদী, নিষেধাজ্ঞা শেষে সাগরে নামলেই কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মিলবে।


প্রিন্ট