কুমিল্লা থেকে আসা এক ব্যক্তিকে বগুড়ার গাবতলী এলাকায় ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (২ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার নশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইটালী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল ইসলাম নিশ্চিত করে জানান, ককটেল বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তির নাম আতাউর রহমান (৩৫)। তিনি কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার বাসিন্দা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের তথ্যানুসারে, ছোট ইটালী গ্রামের মুক্তার হোসেনের স্ত্রী নাসিমা মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে কারাগারে রয়েছেন। সেই বাড়িতে মুক্তার হোসেন ও তার প্রতিবন্ধী মা থাকেন। মুক্তার হোসেনের বোনের স্বামী পার্শ্ববর্তী মাঝবাড়ি গ্রামের বাদশা মিয়া আন্তঃজেলা ডাকাত দলের একজন। তারা কুমিল্লা থেকে আতাউর রহমানকে ডেকে আনার পর বাড়ির একটি কক্ষে ককটেল বানাচ্ছিলেন। তিনটি ককটেল তৈরি করার পরে আরেকটি বানানোর সময় ভয়ঙ্কর শব্দের সঙ্গে সেটি বিস্ফোরিত হয়। স্থানীয়রা বিস্ফোরণের শব্দ শুনে ওই বাড়িতে গেলে বাদশা মিয়া ও মুক্তার হোসেন দ্রুত পালিয়ে যান। তারা আতাউর রহমানকে ডান হাতের জখম অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। গাবতলীর ওসি সেরাজুল বলেন, আহত অবস্থায় আটক আতাউর রহমান জানিয়েছেন, বাদশা মিয়া তাকে ককটেল বানানোর জন্য কুমিল্লা থেকে ডেকে এনেছেন। ডাকাতির সময় তারা সঙ্গে ককটেল রাখেন। ডাকাতির সময় জনগণের ধাওয়া খেয়ে পড়লে ককটেলের বিস্ফোরণে পালানো সহজ হয়। বাদশা মিয়ার নামে গাবতলী থানায় একটি ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। আতাউর রহমানের বিরুদ্ধে কুমিল্লায় বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে বেশ কিছু মামলা রয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলচ্ছে।