বগুড়া শহরের সেউজগাড়ীতে হাবিবুর রহমান খোকন হত্যার ঘটনায় চার দিন পরে মামলা দায়ের করা হলো। শুক্রবার রাতের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ফারজানা আক্তার বাদী হয়ে এই মামলা করেন। মামলায় মোট ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং আটজনের নাম অজ্ঞাত রাখা হয়েছে। শনিবার (১ নভেম্বর) এই মামলার দায়েরের ব্যাপারে নিশ্চিত করেছেন বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান বাসির। মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মুন্না, ছামিউল, রকি, সিয়াম, সাগর, ধলা, মেহেদী, কাকন, মহিন, শাহিন, শাওন ও রাফিদ। এদের বাসস্থান শহরের সেউজগাড়ী, রেলওয়ে কলোনি ও কৈচর এলাকায়। এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এর আগে গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ৮টার সময় খোকন ও তার বন্ধু বাঁধন মোটরসাইকেলে করে সাবেক ছাত্রদল নেতা পাভেলকে দেখতে সেউজগাড়ীর পালপাড়া এলাকায় যাচ্ছিলেন। এ সময় একদল সন্ত্রাসী তাদের ঘিরে ফেলে। মুহূর্তের মধ্যে রামদা ও হাসুয়া দিয়ে তাদের ওপর এলোপাতাড়ি হামলা চালানো হয়। মাথা, হাত, পা, শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খোকন রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে হামলাকারীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং খোকন ও বাঁধনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক খোকনকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত হাবিবুর রহমান খোকন মালতিনগর দক্ষিণপাড়া এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে। তিনি পেশায় রেন্ট-এ-কার ব্যবসায়ী ছিলেন এবং বগুড়া পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ড যুবদলের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসান বাসির বলেন, খোকন হত্যাকাণ্ডে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।