শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার আধিপত্য ও পুরোনো শত্রুতাকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রোববার ভোরে বিলাসপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী বেপারি কান্দি এলাকায় সংঘর্ষের সময় শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরিত হয়। এতে যুবদল নেতা সালাউদ্দিন বেপারী ও কামাল বেপারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন; পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইউপি সদস্য নাসির বেপারী ও তাজুল ছৈয়ালের মধ্যে দীর্ঘসময়ের বিরোধ চলে আসছিল। রোববার ভোরে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে তারা দেশীয় অস্ত্র ও হাতবোমা নিয়ে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে। গোলাগুলি ও বিস্ফোরণে আশেপাশের কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটনার পরে আহতদের পরিবারের এক নারী সাবিনা আক্তার বলেন, “আমরা ঘুমাচ্ছিলাম, হঠাৎ বোমার শব্দে জেগে উঠি এবং দেখি বাড়িতে হামলা হচ্ছে। জানালার গ্লাস ভেঙে ধোঁয়া ঘরে ঢুকে পড়েছে।” আহত সালাউদ্দিনের স্ত্রী সুমি বলেন, “আমার স্বামী ঘরে ঘুমাচ্ছিল। বোমার শব্দে জানালার কাছে গেলে তিনি গুরুতর আহত হন। এটি পরিকল্পিত হামলা; আমরা দোষীদের শাস্তি চাই।” অন্যদিকে, ঘটনার স্থান থেকে এক নারী চম্পা আক্তার জানান, “আমরা বাড়িতে বোমা হামলা দেখেছি; আমরা শান্তি চাই—দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।” জাজিরা থানার ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার পরে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে এবং দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আধিপত্যের বিরোধের জেরে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে; বিস্ফোরণের বিষয়টি তদন্তাধীন। যারা এই নাশকতা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” স্থানীয়রা বলেন, এই ঘটনায় পুরো এলাকা আতঙ্কে ভুগছে এবং নিরাপত্তা ফিরে পেতে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।