লক্ষ্মীপুর পৌরসভার প্রকৌশলীসহ অন্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রেক্ষিতে, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার হোসেনসহ মোট ৩৯ জনের সম্পদ সম্পর্কিত তথ্য চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে দুদকের পক্ষ থেকে। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) চাঁদপুর জেলা কার্যালয় থেকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। অভিযুক্ত অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন— কর নির্ধারক আব্দুর রহমান, উপসহকারী প্রকৌশলী শামছুল আলম, মোহাম্মদ ইসহাক, নকশাকারক এবিএম আশ্রাফ উদ্দিন প্রমুখ। ১৪ অক্টোবর দুদকের চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী অফিসার কামরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়— লক্ষ্মীপুর পৌরসভার তহবিল থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের তদন্তের স্বার্থে, যদি এই ব্যক্তিদের নামে কোনো জমি, ভিটা-বাড়ি, প্লট, দোকান বা ফ্ল্যাটের ক্রয় বিক্রয়ের ফলে কোনো নামজারি বা খতিয়ান তৈরি হয়ে থাকে, তাহলে সেই তথ্যের ছায়ালিপি দুদকের অনুসন্ধানকারীর কাছে জমা দিতে হবে। এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি কোনো চিঠিও পাইনি। অন্যদিকে, উপসহকারী প্রকৌশলী শামছুল আলম বলেন, তারা আয়কর রিটার্নের কাগজপত্র জমা দেওয়ার জন্য বলেছে, আমরা তা দেব। তদন্তে সহযোগিতা করছি। পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ ফারাভী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এখনো দাপ্তরিকভাবে কোনো চিঠি আমার কাছে আসেনি। চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কামরুল ইসলাম বলেন, নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের দায়িত্ব আমাকে দেয়া হয়েছে এবং এই বিষয়টি তদন্তাধীন।