, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশ :
সংবাদের বিষয়ে কিছু জানাতে ইমেইল করুন [email protected] ঠিকানায়

নড়াইলে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ককটেল হামলা

নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৪ বার পড়া হয়েছে

নড়াইলে চাঁদার দাবি নিয়ে আসাদুল খন্দকার নামে এক ব্যবসায়ীর ওপর হুমকি দেওয়ার পর, থানায় অভিযোগ দায়েরের একদিনের মধ্যেই তার বাড়িতে ককটেল হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাতে সদর উপজেলার আগদিয়া গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের সোহরাব খন্দকারের ছেলে আসাদুল খন্দকার এ হামলার শিকার হন। পুলিশ ও অভিযোগকারীর সূত্রে জানা যায়, ২৭ অক্টোবর রাত আনুমানিক ৯টার সময় অজানা নম্বর থেকে ফোন করে তাকে ৬ লাখ টাকা চাঁদা চাওয়া হয়। এরপর এক ঘণ্টার মধ্যে আবার ফোন করে চাঁদা না দিলে বোমা মারার হুমকি দেওয়া হয়। পরের দিন (২৮ অক্টোবর) তিনি সদর থানায় একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগের একদিনের মধ্যেই তার বাড়িতে দুর্বৃত্তরা ককটেল দিয়ে হামলা চালায় এবং তাদের কথামতো কাজ হয়েছে বলে নিশ্চিত করে যায়। বিস্ফোরণের পর আবারও ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়, যেখানে ভুক্তভোগী আসাদুলের কাছে বলা হয়, ‘আসাদুল, তুই বলছিলি যা পারি করতে। দেখছিস পারি কি না? ফোন নম্বর নিয়ে যা পারিস কর।’ সেই সময় সদর উপজেলার বিছালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম উপস্থিত ছিলেন। তিনি ভুক্তভোগীর ফোন নিয়ে হুমকি দাতার সঙ্গে কথা বলেন এবং বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, আপনি কি বলছেন ভাইকে (আসাদুল)?’ উত্তরে আসাদুলের জবাব আসে, ‘কি বলছে সে? আপনি কি জানেন?’ এরপর তিনি জেনে নেন। ভুক্তভোগী আসাদুল বলেন, ‘আমার ছেলে- মেয়ের তথ্য দিয়ে আমাকে মোবাইল ফোনে দুই দফায় হুমকি দেওয়া হয়। যদি ৬ লাখ টাকা না দেওয়া হয়, তাহলে বোমা মারার হুমকি দেওয়া হয় সন্ত্রাসীদের পক্ষ থেকে। মঙ্গলবার আমি মোবাইল নম্বর নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গিয়েছিলাম, কিন্তু কোনো ফল পাইনি। অভিযোগ দেওয়ার পরও পুলিশ আমার খোঁজ নেয়নি, কিন্তু সন্ত্রাসীরা ঠিকই বোমা (ককটেল) দিয়ে গেছে।’ সদর থানার পরিদর্শক মো. জামিল কবির ঘটনাস্থল থেকে ককটেল বিস্ফোরণের সত্যতা নিশ্চিত করেন, তবে আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য দিতে পারেননি।


প্রিন্ট

নিউজটি শেয়ার করুন

নড়াইলে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ককটেল হামলা

আপডেট সময় ১১:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

নড়াইলে চাঁদার দাবি নিয়ে আসাদুল খন্দকার নামে এক ব্যবসায়ীর ওপর হুমকি দেওয়ার পর, থানায় অভিযোগ দায়েরের একদিনের মধ্যেই তার বাড়িতে ককটেল হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার (২৯ অক্টোবর) রাতে সদর উপজেলার আগদিয়া গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের সোহরাব খন্দকারের ছেলে আসাদুল খন্দকার এ হামলার শিকার হন। পুলিশ ও অভিযোগকারীর সূত্রে জানা যায়, ২৭ অক্টোবর রাত আনুমানিক ৯টার সময় অজানা নম্বর থেকে ফোন করে তাকে ৬ লাখ টাকা চাঁদা চাওয়া হয়। এরপর এক ঘণ্টার মধ্যে আবার ফোন করে চাঁদা না দিলে বোমা মারার হুমকি দেওয়া হয়। পরের দিন (২৮ অক্টোবর) তিনি সদর থানায় একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগের একদিনের মধ্যেই তার বাড়িতে দুর্বৃত্তরা ককটেল দিয়ে হামলা চালায় এবং তাদের কথামতো কাজ হয়েছে বলে নিশ্চিত করে যায়। বিস্ফোরণের পর আবারও ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়, যেখানে ভুক্তভোগী আসাদুলের কাছে বলা হয়, ‘আসাদুল, তুই বলছিলি যা পারি করতে। দেখছিস পারি কি না? ফোন নম্বর নিয়ে যা পারিস কর।’ সেই সময় সদর উপজেলার বিছালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম উপস্থিত ছিলেন। তিনি ভুক্তভোগীর ফোন নিয়ে হুমকি দাতার সঙ্গে কথা বলেন এবং বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম, আপনি কি বলছেন ভাইকে (আসাদুল)?’ উত্তরে আসাদুলের জবাব আসে, ‘কি বলছে সে? আপনি কি জানেন?’ এরপর তিনি জেনে নেন। ভুক্তভোগী আসাদুল বলেন, ‘আমার ছেলে- মেয়ের তথ্য দিয়ে আমাকে মোবাইল ফোনে দুই দফায় হুমকি দেওয়া হয়। যদি ৬ লাখ টাকা না দেওয়া হয়, তাহলে বোমা মারার হুমকি দেওয়া হয় সন্ত্রাসীদের পক্ষ থেকে। মঙ্গলবার আমি মোবাইল নম্বর নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গিয়েছিলাম, কিন্তু কোনো ফল পাইনি। অভিযোগ দেওয়ার পরও পুলিশ আমার খোঁজ নেয়নি, কিন্তু সন্ত্রাসীরা ঠিকই বোমা (ককটেল) দিয়ে গেছে।’ সদর থানার পরিদর্শক মো. জামিল কবির ঘটনাস্থল থেকে ককটেল বিস্ফোরণের সত্যতা নিশ্চিত করেন, তবে আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য দিতে পারেননি।


প্রিন্ট