দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গণশুনানিতে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যশোর জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী আলমগীর হোসেনকে অস্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়। তিনি দাবি করেছিলেন, কাজের বিনিময়ে ঘুষ নেননি, বরং কলা খেয়েছেন। এরপর সারাদেশে আলোচনায় আসে তার নাম। শেষ পর্যন্ত তদন্তে জানা যায় তিনি কলা নয়, আসলে ঘুষই গ্রহণ করেছিলেন। বুধবার (৫ অক্টোবর) জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম শাহীন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এই বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগে, ২৬ অক্টোবর যশোর শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে একটি গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দুদকের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন ও কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলী আকবর আজিজী উপস্থিত ছিলেন। গণশুনানিতে রুস্তম আলীসহ আরও চারজন ব্যক্তি জমি ইজারা দেওয়ার বিষয় নিয়ে জেলা পরিষদে কর্মরত উচ্চমান সহকারী মো. আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের নির্দিষ্ট অভিযোগ করেন। শুনানিতে সেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দুদকের চেয়ারম্যান ও কমিশনার (তদন্ত) সংশ্লিষ্ট আলমগীর হোসেনকে তৎক্ষণাৎ অন্যত্র বদলি এবং অস্থায়ীভাবে বরখাস্তের নির্দেশ দেন। দুদকের নির্দেশনা ও জেলা পরিষদ আইন, ২০০০ এর ৩৯(৩)(খ) ধারার অধীনে ও কাজের বিধিমালা, ১৯৯০ এর ৪৪(১) বিধি অনুযায়ী আলমগীর হোসেনকে অস্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়।