সৌদি আরবে আত্মসমর্থন করে পুলিশ হেফাজতে শেরপুরের এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। নিহত ব্যক্তির নাম গোলাম মাওলা। তিনি নকলা উপজেলার গনপদ্দি ইউনিয়নের তহুর উদ্দিনের ছেলে। ছয় বছর আগে সৌদি আরবের রিয়াদের এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চুক্তি ভিত্তিক কাজ করতেন তিনি। সৌদি পুলিশ জানিয়েছে, ডায়াবেটিসের সমস্যা কমে যাওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে শেরপুর পুলিশ এ ব্যাপারে কোনও বক্তব্য প্রদান করেনি। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, প্রায় ছয় বছর আগে সৌদি আরবের রিয়াদে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চুক্তি অনুযায়ী কাজ করছিলেন মাওলা। কিছু দিন আগে তার কাজের অনুমতি পত্রের (আকামা) মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। তার ইচ্ছা ছিল, দেশের প্রচলিত আইনে জেল শেষে দেশে ফিরে আসবেন। কিন্তু পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন তার মৃত্যুর খবর আমরা পাই। গোলাম মাওলার একটি ৭ বছরের ছেলে ও স্ত্রী রয়েছে। মৃত্যুর পর পুরো পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ছোট ভাই আনিসুর রহমান জানান, গত ২ নভেম্বর সৌদি আরব থেকে ফোনে পুলিশে আত্মসমর্পণের কথা জানিয়েছিলেন তিনি। সে সময় পুলিশ তার টিকিটের টাকা, পাসপোর্ট ও মোবাইলসহ সবকিছু বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। সোমবার রাতে সৌদি থেকে তার মৃত্যুর খবর শুনেছি। স্থানীয় ব্যবসায়ী এমএফ ফারুক আহমেদ বলেন, আমার সঙ্গে গোলাম মাওলার নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ ছিল। আত্মসমর্পণের আগেও তার সঙ্গে কথা হয়। এমন অকাল মৃত্যু মানা যায় না, এটি খুব কষ্টের। শুনেছি, মাওলা দেশে আসার আগে ওমরা হজ সম্পন্ন করে পুলিশে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এরপর তার মৃত্যুর খবর পাই।