বগুড়ায় প্যারালাইসিসে আক্রান্ত যুবদলের কর্মী মতিয়ার রহমান ও গৃহহীন প্রতিবন্ধী নারী মমেরন বেওয়াকে পাশে দাঁড়ালেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বগুড়া জেলা যুবদলের উদ্যোগে তাদের হাতে উপহার তুলে দেওয়া হয়। বুধবার (২৯ অক্টোবর) গাবতলী লাংলুহাট এলাকার মতিয়ার রহমানকে দেওয়া হয় এক দোকানঘরসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী। অন্যদিকে সোনাতলা উপজেলার মমেরন বেওয়ার জন্য যুবদলের উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে নতুন বাড়ি, গোসলখানা ও নিরাপদ টিউবওয়েল। বগুড়া জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসানের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে তাদের হাতে উপহার তুলে দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না। এদিন শুধু তাঁদেরকেই নয়, লাংলুহাটের বহু মানুষের মধ্যে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ করা হয়। উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় যুবদল সভাপতি মুন্না বলেন, বগুড়ার গাবতলী বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পুণ্যভূমি। গাবতলীসহ পুরো বগুড়ার মানুষ দীর্ঘদিন থেকে রাজনৈতিক বৈষম্যের শিকার হয়ে উন্নয়নের বাইরে ছিল। তবে এখন সেই অন্ধকার কাটিয়ে উঠেছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বগুড়াসহ সারাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব। সবাইকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি। রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মুন্না বলেন, দেশের মানুষ তিনটি নির্বাচনে তাদের ভোটের অধিকার হারিয়েছে। স্বার্থান্বেষী কিছু গোষ্ঠী ও ফ্যাসিস্ট সরকারের ষড়যন্ত্রে দেশে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে সবাই প্রস্তুত। মতিয়র রহমান জানান, তিনি একসময় যুবদলের নিবেদিত কর্মী ছিলেন। প্যারালাইসিসের কারণে চলাফেরা করতে পারতেন না, অর্থাৎ দিন কাটছিল অতি কষ্টে। তখন ভাবতেই পারেননি যে তার পাশে থাকবেন তারেক রহমান ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা। আজ মালামালসহ দোকান পেয়ে তিনি ভবিষ্যতে সচ্ছলতা আশা করছেন। অন্যদিকে, সোনাতলার উপকারভোগী মমেরন বেওয়া ভাষা বলতে না পারলেও তার স্বজনরা জানান, তিনি একজন প্রতিবন্ধী নারী, এখন তিনি নতুন করে বাঁচার আশা পেয়েছেন। তার নিজের একটি বাড়ি হবে, এটাই ছিল তাদের স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরণে যুবদলের সহানুভূতি ও সহযোগিতা তাদের জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই মানবিক উদ্যোগে জেলাঃ যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান বলেন, সংগঠনের সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি তারা তারেক রহমানের নির্দেশনায় তৃণমূল থেকে শুরু করে সমগ্র জেলায় নানা মানবিক কাজ করে যাচ্ছেন। এই ধারাবাহিকতায় বুধবার গাবতলী ও সোনাতলার উপকারভোগীদের জন্য উপহার পৌঁছে দেন তারা। এ ছোট ছোট প্রচেষ্টা যদি কারো জীবনের পথ সুগম করে, তাহলে সেটি তাদের জন্য বড় পাওয়া। সারাদেশে মানুষের কল্যাণে বগুড়ার যুবদল যেন এই মানবিক কাজের ধারা অব্যাহত রাখতে পারে, সেই প্রত্যাশায় সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন তারা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আতাউর রহমান সম্ভু, সহ-সভাপতি এনামুল হক পান্না, সবুজ দেওয়ান, তাজমিলুর রহমান বিচিত্র, আলী রেজা রুনু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন সোহাগ, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ সুজন, প্রচার সম্পাদক রাশেদ রহমান, শহর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আদিল শাহরিয়ায় গোর্কি, সাংগঠনিক সম্পাদক সৌরভ হাসান, গাবতলী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আরিফুর রহমান মজনু, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল হাসান রুহিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।