খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে নিয়ে সুখবর দিলেন তথ্য উপদেষ্টা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৯৩
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের কাছে ক্ষমা চাইলেন নেতানিয়াহু
হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে গেলেন তামিম ইকবাল
নোয়াখালীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া
মসজিদে বিয়ে ও সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন শবনম ফারিয়া
দেশে বাড়লো সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম
ইসরায়েলি হামলার গাজায় নিহত ৭০ হাজারের বেশি
খাদ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস
রাউজানে বিএনপির ৫ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ
- আপডেট সময় ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৬ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামের রাউজানে সন্ত্রাসীদের হামলায় বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের পাঁচ নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বুধবার (৫ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে রাউজান বাগোয়ান ইউনিয়নের কুইয়াপাড়া চৌধুরী পাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। গুলির জখমরা হলেন- রাউজান উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ সুমন, বাগোয়ান ইউনিয়ন কৃষক দলের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল, বাগোয়ান ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খোরশেদ আলম চৌধুরী, বাগোয়ান ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও বিএনপি কর্মী মোহাম্মদ সোহেল। এরা সবাই স্থানীয় বিএনপির দুই গ্রুপের বিরোধের মধ্যে থাকা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারী বলে জানা যায়। এ হামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী রাউজান উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদককে দুষছেন গোলাম আকবর খোন্দকারের অনুসারীরা। স্থানীয়রা জানায়, কিছু দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেল ও একটি গাড়ি নিয়ে এসে নির্বিচারে গুলি চালায়। পরে তারা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে নেমে যায়। ঘটনাটির কারণ এখনও জানা যায়নি। রাতের এই গুলির ঘটনায় পুরো কুইয়াপাড়া এলাকা এখন আতঙ্কে ভুগছে। রাউজান উপজেলা বিএনপির সভাপতি জসীম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ঐতিহাসিক বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালনের জন্য প্রস্তুতি চলছিল। রাত ৯টার দিকে সভা শেষ করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের পাঁচ নেতাকর্মী বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে বাগোয়ান কুইয়াপাড়া চৌধুরী পাড়া এলাকায় ৯ থেকে ১০ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাদের ওপর অতর্কিত গুলি ছোড়ে। এতে তারা গুলিবিদ্ধ হন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ সুমনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি দাবি করেন, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইস্তিয়াক চৌধুরী অভি, আলতাফ চৌধুরী টুটুল, জনি চৌধুরীসহ ৭ থেকে ৮ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী তাদেরকে গুলি করেছে। মো. বেলায়েত হোসেন, রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তখন কাউকে পাইনি। এখন আমরা অভিযান চালাচ্ছি। কি কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে, তা জানার চেষ্টা করছি। ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে চেষ্টা চলছে। এর আগে, সন্ধ্যায় নগরীর হামজারবাগে চট্টগ্রাম-৮ আসনে বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী এরশাদ উল্লাহর গণসংযোগে গুলির ঘটনা ঘটে। এতে এরশাদ উল্লাহসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে একজন মারা যান। উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর এ উপজেলায় প্রতিপক্ষের গুলিতে মো. আলমগীর আলম (৫০) নামে এক যুবদল নেতা নিহত হন। বুধবার রাতের ঘটনায় কেউ মারা যাননি, তবে চারজন গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এক সপ্তাহ আগে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কায়কোবাদ জামে মসজিদের পাশের রশিদরপাড়া সড়কে গুলির ঘটনা ঘটে। সেবার নিহত আলম রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব রাউজানের আবদুর সাত্তারের ছেলে। এই ঘটনায় আরও দুই যুবদল কর্মী—রিয়াজ (৩০) ও আকিব (২৮)—ও গুলিবিদ্ধ হন। তারও আগে, ৭ অক্টোবর হাটহাজারীর মদুনাঘাট এলাকায় মোটরসাইকেলে করে আসা অস্ত্রধারীদের গুলিতে মারা যান মুহাম্মদ আবদুল হাকিম (৫২), তিনি রাউজানের একজন বিএনপি কর্মী। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর থেকে বিভিন্ন কারণে—রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, আধিপত্য, চাঁদাবাজি—এখানে মোট ১৮ জন খুন হয়েছেন।
প্রিন্ট















